
বর্তমান বাংলাদেশের পেছনে জড়িত আছে নয় মাসে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং অতীতের অনেক হারানো স্মৃতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ৭ই মার্চ স্বাধীনতার জন্য সকলকে আহবান করলেন এবং নিজেদের যা আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ প্রদান করলেন তখন দেখা গেল যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশ থেকে সকল বাঙালিকে সরিয়ে পোড়ামাটির নীতি অনুসরণ করা হলো। 25 শে মার্চ এক বর্বরতার মাধ্যমে এ দেশের মানুষকে পিষে মেরে ফেলল এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার সহ এ দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলল।
তবে এদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে সর্বপ্রথম যারা সশস্ত্র প্রতিরোধ বা আন্দোলন গড়ে তোলেন তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং তাদের এই অবদানের মাধ্যমে প্রত্যেকটা মানুষ অনুপ্রাণিত হওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে কিভাবে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতে হয় এবং দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেদের কতটা আত্মত্যাগ করতে হয় তা তারা শিক্ষা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কাছে এক গৌরবের নাম এবং এখানে অনেককে হারালেও আমরা এই হারানোর ভেতর দিয়ে এক স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
প্রত্যেকটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য অথবা সে দেশের শান্তি আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয় এবং এই ক্ষতি আমাদের দেশে অনেক পরিমাণ হয়ে গিয়েছে।তবে যাই হোক মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলা শুরু করলে তা কখনোই শেষ হবে না এবং আপনাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের যেটি আলোচ্য বিষয় বস্তু সেটি হল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কারা কোথায় গড়ে তোলেন।
প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় গাজীপুরে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণের পরে পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন যে ষড়যন্ত্র করছিল এবং এদেশে ধীরে ধীরে যে পরিমাণ পাক হানাদার বাহিনী পাঠাচ্ছিল তাতে এদেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল এখানে যুদ্ধ অবশ্যই হবে। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্বরত অফিসার কে অথবা পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের 19 তারিখে। অর্থাৎ অপারেশন সার্চলাইট হওয়ার আগে এদেশের মানুষ বুঝে গিয়েছিল যে কি হতে চলেছে এবং সেই জন্য নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এবং নিজের মাতৃভূমিকে ভালোবাসার তাগিদে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়ে যায়।
Leave a Reply