শবে কদরের আমল – কদর রাতের আমল সমূহ

কদর রাতের আমল সমূহ

আপনি যদি রমজান মাসের শবে কদরের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো যে আমাদের ওয়েবসাইটে এই আমল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা আছে। শবে কদর কিভাবে এলো অথবা শবে কদরের আমল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করার পাশাপাশি আপনারা যখন জানতে চাইবেন শবে কদরের রাত কবে পালন করা হয়ে থাকে তখন আপনাদেরকে এই উত্তর প্রদান করা হবে। আমাদের দেশে বিশেষ করে রমজান মাসের ২৭ তারিখে দিবাগত রাতে এটি পালন করা হয়ে থাকে এবং অনেকে মনে করে থাকেন সাদা সে রমজান হল শবে কদরের রাত। কিন্তু সে দিক থেকে বিবেচনা করলে এটা হবে না এবং আমাদেরকে জানতে হবে যে রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের প্রত্যেকটি বিজোড় রাত হল শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনার রাত।

তাই আপনি ২৭ এ রমজান শবে কদর পালন করবেন এবং সেই শবে কদর মহান আল্লাহপাক 23 শে রমজানে দিয়ে রেখেছেন এবং সেটা আপনি জানেন না বলে আপনার ইবাদত করা হলো না। রমজান মাসে নিজেদের ইবাদতের শ্রেষ্ঠ তো দেখানোর মাধ্যমে আপনি আল্লাহ পাকের কাছে দুনিয়ার জীবনের ক্ষমা চাইতে পারবেন এবং আপনার মনের ভেতরে আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আপনারা দোয়া কবুলের মাধ্যমে করতে পারবেন। তাই একজন মুসলিম হিসেবে এবং নবীর সুন্নাহ পালন করার উদ্দেশ্যে অবশ্যই আপনারা শবে কদরের রাত জাগার জন্য বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বিজয় রাত গুলো জাগার চেষ্টা করবেন। আর রাত জেগে যে আমলগুলো করবেন সেই আমলগুলো নিচের দিকে প্রদান করা হলো এবং এগুলো আমল করলেই আপনারা শবে কদরের যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।

কদর রাতের ফজিলত জেনে যখন আপনারা এই রাত্রি পালন করতে চাইবেন তখন অবশ্যই নিম্নলিখিত আমল গুলো আপনারা করতে পারেন। প্রধানত অনেকেই জানেন না বলে শুধু নফল নামাজ আদায় করতে থাকেন এবং নফল নামাজের পাশাপাশি কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত এবং অন্যান্য এবাদত বন্দেগী করতে থাকেন। আপনি যখন শবে কদর রাতের ফজিলত জেনে নিয়ে এবং সেখানকার আমল জেনে নিয়ে তা করতে থাকবেন তখন আপনাকে বলব যে অবশ্যই মসজিদে প্রবেশ করে আপনারা আগে দুখুলিল মসজিদ নামাজ আদায় করবেন।

তারপরে আপনারা দুই রাকাত করে ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবেন এবং এই নামাজটি হবে আউওয়াবিনের নামাজ। এই নামাজ আদায় করার পরে আপনারা তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেন এবং যারা তারাবির নামাজ আগে থেকেই পড়ে রেখেছেন তারা নফল নামাজ হিসেবে দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি শেষ রাতে সাহারি করার আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে যদি মনে করেন সালাতুল তাজবি নামাজ আদায় করবেন তাহলে করতে পারেন। এভাবে নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আপনারা বেশি বেশি করে তওবা করবেন এবং ইস্তেগফার পাঠ করবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মহিমান্বিত দোয়া গুলো আপনারা পাঠ করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের সূরা পাঠ করার ক্ষেত্রে সূরা কদর থেকে শুরু করে বেশ কিছু সূরা আপনারা চাইলে পাঠ করতে পারবেন। আর কদর রাতে বিশেষত্ব হলো যে আপনি এই রাতে যে দোয়া করবেন সেই দোয়া ফাঁস দিলে করলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আপনাদের ফরিয়াদ শুনবে এবং সেটা পূরণ করবেন।

তাই কদর রাতে আপনারা অলসতার ভেতরে না কাটিয়ে যদি জীবনের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা পেতে চান এবং সকলের জন্য দোয়া করে সকলের দুনিয়াবী জীবনের পাশাপাশি আখিরাতের জীবনের জন্য দোয়া করতে চান তাহলে তা করতে পারেন। বিশেষ করে পিতা মাতার জন্য দোয়া করবেন এবং নিজের ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করলে এবং সৎপথে থাকার জন্য মনে প্রাণে দোয়া করলে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সাহায্য করবেন।

তাই কদরের রাত একটি মহিমান্বিত রাত হওয়ার জন্য এবং এটি একটি সম্মানিত রাত হওয়ার জন্য অবশ্যই এ রাতের ইবাদত আপনারা মিস করবেন না। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে আপনারা এই রাতে এবাদত করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের নিকট্য হাসিল করতে পারবেন এবং তিনি আপনাদেরকে অবশ্যই এই রাত জাগার জন্য পুরস্কার প্রদান করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*