
হিজরী সন অনুসরণ করে মহান আল্লাহপাক চারটি মাস কে এত পরিমান মহিমান্বিত এবং মর্যাদা পূর্ণ করেছেন যে আমরা অবশ্যই এই মাসগুলোতে সর্বোচ্চ ইবাদত করার চেষ্টা করব। এই চারটি মাসের মধ্যে রজব মাস অন্যতম এবং এই মাস হল আরবি বছর অনুসরণ করে ৭ নম্বর মাস। তাই আপনারা যারা রজব মাসের ইবাদত সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা তথ্যগুলোর ওপরে ভিত্তি করে তা জানবেন। যখন রজব মাসের আমল আপনাদের জানা হয়ে যাবে তখন সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং রজব মাসের ইবাদত জেনে নিলে আপনাদের জন্য সেই ইবাদত করাটা সহজ হবে। তাছাড়া রজব মাসে যে সকল ইবাদত গুরুত্বপূর্ণ এবং যেগুলো করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় সেগুলো আপনারা করার চেষ্টা করবেন।
রজব মাসের অর্থ হলো সম্ভ্রান্ত অথবা প্রাচুর্যময়। রজব মাস হল এমন একটি সম্মানিত মাস যে ধরনের মাসে হারাম অথবা যুদ্ধবিগ্রহ থেকে নিষিদ্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে। তাই আপনারা রজব মাসে অবশ্যই এবাদত বন্দেগী করার বিষয়ে একটু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাই ইবাদত বন্দেগী করার বিষয়ে আপনারা জেনে থাকবেন যে আমাদের নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে দশটি রোজা রাখতেন। কারণ এই রোজাগুলো ফজিলত পূর্ণ হওয়ার কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি রজব মাসে ইবাদত দ্বারা খেত চাষ দিলো না এবং শাবান মাসে ইবাদতের মাধ্যমে ক্ষেত আগাছা মুক্ত করল না সে রমজান মাসে ইবাদতের ফসল তুলতে পারবেনা।
তাই আরবি চারটি মহিমান্বিত মাসের মধ্যে রজব মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা যখন ইবাদত করব তখন অবশ্যই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত করতে হবে এবং এই মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করার বিশেষ বিশেষ বিষয় রয়েছে। তাই রজব মাসের বিশেষ আমল হলো বেশি বেশি করে নকল রোজা রাখতে হবে এবং এ রোজা রাখার ক্ষেত্রে আপনারা সোমবার বৃহস্পতিবার শুক্রবার রোজা রাখতে পারেন। তাছাড়া মাসের তারিখ হিসেবে আপনারা যারা রোজা রাখতে চান তাদেরকে বলবো যে ১ তারিখ, ১০ তারিখ, ১৩ তারিখ, ১৪ তারিখ, ১৫ তারিখ, ২০ তারিখ, ২৯ তারিখ এবং ১৯ তারিখ রোজা রাখা যাবে। তাছাড়া আপনারা এই মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং ইশরাকসহ, আওয়াবীন এবং তাহিয়াতুল ওজু ও দখুলুল মাজীদ আদায় করতে পারবেন।
এ মাসে আপনারা এই সকল এবাদত করার পাশাপাশি আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো আপনারা করার মধ্য দিয়ে লাভবান হতে পারেন। এ মাসে আপনারা অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করবেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি এটা যদি অন্যদের মাঝে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ফযিলতপূর্ণ ইবাদত হবে। তাছাড়া আপনারা কোরআন শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি অর্থসহকারে শিখলে সবচাইতে ভালো হবে। তাছাড়া হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে রজব মাসে প্রথম ১০ তারিখে ১০ রাকাত নফল নামাজ পড়া লাগে। তাই আপনারা এই রজব মাসে নফল ইবাদত গুলো করবেন এবং ফজিলত পাবেন।
তাছাড়া রজব মাস হলো এমন একটি মাস যে মাসের মধ্য দিয়ে আমরা রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি। যেত রমজান মাসে আমাদেরকে দীর্ঘ এক মাস ইবাদত বন্ধের মধ্যে থাকতে হয় এবং সিয়াম সাধনা করার মধ্য দিয়ে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় সেহেতু রজব মাসে আমাদের সামনে এমনভাবে পালন করার সুযোগ নিয়ে আসে যেটার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারি। রাজ মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে আমরা রমজান মাসের উদ্দেশে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে যেমন প্রস্তুত থাকতে পারি তেমনি ভাবে আর্থিক ও সামগ্রিক দিক থেকে নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখতে পারলে খুব সহজেই রমজান মাস আমাদের জন্য পালন করাটা সুবিধাজনক হবে।
Leave a Reply