আপনি কি এসে খতিয়ান যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট করেছেন? সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে এস এ খতিয়ান যাচাই করার নিয়ম হিসেবে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হবে। আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান যাচাই করতে চান অথবা এস এ খতিয়ান যাচাই করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এটি যাচাই করে নিতে পারবেন।
আপনাদের জন্য এসএ খতিয়ান যাচাই করার বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো এবং এতে করে আপনারা খুব সহজ নিয়মেই এগুলো যাচাই করে নিয়ে যেকোন তথ্য ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা মনে করি যে এই নিয়মগুলো যদি আপনাদের জানা থাকে অথবা সঠিক ওয়েবসাইট যদি আপনাদের চেনা থাকে তাহলে প্রত্যেকটি তথ্য কিভাবে যাচাই করতে হবে তা আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন।
জমির যেকোনো ধরনের খতিয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং খতিয়ানের মাধ্যমে যে কোন জমি খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে বলে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে আপনি যদি চান তাহলে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ভূমি সংক্রান্ত অনলাইন সেবা গ্রহণ করতে পারেন। কর্মব্যস্ত মানুষের জীবনে দিনের পর দিন ভূমি অফিসে গিয়ে সময় নষ্ট করার মত সময় আর নেই এবং সেই জন্য ঘরে বসে কয়েকটি ক্লিক করার মাধ্যমে এবং কিছু তথ্য ইনপুট করার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের তথ্য চেক করা যাচ্ছে।
যেকোনো ধরনের খতিয়ানের নাম্বারের ওপরে ভিত্তি করে যে কোন জমির মালিকানা আমরা খুব সহজেই নির্দেশ করতে পারি এবং এর মাধ্যমে জানতে পারি সেই জমির সর্বশেষ মালিক এর নাম কি। যেহেতু যেকোনো জমির বিষয়ে নামজারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেহেতু সর্বশেষ কার নামে নাম জারি হয়েছে এবং সেটি কি ধরনের জমি এবং সেই জমির পরিমাণ সরকারি কাগজ-কলমে কত পরিমান নির্ধারণ করা আছে এই বিষয়গুলো আমরা খতিয়ানের মাধ্যমে যাচাই করার সুযোগ পেয়ে থাকি।
তাই জমি সংক্রান্ত ধারণা অর্জন করতে অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে আপনাদেরকে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে। নিচের দিকে আপনাদের জন্য সিএস খতিয়ান কি এবং সিএস খতিয়ানের চেক করার নিয়ম গুলো বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো।
আমরা যদি বাংলার ইতিহাস জানতে চাই তাহলে দেখব যে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস করা হয়। এই আইনের বলে একজন মানুষের জমি সরকারি অধিগ্রহণে চলে যায় এবং সরকার সেই সকল জমিগুলো অধিগ্রহণ করে খুব সহজেই সরকারি কর্মচারী দিয়ে প্রত্যেকটি জমির আলাদা আলাদা ভাবে নকশা নির্ধারণ করে থাকেন। এই নকশা নির্ধারণ করার পরে প্রত্যেকের জমিতে এবং প্রত্যেকটি মৌজাতে আলাদা আলাদা ভাবে জমির দাগ নাম্বার প্রদান করা হয় এবং সেটা কি ধরনের জমি তা লিপিবদ্ধ করা হয়।
জমিগুলো যখন লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে তখন তা সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করে একটি নির্দিষ্ট রেকর্ড তৈরি করা হয় এবং বর্তমান সময়ে সেই রেকর্ড গুলো অনলাইনের মাধ্যমে আপলোড করে আমাদের সকলের দেখার সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। তাই আপনি যখন এস এ খতিয়ান সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাকে এ বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব।
এখন আপনি যদি এসে খতিয়ান ঘরে বসে যাচাই করে কারো জমির মালিকানা সম্পর্কে এবং সেই জমির ধরন সম্পর্কে এবং খাজনা প্রদান করার ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে আমরা ই পর্চা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার দিকনির্দেশনা প্রদান করব। এই ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো https://eporcha.gov.bd/ । এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা যখন সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন তখন খতিয়ান অনুসন্ধান করুন নামক যে অপশন প্রদর্শন করানো হবে সেখানে যাবেন।
সেখানে যাওয়ার পর আপনি এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করবেন বলে তা নির্বাচন করবেন এবং যে সকল তথ্যগুলো সেগুলো দিয়ে দিবেন। এরপরে আপনাদেরকে আপনাদের যে এলাকার অথবা যে বিভাগের খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করার জন্য জেলা নির্বাচন এবং উপজেলা থেকে শুরু করে মৌজার তথ্যগুলো প্রদান করা লাগবে। আপনি যখন এ সকল তথ্য প্রদান করতে পারবেন তখন এস এ খতিয়ানের নাম্বার লিখে নিচের ক্যাপচা কোড পূরণ করে সার্চ করলেই প্রত্যেকটি তথ্য আপনাদের সামনে চলে আসবে। আশা করছি যে এভাবে আপনারা খুব সহজ নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে এস এ খতিয়ান যাচাই করে নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে আপনাদেরকে সঠিক তথ্যগুলো প্রদান করা হলো।
Leave a Reply