আপনারা যারা শাওয়াল মাসে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করতে চান তারা এই ইবাদত করার জন্য এর আমল সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন এবং এই আমলগুলো করার ফলে কি ধরনের ফজিলতপ্রাপ্ত হবেন তাদের নিবেন। যেহেতু আমরা মুসলিম সেহেতু আমাদেরকে প্রত্যেক মাসের হিসাব অনুযায়ী এবং প্রত্যেকটি আরবি মাসের নিয়ম অনুসরণ করে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।
আমরা সকলেই কমবেশি জেনে থাকবো যে আর বেশি শাওয়াল মাস এর প্রথম তারিখ হল ঈদুল ফিতরের দিন। তাই রোজার মাস সম্পূর্ণ করার পর যখন আপনি শাওয়াল মাস পালন করতে চাইবেন তখন এখানকার বিশেষ কিছু আমল করলে সেটার জন্য আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সওয়াব পাবেন এবং এই ক্ষেত্রে এই আমলগুলো কখনোই বাদ না দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমরা মুসলিম হিসেবে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য এবাদত করা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। তাই আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের এবাদত করবেন তখন তার সাথে চাঁদের উপরে নির্ভর গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো করলে অশেষ সওয়াব হাসিল করতে পারবেন। তাই আপনারা জেনে থাকবেন যে শাওয়াল মাস হল আরবি বছরের দশম নাম্বার মাস এবং পবিত্র রমজান মাস সম্পূর্ণ করার পর যখন নতুন চাঁদ দেখা যায় তখন আমরা ঈদুল ফিতরের আনন্দে সকলের সঙ্গে মেতে উঠে। তাই আপনি যখন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন তখন সেটা শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এবং সেই মাসে বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য আমল রয়েছে যেগুলো একজন মুসলমানের করা অত্যন্ত জরুরী।
তাছাড়া শাওয়াল মাস হল এমন একটি মাস যে মাসে আমরা ঈদুল ফিতর পালন করার মধ্য দিয়ে ঈদ উল আযহার জন্য নিজেদেরকে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে পারি। তাছাড়া ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ খুটির নাম হল হজ পালন করা। তাই আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে হজ পালন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং হজ পালন করার জন্য আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। তাই শাওয়াল মাস দশমাস হিসেবে হওয়ার কারণে আপনাদেরকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত করার জন্য মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং হজের জন্য সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই আগে থেকে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে রাখতে হবে।
তবে আপনি যখন শাওয়াল মাসের ইবাদত সম্পর্কে জানতে এসেছেন তখন বলব যে এটার অর্থ হল আপনার পাল্লা ভারি করা অথবা কোন কিছুতে বিজয় লাভ করা।ভাই আপনি যদি শাওয়াল মাসের ইবাদত করতে পারেন তাহলে আপনার উন্নতি লাভ হবে এবং আপনার জীবনে অবশ্যই সাফল্য আসবে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে শাওয়াল মাসে বিয়ে হওয়াটা বরকতময়। তাই আপনি যখন শাওয়াল মাসে বিয়ে করবেন এবং শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে ছয় রোজা শাওয়াল মাসে পালন করবেন তখন অবশ্যই সেটা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। তাছাড়া আপনারা যারা জানেন না যে এই ছয় রোজা কিভাবে পালন করতে হয় তাদেরকে বলব যে এটা পালন করা সুন্নত এবং এটা যদি আপনি পালন করতে পারেন তাহলে রমজান মাসের যে সিয়াম সাধনা করছেন তার সমপরিমাণ সওয়াব পেয়ে যাবেন।
তাই শাওয়াল মাসের ইবাদত করার ক্ষেত্রে আপনারা সর্বপ্রথমে রমজান মাসের সাক্ষী রোজা হিসেবে ছয়টি রোজা যখন রাখবেন তখন আপনার সারা বছরই রোজা পালন করার সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করা হবে। তাই রোজা রাখার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনারা করবেন এবং সাহারি খাওয়া থেকে শুরু করে ইফতার করা পর্যন্ত প্রত্যেকটি কাজের রমজান মাসের মধ্যে যদি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
তাই শাওয়াল মাসের এই ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ রোজা রাখার পাশাপাশি আপনারা হজের জন্য এবং কোরবানির জন্য শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে ও আর্থিকভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে রাখাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যারা এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারলেন তাদেরকে ধন্যবাদ এবং সকলকে মহান আল্লাহ পাক বরকত দান করুন (আমীন) ।
Leave a Reply