হঠাৎ করে স্বামী মারা যাওয়ার ফলে কেউ যদি বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে অবিবাহিত থাকতে হবে। অর্থাৎ স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে অথবা বয়স হয়েছে এবং বিরোধীতা ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এমন সকল ব্যক্তিরা চাইলে বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই বিধবা ভাতা পেতে হলে কোন নিয়মে আবেদন করতে হবে এবং কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হবে সে সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
আপনারা যারা বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো বলে আশা করি আপনাদের অনেক কিছু জানার সুবিধা হবে। আমাদের সমাজে অনেক নারীরা আছেন যারা হঠাৎ করে স্বামী হারিয়ে ফেলে অথবা স্বামী যদি মারা যায় তাহলে পরবর্তীতে সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর বিবাহ করেন না। এ সকল নারীরা সমাজে যাতে সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারে তার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিধবা ভাতা নিয়মিতভাবে প্রদান করে আসছেন।
তাই স্বামী যদি মারা যায় এবং আপনি যদি বিবাহ আর না করেন তাহলে বিধবা বার্তা পাবার প্রথম শর্ত পূরণ করতে পারছেন। এরপর আপনাদেরকে আবেদন করার জন্য বয়স্ক ভাতা যে ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় সেই ওয়েবসাইটে না গিয়ে অন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করা হলো। অর্থাৎ বিধবা ভাতা পেতে হলে আপনাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবে। তবে সকল ধরনের সরকারি আবেদন অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে করা গেলেও বিধবা পাতার আবেদন অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে করা যাবে না।
বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে প্রত্যেকটা উপজেলা পর্যায়ে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র নামক যে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে সেখানে গিয়ে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে সেখানে গিয়ে আবেদন করার যে সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে সেই সুযোগ আপনাদের কাজে লাগাবেন। বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য এখানে আপনাদেরকে আবেদন করার যে সকল নিয়ম রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করার জন্য বলা হলো এবং এখানে স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বাক্ষর প্রদান করার বিষয় রয়েছে।
তবে আমাদের সমাজে এমন কিছু জনপ্রতিনিধি রয়েছে যারা সরাসরি কাজ করে এবং সরাসরি কাজ করার মাধ্যমে মানুষদের সেবা প্রদান করে। তাই আবেদন করার নিয়ম প্রসঙ্গে জানতে আমরা আপনাদেরকে বলব যে সরাসরি আপনারা যদি মহিলা কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের মাধ্যমে এই কাজগুলো বন্টন করা হয়ে থাকে বলে তারাই অনেক ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
মহিলা কাউন্সিলররা অনেক সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় যে সকল বিধবা মহিলা রয়েছে তাদেরকে এই আবেদন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হবে বলে তাদেরকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। তাই বিধবা ভাতা পেতে হলে আপনারা অবশ্যই স্বামীর মৃত্যুর পর কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আপনাদের আবেদন জমা দিন। এক্ষেত্রে আপনাদের নিজেদের এনআইডি কার্ড লাগবে এবং পরিবারের সন্তানের তিন কপি ছবি লাগবে।
তাই আপনারা যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে বিধবা ভাতার আবেদন করতে পারেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ড যদি সেই উপজেলাতে চলে আসে তাহলে আশা করি আপনার সেটা পেতে দেরি হবে না। কিন্তু অপর্যাপ্ত কার্ড আসার কারণে অনেক সময় বিধবা বেশি থাকা সত্ত্বেও আপনার আবেদন করার কারণে হয়তো এটা পান না। এক্ষেত্রে আপনারা হয়তো চেয়ারম্যান অথবা মেম্বারদের প্রতি রুষ্ট হয়ে থাকলেও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোন কিছু করার থাকে না বলে তারা আপনাদেরকে তা প্রদান করতে পারে না। তাই আবেদন করার পর ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং পরবর্তীতে পেয়ে গেলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনাদের এই বিধবা ভাতা টাকা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply