
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনারা যখন সিজিপিএ বের করার নিয়ম জানতে চাইবেন অথবা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সর্বমোট কত সিজিপিএ পেয়েছেন তা জানতে চান তখন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট অনুসরণ করবেন। আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য সিজিপিএ বের করার নিয়ম সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। তাই বিভিন্ন বিষয়ে কোন গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই সকল গ্রেডের মান নির্ণয় করতে হবে এবং সেটা নির্ণয় করার পর আপনাদের সহজ পদ্ধতিতে সিজিপিএ বের করার নিয়ম শিখিয়ে দেব। যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী অনার্স অথবা অন্যান্য কোর্স সম্পন্ন করছেন সেহেতু এই সিজিপিএ বের করার জন্য যে নিয়ম রয়েছে তা এখানে যদি আলোচনা করি তাহলে আপনাদের অনেকেরই তা উপকারে আসবে। সিজিপিএ বের করার নিয়ম জানতে আজকের এই পোস্ট অনুসরণ করুন।
যেহেতু আমরা শিক্ষার্থী সেহেতু শিক্ষা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো যেমন আমাদের জানা দরকার অথবা জেনে নেওয়াটা উচিত তেমনিভাবে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করা উচিত। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যখন নিজের সিজিপিএ বের করতে পারবেন না তখন সেই পরীক্ষার ফলাফল দেখে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সার্থকতা কিসের? শিক্ষার্থী হতে হলে পড়ালেখা বিষয়ক প্রত্যেকটি তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে এবং যারা জিপিএ বিষয়ে পাশ করে এসেছেন তাদেরকে বর্তমান সময়ে সিজিপিএ বিষয়ে হিসাব করতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সকল বর্ষের সিজিপিএ বের করার নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হলো।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ বের করার নিয়ম
সিজিপিএ বের করতে হলে যে বিষয়টি জেনে নেওয়া প্রয়োজন সেটি হল যে আপনি কোন কোর্সে অথবা কোন বিষয়ে কোন গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তা দেখতে হবে। কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিজিপিএ চার এর ভেতরে আপনাদেরকে এমন সিস্টেম করে ফলাফল প্রদান করে থাকে অথবা সেই ফলাফল প্রস্তুত হয়ে থাকে যে বিষয়ে আপনাদের ধারণা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে বি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন তাহলে সেটার মান হবে তিন। সে ক্ষেত্রে বি মাইনাস পেয়ে যদি উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সেখানে মান ধরতে হবে 2.75। আবার আপনি যদি বি প্লাস পেয়ে থাকেন তাহলে সেখানে আপনার মান ধরতে হবে ৩.২৫।
এভাবে প্রত্যেকটি গ্রেডে আলাদা আলাদা মান রয়েছে বলে আমরা আপনাদেরকে সেই লিস্ট প্রদান করব যাতে করে আপনারা প্রত্যেকটি গ্রেড দেখে নিয়ে তার মান নির্ণয় করতে পারেন। যখন আপনি এই মান নির্ণয় করতে পারবেন এবং প্রত্যেকটি বিষয়ে কত মান পেয়েছেন তা যাচাই করে একটি নির্দিষ্ট খাতায় লিখতে পারবেন তখন সেই সকল মানের যোগফল নির্ণয় করবেন। যোগ করে যত ফলাফল আসলো তাকে অবশ্যই আপনি গড় করবেন এবং আপনার সর্বমোট বিষয়ের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করবেন। তাহলে উপরের উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা মান নির্ণয় করার পর যখন ভাগ করবেন তখন খুব সহজেই আপনাদের সামনে মোট সিজিপিএ এর পরিমাণ চলে আসবে। তাছাড়া যারা সমন্বিত ফলাফল জানতে চান তাদের বলবো যে সকল বিষয়ের গড় করে আপনার শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী ভাগ করলেই ফলাফল বের হয়ে যাবে।
এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেহেতু আপনাদেরকে এই তথ্য জানিয়ে দিলাম সেহেতু আপনি আপনার প্রাপ্ত ফলাফল এর উপর ভিত্তি করে খুব সহজেই সিজিপিএ বের করে নিতে পারবেন। তারপরও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বের হয়েছে যেখান থেকে সিজিপিএ নির্ণয় করা যায়। তবে খুব সহজ পদ্ধতি যদি অনুসরণ করতে চান তাহলে মান নির্ণয় করে ভাগ করাটাই সবচাইতে ভালো হবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ফলাফল বের করার নিয়ম জেনে নিয়েছেন এবং এই নিয়ম যদি অন্য কেউ শিখিয়ে দেন তাহলে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সর্বমোট কত সিজিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তা নির্ণয় করে নিতে পারবে।
Leave a Reply