
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমরা জানি বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে পড়ার সময় দরখাস্ত লেখানো শেখানো হয়। তারপরেও অনেকেই দেখা যায় যে দরখাস্ত বিষয়টি লিখতে সমস্যা হয় বা অনেকে দরখাস্তকে কঠিন একটি বিষয় মনে করে। কিন্তু দরখাস্ত আসলে কঠিন বিষয় না, অত্যন্ত সহজ একটি বিষয়। দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানলে যে কোন দরখাস্ত বিস্তারিত লিখা সম্ভব হবে। তাই দরখাস্ত লেখার নিয়মটি আয়ত্ত করতে হবে এবং সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লেখার চেষ্টা করতে হবে।
এজন্য যার বা যে সকল ব্যাক্তিদের দরখাস্ত লিখতে সমস্যা হয় তাদের জন্য মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে একটি দরখাস্ত কিভাবে সুন্দরভাবে লেখা যায় এবং উপস্থাপন করলে সে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি দেখতে পারেন। আশা করি এখান থেকে দরখাস্ত লেখার ব্যাপারে আপনি একটি চমৎকার ধারণা পেয়ে যাবেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। আর শিক্ষক নিয়োগের জন্য যেমন নোটিশ দেয়া হয় তেমনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র পাঠাতে হয়। সে আবেদনপত্র লেখার একটা সুন্দর নিয়ম আছে। সেই নিয়মে আবেদন পত্র লিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট পাঠাতে হবে। আবার আবেদনপত্রের সাথে নিজের যাবতীয় সার্টিফিকেট বা সিভি লিখেও জমা দিতে হবে। সে সার্টিফিকেট বা সিভি দেখার পরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিবেন কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন।
তাই অবশ্যই এই বিষয়ে সুন্দর একটি দরখাস্ত লিখে পাঠাতে হবে। দরখাস্তের মধ্যে যদি কোন ভুল বা অপ্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করা থাকে তাহলে সেই দরখাস্তটি গ্রহণ করা হবে না বা সেই দরখাস্তটি ভুল লেখার কারণে তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নাও দেওয়া হতে পারে। তাই অবশ্যই এই বিশেষ সতর্কতার সাথে দরখাস্ত লিখতে হবে এবং সর্বোচ্চ সচেতনতার সাথে সব ধরনের ভুল পরিহার করা দরখাস্তটি উপস্থাপন করতে হবে।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য একটি পরিপূর্ণ দরখাস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট পাঠাতে হবে। শুধুমাত্র দরখাস্ত পাঠালেই হবে না, নিজের যত যোগ্যতা আছে সেই যোগ্যতার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটি পরিপূর্ণ সিভিও জমা দিতে হবে। সে সিভিতে নিজের যত ধরনের অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা রয়েছে সব ধরনের অভিজ্ঞতা যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যার যত ভালো সিভি হবে এবং দরখাস্তটি পরিপূর্ণ হবে সে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য তত বেশি যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে এবং তাকে বেছে নেওয়া হবে শিক্ষক হিসেবে। তাই অবশ্যই নিজের যেকোনো ধরনের যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট থাকলে সেগুলো দরখাস্তের সাথে উল্লেখ করা বেশি প্রয়োজন।
তবে একটি দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতনতার সাথে দরখাস্ত লেখা দরকার। আর দরখাস্তের মধ্যে কোন ধরনের ভুল করা যাবে না। আবার অনেকেই দেখা যায় যে দরখাস্ত অনেক বড় লিখতে পছন্দ করে। কিন্তু দরখাস্ত আসলে বড় লিখতে হয় না। দরখাস্ত সংক্ষিপ্ত আকারে লিখলেই ভালো হবে এবং দরখাস্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় কথা গুলো উল্লেখ করতে হবে। যে কোন দরখাস্তে অপ্রয়োজনীয় বিষয় পরিহার করা উত্তম।
অপ্রয়োজনীয় নানা ধরনের কথা লেখা থাকলে দরখাস্তটি বেশি বড় হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় কথাটি শিক্ষকের নজরে নাও আসতে পারে এই বিষয়টি মাথায় রেখে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা পরিহার করে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা গুলো সুন্দর ভাবে লিখতে হবে যে কোন দরখাস্তে। তাহলে সে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে এবং একটি সুন্দর দরখাস্ত হিসেবে পরিগণিত হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এভাবে দরখাস্তটি লিখলে একটি সুন্দর দরখাস্ত হবে বলে আশা করছি। আর এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Leave a Reply