যে কোন প্রেমিক পুরুষের কাছে নীল শাড়ি অত্যন্ত একটি আবেদনময়ী পোশাক। মনের মানুষ যদি নীল শাড়ি পড়ে দেখা করতে আসে তাহলে খুব সহজেই সেই মানুষকে দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে। তাছাড়া নীল রং যে কোন প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে অত্যন্ত রোমান্টিক একটা রং হওয়ার কারণে আপনারা যদি এই রঙের শাড়ি পড়ে থাকেন তাহলে মনের ভেতরে এক অন্য ধরনের বসন্ত অনুভব করতে পারবেন। তাই আপনাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের নীল শাড়ি নিয়ে রোমান্টিক কবিতা প্রদান করা হয়েছে। নীল শাড়ি নিয়ে যে সকল কবি সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছেন সেগুলো যদি আমরা আপনাদের মাঝে প্রদান করি তাহলে এগুলো দেখে আপনাদের যেমন ভালো লাগবে তেমনিভাবে পড়েও আপনারা আনন্দ পাবেন। তাই বিভিন্ন জায়গার ক্যাপশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নীল শাড়ি নিয়ে রোমান্টিক কবিতার ক্যাপশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

নীল শাড়ি কবিতা

একটা নীল শাড়ি পড়ে

আমার সাথে সূর্যাস্ত দেখবে?

সূর্যটা ডুবে গেলে হাত ধরে হাটবো।

গুমোট নিকোটিনে ভরা

ঘরে আর ফিরে যেতে হবে না।

সবুজ জুড়ে শুধু তুমি আমি থাকবো।

আমি তোমার নীল শাড়ির আঁচলে

আমার দুঃখগুলো ঢেকে দেবো

হাটবে আমার সাথে? আজীবন?

সবুজ ভেলভেটের চাদরে

মুড়িয়ে থাকবো তোমার পাশে,

দিনের শেষ আলোতে হাটবো দুজন,

শুধুই দুজন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে যখন দুজন মনের মানুষ একত্রে বের হয় তখন তারা নীল পাঞ্জাবি এবং নীল শাড়ি পড়ে বের হয়। প্রকৃতির মাঝে নীল শাড়ি পড়ে কেউ বের হয়েছে এবং সেটা দেখতে যে অপরূপ সুন্দর লাগবে না তাদেরকে বলব যে আমরা তারা আনরোমান্টিক মানুষ। তাই নীল শাড়ি পড়ে আছে এমন সকল রোমান্টিক বিষয়গুলো আপনাদের মনের মাঝে যখন ফুটে উঠবে তখন প্রিয় মানুষকে খুশি করার জন্য নীল শাড়ি পড়ে তার সামনে উপস্থিত হবেন। তাছাড়া জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যার হিমু চরিত্রের মধ্য দিয়ে তার রূপাকে সব সময় নীল শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আহবান করেছে।

নারী ও শাড়ি কবিতা

উৎসবেতে বায়না শাড়ির; নতুন নতুন চাই
মুখ ফুলোবে ঘরকন্না শাড়ি যদি না পাই!
শাড়ির সাথে আছে নারীর মনের যোগাযোগ
শাড়ি দেখে মিটে তাদের অনেক অনুযোগ।

আনন্দতে লাল জমিনে হরেক রঙ্গের মিশেল,
শাড়ি পড়ে বঙ্গ নারী সামলে নেবে হেঁশেল।
শোকের দিনে কালো- সাদা মানিয়ে যাবে বেশ
খোপায় ফুল থাকলে ভালো, কিংবা এলোকেশ।
ফালগুনেতে রঙটা শাড়ির হলুদ যেন হয়
শৈলীতে যে বঙ্গ নারী, প্রচুর কথা কয়।

অ্যান্টিক কিংবা গয়না কাঠের- যখন যেমন লাগে
বাঙালী মেয়ে ধৈর্য্য ধরে, সময় নিয়ে সাজে।
ঋতুর সাথে শাড়ির রঙ্গের তারতম্য যে বেশ
ঠিকমতো না বাছাই হলে মিলবে হাসির রেশ।
সবদিনেতে চাই যে তাদের শাড়ি মানানসই
শাড়ি পেয়েই মুখে হাসি, আনন্দ, হৈ হৈ।

ভালোবাসা কবিতা

প্রিয়তমা, নীল শাড়িতে তোমার পদার্পন আমাকে মোহিত করে
হৃদয় বিদ্ধ করা রূপে চোরা হাসি ফোটে ওষ্ঠ জুড়ে
তোমার শাড়ির আচলে আমার ঘর্মাক্ত মুখ-
তোমার সান্নিধ্যে হৃদকম্প বাড়ে; ধুকপুক ধুকপুক

শাড়ি সামলিয়ে তোমার ধীর পায়ে চলা,
চুপিচুপি আমায় ভালোবাসি বলা।
খোলা চুলে বকুল ফুলের মালা,
দুহাত জুড়ে কয়েকগাছি ফুলেল বালা।

তাই কেউ যদি নীল শাড়ি পরে রুপা হতে চাই তাহলে আপনাদের অপর মানুষকে অবশ্যই হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে আসার কথা বলতে পারেন। তবে যাই হোক আপনার পছন্দের রং যদি নীল হয়ে থাকে তাহলে সেই রংয়ের শাড়ি পড়ে আপনারা খুব সহজেই আপনার মনের মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন। নীল শাড়ি পড়ে আপনারা যখন প্রিয় মানুষের সামনে দাঁড়াবেন এবং সেই মানুষটি যদি একটু রোমান্টিক ধাঁচের হয়ে থাকে তাহলে দেখবেন যে মনের অজান্তেই আপনাকে রূপা ভাবতে শুরু করেছে। আর মনের মানুষ ছাড়াও যদি আপনি নীল শাড়ি পড়ে থাকেন এবং সেই শাড়ি পড়ে ছবি তুলে থাকেন তাহলে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি আপলোড করতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে তা খুব ভালো হবে।

কারণ ছেলেদের সব সময় নীল রঙের প্রতি এক অন্য ধরনের আকর্ষণ রয়েছে এবং নীল রঙের শাড়ি পরিহিত কোন মেয়ে যদি ছবি আপলোড করে তাহলে সেখানে কমেন্টের বন্যা বয়ে যাবে। তাই আপনি যখন নীল শাড়ি পরা ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করবেন অথবা নীল শাড়ি পড়ে নিজের ছবি আপলোড করবেন তখন দেখবেন আপনার এই পছন্দ সকলেই কোন চোখে দেখছেন। তবে নীল শাড়ি পড়েছেন এবং সেখানে নীল শাড়ি পরার ক্যাপশন দেননি তাহলে বিষয়টা অন্যরকম দেখাবে এবং আপনার ছবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যাপশন হবে না বলে সেটা খারাপ দেখাবে। তাই নীল শাড়ি পড়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই ধরনের ক্যাপশন প্রদান করতে হবে যেটা রোমান্টিক এবং নীল শাড়ির সম্পর্কিত ক্যাপশন।

আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ক্যাপশন গুলো প্রদান করে থাকি বলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিভিন্ন ধরনের কবিতা এবং ক্যাপশন সংগ্রহ করেন। তাছাড়া নীল শাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের কবিতা যদি আপনার পড়ার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে এখান থেকে কবিতা গুলো পড়তে পারেন এবং চাইলে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করতে পারেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কবিতা এবং ক্যাপশন গুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি আপলোড করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেহেতু আপনার এগুলো ব্যবহার করতে পারেন অথবা মনের ভেতরের যে কবিতা পড়ার আগ্রহ রয়েছে তা দূর করার জন্য কবিতাগুলো পড়ে আনন্দ পেতে পারেন।