কোম্পানির চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

কোম্পানির চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বর্তমানে সরকারি চাকরি পাওয়া কষ্টকর। তাই দেশের অধিকাংশ যুবক-যুবতী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তে চাকরি করাটা বর্তমান যুগে বেশ সচরাচর। কিন্তু সকলে আশা করে একটি সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরির যেমন সম্মান রয়েছে তেমন সরকারি চাকরিতে কষ্ট করতে হয় না। সরকারি চাকরিতে আরাম আয়েশ করে চাকরি করা যায়। কারণ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের কার্য পরিচালনা করে। সরকারি কর্মচারীদের ওপর জোরজবরদস্তি থাকে না। সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীদের আমলা বলা হয়। আমলা দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থা কে বলা হয় আমলাতন্ত্র। সরকারি সকল কর্মকান্ড ধীরগতিতে পরিচালিত হয়। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ বেশি থাকে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে হয়। তাই সকল যুবক যুবতী একটি সরকারি চাকরির জন্য অনেক প্রতিষ্ঠা চালিয়ে থাকে।

কোম্পানিতে অর্থাৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীরা ছুটি কাটাতে পারেনা। বিভিন্ন ধরনের ভুল ত্রুটির জন্য অনেক জবাবদিহিতা করতে হয়। কর্মচারীগণ তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং পরিবারকে সময় দিতে পারেনা। যারা কোম্পানিতে চাকরি করে তারা অনেক ব্যস্ততার সঙ্গে জীবন কাটায়। তাদের স্ত্রী সন্তানের জন্য কোন সময় থাকে না তাদের কাছে। এজন্য অনেকে কোম্পানিতে চাকরি করতে চাই না। আমাদের অধিকাংশ বন্ধুরা যারা কোম্পানিতে চাকরি করে শারীরিক এবং মানসিকভাবে চাপ অনুভব করেন, তারা তাদের চাকরিটা ছেড়ে দিতে চাই। তখন কোম্পানিতে একটি ছাড়পত্র হিসেবে দরখাস্ত প্রদান করতে হয়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানিতে যখন কোন যুবক-যুবতী চাকরিতে জয়েন করে তখন কিছু নিয়মাবলী অথবা কন্টাক্ট পেপারে সাইন করতে হয়। কোম্পানির যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার। চাকরিতে অনুগত থাকার। সৎ এবং সততার সঙ্গে কার্য পরিচালনার। দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার। এবং বিশেষ করে কোম্পানির বসকে সম্মান প্রদর্শন এবং সম্মানীয় বসের সকল কথা কর্মচারীর নিকট আল্লাহর বাণী হিসেবে প্রচলিত হবে। এইসব কঠোর আইন কানুন মেনে চলতে হয় কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের। তাই সবার পক্ষে কোম্পানির চাকরি করা সম্ভব হয় না। চাকরির অভাবে বেকারত্ব দূর করতে অনেক যুবক যুবতী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর্থিক সংকটে পড়েও অনেকে কোম্পানিতে চাকরি করেন। কোম্পানির চাকরি বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

অনেক অনেক কোম্পানি আছে যেখানে কর্মচারীদের নির্যাতন করা হয়। তারা অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। এবং কোম্পানির উচ্চকর্ম কর্তার দ্বারা পরিচালিত হতে হয়। কাজের জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় এবং সকল হিসেব নিকাশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হয়। এইসব কারণে অনেক বন্ধুগণ কোম্পানির চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়। তাদের পক্ষে চাকরি করা সম্ভব হয় না। তখন চাকরি ছাড়ার জন্য উচ্চ কর্মকর্তার নিকট চাকরি ছাড়ার জন্য দরখাস্ত হিসেবে ছাড়পত্র দিতে হয়।

একজন কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন কারণে চাকরি ছাড়তে পারে। চাকরি ছাড়া আর অনেক কারণ থাকতে পারে। ব্যক্তিগত এবং পারিবার যেকোনো বিষয় হোক না কেন চাকরি ছাড়ার জন্য দরখাস্ত লিখতে হয়।
কোম্পানিতে চাকরি করতে ভালো না লাগলে দরখাস্ত লিখতে হয়।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোম্পানির চাকরি থেকে বিরতি নেওয়ার জন্য দরখাস্ত লিখতে হয়।
কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অবস্থায় কোনো ভালো প্রতিষ্ঠা নেই অথবা সরকারি চাকরি পেয়ে গেলে তখন ছাড়পত্র হিসেবে দরখাস্ত লিখতে হয় কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার নিকট।
শারীরিক এবং মানুষের ভাবে চাকরি যদি বেশি কঠোর হয় সে সে ক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হয়। এগুলো বিভিন্ন কারণে কোম্পানির চাকরি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় অনেক যুবক যুবতী। তখন নিয়ম অনুসারে একটি ছাড়পত্র লিখতে হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না কোম্পানি চাকরি ছাড়ার জন্য কিভাবে একটি সুন্দর দরখাস্ত লিখতে হয়।

আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ছাড়তে চান তাহলে একটি সঠিক এবং যথার্থ যুক্তি সহ কারণ দেখিয়ে একটি ছাড়পত্র হিসেবে দরখাস্ত লিখে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে উপস্থাপন করতে হয়। যেহেতু চাকরি ছাড়ার জন্য দরখাস্ত সেজন্য দরখাস্তটি অবশ্যই যথার্থ যৌক্তিক হতে হবে। এজন্য আমাদের আর্টিকেলটি আপনাকে নিশ্চয় সহায়তা করবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*