জ্বর থাকার কারনে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

জ্বর থাকার কারনে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বিভিন্ন কারণে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আমরা যে প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নেই না কেন সে প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ছুটি নেওয়ার কারণটি উল্লেখ করে দরখাস্ত জমা দিতে হয় বা আবেদন পত্র লিখতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে কিভাবে দরখাস্তটি লিখতে হবে বা দরখাস্ত কিভাবে লিখলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে এই বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারে না। তাই অনেকেই দেখা যায় যে অনলাইনে দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো সার্চ করতে থাকে বা কিভাবে দরখাস্ত লিখলে ভালো হবে এই বিষয়গুলো সার্চ করতে থাকে। তাই মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সহজে দরখাস্ত লিখার নিয়ম গুলো পেয়ে যায়।

এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে দরখাস্ত লেখার নিয়মের মাধ্যমে। তবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে জ্বর থাকার কারণে কোন পরীক্ষার্থী যদি পরীক্ষায় না উপস্থিত হতে পারে বা অনুপস্থিত থাকে তাহলে সে কিভাবে দরখাস্ত লিখে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে জমা দিবে। এই বিষয়টি যদি কোন শিক্ষার্থী এই বিষয়টি সার্চ করে থাকে বা এই ধরনের দরখাস্ত খুজে থাকে তাহলে তার জন্য আজকের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে আশা করছি।

কোন শিক্ষার্থী যদি অসুস্থতার কারণে বা জ্বর থাকার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে তাকে দরখাস্ত জমা দিতে হয়। তেমনি ভাবে সে যদি পরীক্ষায় উপস্থিত না হতে পারে এবং অনেক বেশি অসুস্থ হয় তাহলে দরখাস্ত জমা দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। এজন্য অবশ্যই এরকম যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে বা জ্বর এসে থাকে বা অন্য কোন অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা না যায় তাহলে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত জমা দেওয়া দরকার।

কিন্তু কোন শিক্ষার্থী যদি এ ধরনের দরখাস্ত লিখতে না পারে তবে সে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বা প্রধান শিক্ষক তার বিষয়টি বুঝতে না পেরে দরখাস্তটি গ্রহণ নাও করতে পারে। এজন্য সঠিক নিয়মটি অনুসরণ করে দরখাস্তটি লিখতে হবে এবং নির্ভুলভাবে দরখাস্তটি লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যিনি আছেন তার কাছে পাঠাতে হবে।

একটি দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই সে দরখাস্তটির ভুল পরিহার করতে হবে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে লিখতে হবে। কেননা ভুল দরখাস্ত গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই যদি কোন দরখাস্ত লিখতে গিয়ে ভুল হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই দরখাস্তটি বাতিল করে পুনরায় দরখাস্তটি লিখতে হবে। আবার যদি দরখাস্তের মধ্যে কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে যতদূর সম্ভব কাটাকাটি পরিহার করা দরকার। কিন্তু কাটাকাটি হয়ে

গেলেও সে দরখাস্তকে সুন্দরভাবে আবার দরখাস্ত লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। তাছাড়া একটি দরখাস্ত কি বিষয়ে লিখা হচ্ছে এটিও মাথায় রাখতে হবে এবং বিষয়বস্তুগুলো সুন্দরভাবে পরিষ্কারভাবে দরখাস্তের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে তা না হলে দরখাস্তটি প্রধান শিক্ষক গ্রহণ করতে নাও পারেন এবং দরখাস্তের বিষয়বস্তু প্রধান শিক্ষক বুঝতে নাও পারেন।

একটি দরখাস্ত শুরু করতে হলে প্রথমে দরখাস্তটিতে তারিখ লিখতে হবে এবং তারিখের পরে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। তারপর দরখাস্ত টির বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উল্লেখ করতে হবে। দরখাস্তটির বিষয়টি যদি সুন্দরভাবে উল্লেখ করা না যায় তাহলে প্রধান শিক্ষকের দরখাস্ত লিখতে পারবে না। এরপরে মূল দরখাস্তটি লেখা শুরু করতে হবে এবং জ্বর হওয়ার কারণে যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেনি

বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এই বিষয়টি সুন্দরভাবে দরখাস্তের ভিতর উল্লেখ করতে হবে এবং দরখাস্ত লেখা শেষে নিজের পরিচয় অবশ্যই দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের নাম, নিজের শ্রেণী বা কোন শ্রেণীতে অবস্থানগত সেই শ্রেণীর নাম, ক্লাসের রুল এবং বিদ্যালয়ের নাম লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে পাঠাতে হবে। এই বিষয়গুলো অনুসরণ করলে একটি সুন্দর দরখাস্ত লিখা সম্ভব এবং দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করছি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*