
ছাত্র জীবনে অথবা কর্মজীবনে যেকোনো কারণে আমরা আমাদের দৈনন্দন কার্যক্রমে অনুপস্থিত থেকে থাকি। সেটা আমাদের স্কুলেও হতে ,পারে কলেজেও, হতে পারে কিংবা আমাদের কর্মক্ষেত্র হতে পারে।
অনুপস্থিত থাকলে অথবা ছুটির আবেদনের জন্য আমরা আমাদের উচ্চস্তর কর্মকর্তার নিকট আবেদন করি। আবেদন স্বরূপ একটি দরখাস্ত নিয়ম অনুযায়ী লিখে সেটাকে স্টাম্প করে অধ্যক্ষ বরাবর প্রদান করতে হয়।
দরখাস্ত বিভিন্ন বিষয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে বাচ্চাদের প্রাইমারি স্কুল থেকেই দরখাস্ত লেখানো হয়। বাচ্চাদের শেখানো হয় কিভাবে কাউকে দরখাস্ত লিখে আবেদন করা যায়।
আপনি যদি আপনার প্রশ্নের সমাধান পেতে চান তাহলে আপনাকে নিশ্চয়ই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে আপনি যে কোন বিষয়ে একটি সুন্দর দরখাস্ত লিখতে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
ছাত্র জীবনে আমরা সকলেই সুখে থাকি কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয় কিন্তু কর্মজীবনে এবং ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনায় আমরা ভুলে যাই সঠিক দরখাস্ত লেখার নিয়ম। এজন্য অনেক সময় চাকরি জীবনে যখন আমাদের দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। অনেকে আছে যারা তাদের পুরাতন ব্যাকরণ বই খুঁজে সেখান থেকে দরখাস্ত লেখার নিয়ম টা সম্পর্কে জেনে নেই। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে সবার সেই সময়টা থাকে না। বই ক্যারি করা বা বইয়ের যোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আর এই আধুনিক বিশ্বে আপনি কেন পুরাতন পদ্ধতিকে ব্যবহার করবেন?
আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে। আপনি সেখানে গুগল নামক অ্যাপে সার্চ অপশনে ক্লিক করে আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লিখে অথবা ভয়েসের সাহায্যে সেটার সমাধান করে নিতে পারেন। অনেক সময় গুগলে সার্চ করে সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার অভাবে আমরা অনেক সময় আমাদের প্রশ্নের উত্তর পাই না। কিন্তু আমরা আপনাকে ভরসা দিতে পারি যে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা আপনাকে সঠিক তথ্যপ্রদানে আমাদের সর্বোপরি চেষ্টা চালিয়ে যাব।
চলুন দেখে নেওয়া যাক অনুপস্থিত থাকার জন্য কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয়। আপনি আপনার উচ্চ কর্মস্থল কর্মকর্তার নিকট আপনার অনুপস্থিতির কারণটা উল্লেখ করবেন এবং তাকে অনুপস্থিত থাকার জন্য, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আপনি আপনার মহাশয় বা মহাসাকে শ্রদ্ধার সহিত
একটি সুন্দর নিউ অনুযায়ী দরখাস্ত লিখে তাকে খুশি করতে পারেন।
স্কুল এবং কলেজের এটা বাধ্যতামূলক যে যেকোনো কারণে অনুপস্থিতি থাকলে তার জন্য দরখাস্ত প্রদান করতে হবে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী জানে না কিভাবে সঠিক নিয়মে একটি দরখাস্ত লিখতে হয়। বিশেষ করে আমাদের ইয়াং জেনারেশন তারা বাংলা ব্যাকরণে একদম ইন্টারেস্ট নয়। তারা সবসময় বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করার মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু তাদের কর্মজীবনে এবং শিক্ষা জীবনে অধিকাংশ সময় বাংলা ভাষা প্রয়োজন পড়ে।
অনেক অনুচ্ছেদ এবং জনসংখ্যার রিপোর্ট যাকে আদমশুমারি বলা হয়। উক্ত গণনা পদ্ধতি দ্বারা জানা যায় যে বাংলাদেশের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ব্যাকরণ এর জ্ঞান অর্জন অনেকাংশে পিছিয়ে আছে। তারা বাংলা ভাষাকে সব সময় উপেক্ষা করে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে ই বাংলা ভাষাকে সমান প্রাধান্য দেওয়া হয়।
এটা লক্ষ্য নিয়ে যে সকল প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষা এবং ভর্তি যুদ্ধে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অন্য সকল সাবজেক্টের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তাই আমাদের নিউজ জেনারেশনকে বাংলা ভাষার প্রতি অগ্রসর করতে হবে। বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করলে কখনোই জীবনে সফলতা অর্জন হবে না। বাংলা আমাদের মাতৃভাষ, বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। তাই আমরা সকলে ই বাংলা ভাষায় দরখাস্ত লিখার নিয়ম। এবং বাংলা ভাষায় চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেব।
আধুনিক বিশ্বে আমাদের জন্য সবকিছু খুব সহজ হয়ে গেছে। আমরা এখন যেখানে সেখানে ই যে কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিতে পারি। আমরা কিছু বিষয়ের উপর যদি পড়তে চাই তাহলে আমরা বই ছাড়াও সেটা করতে পারি। আমরা আমাদের হাতে ফোন দিয়ে যেকোনো বিষয়ে পড়ে নিতে পারি এবং যেখানে সেখানে সেটা সম্ভব।
অনুপস্থিত থাকার জন্য দরখাস্ত লেখাটা আমাদের সকলের জীবনে খুব পরিচিত। কারণ আমরা অধিকাংশ ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকার জন্য প্রধান অধ্যক্ষের কাছে দরখাস্ত লিখে থাকি।
Leave a Reply