জারণ সংখ্যা মনে রাখার সহজ উপায়

অনেক শিক্ষার্থীর কাছে রসায়নের জারণ বিজারণ অংশটি অনেক কঠিন মনে হয়, একটু আগে বুঝলেও পরমুহূর্তে ভুলে যায় অথবা গুলিয়ে ফেলে। প্রিয় শিক্ষার্থীরা,তোমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি জারণ সংখ্যা মনে রাখার সহজ উপায়।

আসো প্রথমে জেনে নেওয়া যাক জারক, বিজারক কোনটা অথবা কাকে বলে। অনেকে জারক বিজারক আইডেন্টিফাই করতে পারেনা, এ সমস্যার সমাধান করতে আমরা নিয়ে এসেছি মজার একটি ছন্দ।

~জাবিজা(জারক বিজারণ করে )
~বিজাবি(বিজারক জারণ করে)

অর্থাৎ জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সময় যে মৌল ইলেকট্রন গ্রহণ করে অর্থাৎ বিচার সম্পন্ন করে সেটা জারক। অন্যদিকে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সময় যে মৌল ইলেকট্রন ত্যাগ করে অর্থাৎ জারণ ঘটায় তাহা বিজারক।

সুতরাং
~বিজারকের দ্বারা জারণ হয়
~জারকের দ্বারা বিজারণ হয়

তাহলে জাবিজা,বিজাবির দ্বারা সহজেই মনে রাখতে পারো জারক ,বিজারক। এবার চলো জেনে নেওয়া যাক জারণ সংখ্যা বের করার সহজ নিয়ম-

১/ ধাতুসমূহের জারণ সংখ্যা ধনাত্মক এবং অধাতু সমূহের জারণ সংখ্যা ঋনাত্মক হয়। যেমন:Nacl এর ক্ষেত্রে Na এর জারণসংখ্যা +1 ,cl এর জারণ সংখ্যা -1 ।

২/ নিরপেক্ষ পরমাণু বা মুক্ত মৌলের জারণসংখ্যা ০ হয়। যেমন: Fe এর জারণসংখ্যা 0।

৩/ নিরপেক্ষ যৌগে পরমাণুসমূহের মোট জারণসংখ্যা শূন্য হয়। যেমন: H20।

৪/ আধার বিশিষ্ট আয়নে পরমাণুসমূহের মোট জনসংখ্যা আধান সংখ্যার সমান হয়। যেমন: NH4+,এখানে জারণসংখ্যা +1।

৫/ ক্ষার ধাতু সমূহের জারণ সংখ্যা +1 হয়। যেমন Kcl,এখানে Kএর জারণসংখ্যা +1।

৬/ মৃৎক্ষার ধাতু সমূহের জারণ সংখ্যা -1। যেমন: CaO এখানে Ca এর জারণসংখ্যা +2।

৭/ ধাতব হ্যালাইডে হ্যালোজেনের জারণসংখ্যা -1 হয়। যেমন: Licl এখানে cl এর জারণসংখ্যা -1।

৮/ অধিকাংশ যৌগে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা – 2, পার অক্সাইড এর জারণ সংখ্যা – 1 এবং সুপার অক্সাইড এর জারণ সংখ্যা -1/2 হয়।যেমন:
CaO (0= -2,oxide)
H202(0= -1, peroxide)
KO2(0= -1/2, superoxide)

প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করি,উপরের টেকনিক গুলো অনুসরণ করলে সহজে তোমরা জারণ সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*