প্রিয় মুসলমান ভাই এবং বোনেরা, সকলকে আসসালামু আলাইকুম জানিয়ে আজকের এই পোস্ট শুরু করছি। আপনারা যারা সবাই মেরাজের আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি কিভাবে এই আমল করবেন তা জেনে নিবেন। ইসলামিক বিভিন্ন ধরনের রীতিনীতি অথবা বিভিন্ন ধরনের আমল আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট করা হচ্ছে বলে এখান থেকে আপনারা তা জেনে নিতে পারছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছেন।
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে শবে মেরাজ কবে পালন করা হয় এবং শবে মেরাজ কেন পালন করা হয় এবং এক্ষেত্রে কিভাবে পালন করতে হবে সেই তথ্যগুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা যদি শবে মেরাজ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্ট পুরোপুরি পড়লে বুঝতে পারবেন। শবে মেরাজের আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়ার জন্য আহবান করা হলো।
আমরা হয়তো জানি যে শবে মেরাজ পালন করা হয় এবং এটা কবে পালন করা হয় এটা অনেকেই জানিনা। তাই আপনি যখন শবে মেরাজের তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে সাবান মাসের ১৪ তারিখ এটি দিবাগত রাতে পালন করা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি রাত যেখানে আমাদের সকল কিছু ঊর্ধ্বগমণ ঘটে এবং উর্ধ্বগমনের রাত হিসেবে এটাকে পরিগণিত করা হয়। তাছাড়া সবে মানে রাত এবং মেরাজ মানে উর্ধ্ব গমন হওয়ার কারণে এটাকে আমরা ঊর্ধ্ব গমনের রাত হিসেবে জেনে থাকি। আমরা যদি হাদিস শরীফের আলোকে এটাকে সঙ্গেই তো করতে চাই তাহলে দেখব যে এটা একটা অলৌকিক অসামান্য রাত যেখানে ইবাদত বন্দেগি করার মাধ্যমে নফল ইবাদত সম্পন্ন করা যায়।
আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অনুমতি নেওয়ার জন্য পবিত্র কাবা হতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীর্থস্থানে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস নামক যে সপ্ত আকাশ রয়েছে সেখানে তিনি নূরের পর্দা পেরিয়ে মহান আল্লাহ পাকের দিদার লাভ করার জন্য গিয়ে থাকেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে। তিনি সৃষ্টি জগতের যাবতীয় অপার রহস্য নিয়ে ভাবতে থাকেন এবং এখান থেকে একজন মানুষের বের হয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ইবাদত করার মাধ্যমে কিভাবে পরিশ্রম পাওয়া যায় সে বিষয়গুলো চিন্তা-ভাবনা করার মাধ্যমে শবে মেরাজের ঘটনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই আপনারা যখন শবে মেরাজের আমল সম্পর্কে জানতে আসবেন তখন আপনাদের বলব যে আপনারা এই দিনটি রোজা রাখতে পারেন। নফল ইবাদত হিসেবে আপনারা দিনের বেলায় রোজা রাখবেন এবং রাতের বেলায় রাত জেগে নফল ইবাদত করার ক্ষেত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন। আপনি যদি কুরআন তিলাওয়াত অথবা জিকির করতে চান তাহলে তা করতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে শবে মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ পাক পৃথিবীর খুবই সন্নিকটে চলে আসেন এবং কেউ কেউ ক্ষমাপ্রার্থী আছেন কিনা অথবা তার কাছে কেউ দোয়া প্রার্থী আছেন কিনা এ বিষয়ে তিনি সরাসরি বান্দাদের জন্য বিভিন্ন কিছুর ব্যবস্থা করে থাকেন।
তাই আপনি যখন শবে মেরাজের নামাজ আদায় করার জন্য মনস্থির করবেন তখন অবশ্যই দুই রাকাতের নিয়তে নামাজগুলো আদায় করবেন এবং 12 রাকাত নফল নামাজ এভাবে আদায় করতে পারবেন। তবে যে কোন নফল ইবাদত করার পূর্বে অবশ্যই আপনাদেরকে অজু করে এবং পাক-পবিত্র শরীর নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আপনারা সেই দিনকে রোজা রাখবেন এবং রাতের বেলায় জিকির আজগর এবং অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনাদের দোয়া পৌঁছে দিতে পারেন।
প্রত্যেকটি মুসলমানের জীবনে শবে মেরাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ রাত হওয়ার কারণে আপনারা এই রাতকে না এড়িয়ে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল হয়ে থাকতে পারেন এবং নিজেদের দোয়ার দরখাস্ত গুলো মহান আল্লাহ পাকের কাছে প্রেরণ করতে পারেন।
Leave a Reply