
মনের মানুষকে আকর্ষণীয়ভাবে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আপনারা দৈনন্দিন ভাবে যে ধরনের কথোপকথন চালিয়ে যান তার চাইতে একটু আলাদাভাবে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য রোমান্টিক প্রেমের চিঠি পাঠাতে পারেন। একটা সময় যখন চিঠির প্রচলন ছিল তখন মানুষজন অন্যজনের চিঠি পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করত। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে মানুষ জন একটু এসএমএস এর রিপ্লাই দিতে দেরি হলেই রাগ করে অথবা অভিমানের থেকে বিভিন্ন বড় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যখন আপনার মনের মানুষকে একটি চিঠি প্রদান করবেন এবং সেখানে আপনার নিজের হাত দিয়ে লেখা কিছু রোমান্টিক কথা উল্লেখ থাকবে। আর সেই রোমান্টিক কথা সমৃদ্ধ সুন্দর চিঠি আপনি আপনার মনের মানুষকে যদি প্রদান করতে পারেন তাহলে সে যখন একা একা পড়বে তখন তার ভেতরে এক অন্য ধরনের অনাবিল আনন্দ কাজ করবে। তাই প্রিয় মানুষকে একটি রোমান্টিক চিঠি প্রদান করার জন্য খুব সুন্দরভাবে চিঠি লিখুন অথবা আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা চিঠির মতো করে কিছুটা পরিবর্তন করে চিঠি লিখুন।
রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসার চিঠি
প্রিয়তম জয়,
ওগো আমার প্রাণের প্রিয়তমা ।শুরুতে তোমাকে জানাই বকুল ফুলের শূভেচ্ছা ।আশা করি তা গ্রহন করবে।আমি প্রথম দেখাতেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি।সত্যিই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আর ভালবেসে যাব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত ।একথা তুমি বিশ্বাস কর বা আর না কর ।এতে আমার কোন যায় আসে না ।আমি জানি জোর করে ভালবাসা হয় না, ভালবাসা শুধু মন দিয়ে অনুভব করতে হয় ।সে ক্ষেত্রে ভাষার কোন প্রয়োজন হয় না ।তার পরেও লিখে প্রকাশ করছি তোমার কাছে আমার ভালবাসাকে ।আর প্রেমের ক্ষেত্রে আমি সমান অধিকারে বিশ্বাসি ।তুমি আমার প্রথম, আর তোমাকেই শেষ বলে এ হৃদয়ে স্থান দিয়েছি, জানিনা পত্র কিভাবে লিখতে হয় অশান্ত পৃথিবীর বুকে আমার এমন মানুষের অভাব হয়নি ।যা তোমাকে প্রথম দৃষ্টিতেই হৃদয়ে আপন করে নিয়েছি । কিছুদিনে পরিচয় মাএ তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা , তুমি আমার প্রেম ভালবাসাকে ব্যার্থ হতে দিওনা ।আর তুমি যদি আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখান কর তাহলে এই ব্যার্থ জীবনের জন্য একমাএ দায়ী তুমি ।প্রেমে করেছে রাজা ভিখারী, ওরা প্রেমের কারনে হয়েছে বৈরাগী । প্রেম ধর্ম বা জাতকে বিচার করে হয়না । তাই আমি চাই আমার প্রতি তোমার সেচ্ছায় প্রেমের সম্বধনা । তোমার আচার ব্যবহার আমাকে মহনীয় করে তুলেছে ।তাই তোমাকে ভালবাসি ।তুমি না চাইলে আমি তোমাকে অভিসাপ দেবনা ।শুধু আমার হৃদয়ের দরজা খুলে রেখেছি একান্ত ভাবে পাওয়ার আশায় সর্বক্ষণ যেন তোমাকেই নিয়ে ভাবতেই ভাল লাগে ।যখন ভাবি তখন আমার শরীলের সমস্ত শিরা উপশিরা বাজতে থাকে হয়তো তোমার প্রতি আমার ভালবাসার কোন খাদ নেই ।তাই তোমাকে ভেবে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিন ।ভবিষ্যতে ও কি হবে জানিনা, তোমাকে নিয়ে যখন ভাবি তখন মনে হয় তুমি আমার পাশেই আছ।তোমার সেই অপলক চাহনী ,মুখ ভরা মিষ্টি হাসি ,আর তোমার চঞ্চলতা বার বার আমার হৃদয়ে স্পষ্ট ভেসে ওঠে ।তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা,আমার চিন্তা চেতনা সে তোমাকে ঘিরে।আমার জীবন যাত্রার একমাত্র সাথী তুমি ।আরো কত কিছু বলতে চাই এ হৃদয় মুখের ভাষা হৃদয়ের কাঁন্না শুধু তোমার জন্যে। ভাল থেকো সুখে থেকো ,বিদায় নিবার আগে তোমার সুখি জীবন কামনা করে, আজকের মত এখানেই রাখলাম
তোমার উওরের আশাই রইলাম।
আমরা সকলে বিশ্বাস করে যে সাধারণ বিষয়ের মাঝে রয়েছে অসাধারণ বিষয়। তাই চিঠি অনেকের কাছে সাধারণ একটি বিষয় হলো আপনার মনের মানুষ যদি রোমান্টিক হয়ে থাকে তাহলে সেই চিঠিটি তার কাছে একটি রোমান্টিক বিষয় হিসেবে ফুটে উঠবে। মনের মানুষকে যদি আপনি একটা চিঠি লিখতে পারেন তাহলে দেখবেন যে তার কাছে সেই চিঠিটা অমূল্য রত্ন হিসেবে থাকবে। আপনাদের সম্পর্ক যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে একটা দিন সেই চিঠি আপনাদের সম্পর্কের কথা মনে করে দেবে এবং দুইজন দুইজনকে একটু করে হলেও মনে করতে পারবেন।
কষ্টের প্রেম পত্র
প্রিয় অস্পর্শিনী,
বুকের ভেতরের কষ্টটা আজ আবার চাগাড় দিয়ে উঠেছে।
ইচ্ছে করছে ছিঁড়ে খাই নিজের হৃদপিন্ড। কষ্ট পোড়া আস্তরণে নিজের মুখটা দেখে
নিজেই আৎকে উঠি। কি বিভৎস এই বেঁচে
থাকা!! আহা!! ঘেন্না ধরে গেছে। আমার
চোখের সামনে লাল নীল বেদনার পর্দা।
আজ হঠাৎ করেই খুব বেশি একা হয়ে বেঁচে
আছি প্রিয়া।
ইতি
তোমার কষ্টের মানুষ
তাই দিনের পর দিন আপনারা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলছেন অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে কথা বলছেন তখন যদি আপনার মনের মানুষকে একটা চিঠি প্রদান করতে পারেন তাহলে সে বিষয়টা তার কাছে অমূল্য হবে বলে আপনারা এই রোমান্টিক কাজটি করতে পারেন। তাছাড়া আমাদের ভেতরে অতীতের কোন বিষয় নিয়ে এক ধরনের অদৃশ্য আগ্রহ কাজ করে বলে আমরা জেনে থাকব যে আমাদের আগেকার দিনের মানুষজন চিঠির প্রচলন করতে এবং এক্ষেত্রে আমরা যদি চিঠির মাধ্যমে একটু সম্পর্ককে কন্টিনিউ করতে চাই তাহলে খুব একটা মন্দ দেখাবে না। তাই আপনি আপনার মনের মানুষকে খুশি করার জন্য যদি তাকে চিঠি প্রদান করতে পারেন তাহলে সে বুঝতে পারবে আপনি আসলে অতীতকে ধারণ করে বাঁচতে চান এবং আপনার কাছে সেই অতীতের গুরুত্ব অনেক বেশি।
প্রেমের চিঠি
“প্রিয়া আমার প্রিয়া
শুনো মনোযোগ দিয়া
আমার সাথে খেলছো তুমি সর্বনাশা খেলা
অন্যের সাথে বিয়ে হলে বুঝবে এর জালা ।
প্রিয়া আমার প্রিয়া
জানি তোমার পরিবার করছে বাড়াবাড়ি
এ কারনে সিদ্ধান্ত নাও অতি তাড়াতাড়ি ।
প্রিয়া আমার প্রিয়া
দিও না আমায় কস্ট
তোমার আমার সুন্দর ভবিষ্যত হয়ে যাবে নষ্ট ।
বিশ্বাস থেকে হয় ভালবাসার জন্ম
প্রিয়া তুমি বুঝলেনা ভালবাসার মর্ম ।
প্রিয়া , ইতি তোমার হিয়া ”
তাই খুব সুন্দর ভাবে একটা চিঠি যদি লিখতে চান তাহলে আপনাকে আগে থেকে ভাষারীতি ঠিক করে রাখতে হবে এবং আপনার সম্পর্কের কথাগুলো যদি উল্লেখ করতে চান তাহলে করতে পারেন। তাছাড়া আপনার মনের মানুষ আপনার জীবনে এসে আপনি কতটা সুখী এবং তার কাছ থেকে আপনি কতটা পরিপূর্ণতা পেয়েছেন এ বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারেন। যদি সম্পর্কের টান পোড়েন চলতে থাকে তাহলে সে বিষয়গুলো উল্লেখ করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া অথবা এ সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য উভয়ের সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করাটা জরুরী। এক্ষেত্রে আপনার মনের মানুষ যদি আপনার সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে না চায় তাহলে খুব সুন্দর ভাবে আপনারা চিঠি প্রদান করার মধ্য দিয়ে আপনাদের কথাগুলো তুলে ধরতে পারেন।
রোমান্টিক চিঠিগুলো লিখতে হলে রোমান্টিক ভাষা ব্যবহার করাটা যেমন জরুরী তেমনি ভাবে আপনি যদি রোমান্টিক ভাষা ফুটিয়ে তুলতে না পারেন তাহলে খুব সাধারণ কথাই এগুলো অন্যের কাছে উপস্থাপন করলে তার কাছে অবশ্যই তা রোমান্টিক লাগবে। তাই সম্পর্কের যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন আপনারা খুব সহজভাবে যদি মনের কথাগুলো উপস্থাপন করে চিঠির মাধ্যমে সেগুলো আপনার প্রিয় মানুষকে জানাতে চান তাহলে সেটা খুব একটা খারাপ দেখাবে না এবং এর মাধ্যমে আপনার মনের মানুষ আপনি যে একজন রোমান্টিক মানুষ তা বুঝতে পারবেন। তাই রোমান্টিক চিঠিগুলো লেখার ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা নমুনা অথবা এখান থেকে হুবহু চিঠি গুলো আপনারা কপি করে মনের মানুষকে প্রদান করতে পারেন।

Leave a Reply