ফরজ নামাজের পর আমল

ফরজ নামাজের পর আমল

আমরা যখন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের ফরজ নামাজ আদায় করে তখন এটার পরে অনেক আমল রয়েছে যেগুলো আমরা চাইলেই করতে পারি। ফরজ নামাজ আদায় করার পর আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় থাকে তাহলে অবশ্যই এই আমল গুলো করবেন এবং আমলগুলো নফল ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আপনার জন্যই এটা অনেক ভালো হবে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে ফরজ নামাজের পর কিভাবে কোন আমল করবেন তা জেনে নিবেন এবং এখানকার এই জেনে নেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমল করলে আপনারা সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন। নিচের দিকে ফরজ নামাজের পর কি কি আমল করতে হয় তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হল।

আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রত্যেকটি ফরজ নামাজের পরে আস্তাগফিরুল্লাহ তিনবার করে পাঠ করতেন। তাই আপনি যদি তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো এবং এর মাধ্যমে আপনার নামাজের ভুল ভ্রান্তি যেমন দূর হয়ে যাবে তেমনি ভাবে আপনি অন্যান্য পাপের থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। পাঠ করার পর আপনারা আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম’ – এটি পাঠ করবেন। (মুসলিম, হাদিস : ১২২১)

তারপরে আমরা যারা জানি না তারা বলব যে এক্ষেত্রে আশেপাশের অনেকেই ফরজ নামাজ শেষ করার পরে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ 33 বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ করে থাকেন। এই ফরজ নামাজের পরে আপনারা যদি এটা পাঠ করতে পারেন তাহলে আপনাদের অনেক স‌ওয়াব হবে।

আর উপরের উল্লেখিত আমল গুলো যদি আপনারা করতে পারেন তাহলে আপনাদের সমুদ্র ফেনা রাশির সমান যদিও কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে আপনারা মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে তার জন্য ক্ষমা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া প্রত্যেকটি ওয়াক্তের ফরজ নামাজ আদায় করার পর আপনারা অবশ্যই আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন এবং এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা আমল বলে এটা যদি আপনারা পাঠ করেন তাহলে অনেক সোয়াব যেমন পাবেন তেমনি ভাবে অনেক ফায়দা রয়েছে। বিশেষ করে আপনারা আয়াতুল কুরসি যদি পাঠ করেন তাহলে জানাতে প্রবেশের পথে আপনাদের মৃত্যু ব্যতীত আর কোন বাধা থাকবে না এবং এটি তারাবানি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার যদি সাতবার ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পরে পাঠ করতে পারেন তাহলে আপনারা দিনে অথবা রাতের যেকোনো সময় মারা গেলে মহান আল্লাহ পাক আপনাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। জাহান্নামে প্রবেশের বিষয়ে নিজেদেরকে বিরত রাখতে অথবা এখান থেকে প্রবেশ করার জন্য যে সকল আমল রয়েছে তার জন্য আপনারা এই আমলটি করতে পারেন।

তাছাড়া একটি ফজিলতপূর্ণ আমল হলো সূরা ইখলাস ফালাক এবং সূরা নাস যদি প্রত্যেকটি নামাজের ওয়াক্তে পাঠ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার সকল কিছুর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা চলে এসেছে। অর্থাৎ আপনি সব দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে পারবেন এবং আল্লাহ পাকের শীতল ছায়া আপনার উপরে বেষ্টিত করা হবে।

তাছাড়া আপনারা দরুদ শরীফ দশবার যদি ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পরে পাঠ করতে পারেন তাহলে কেয়ামতের দিন আমাদের রাসূল সাঃ আমাদের জন্য অবশ্যই শাফায়াত করবেন। তাই তার সাফায়েত পাওয়ার জন্য আমরা অবশ্যই এই ইবাদত গুলো করবো। তাছাড়া আপনারা যদি আরো এবাদত করতে চান তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রদান করা বাণী অনুসরণ করে প্রত্যেকদিন আমরা যদি সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করতে পারি তাহলে আমাদের সকল পাপ মোচে ফেলা হবে। তাই নামাজ যেহেতু ফরজ করা হয়েছে সেহেতু আপনারা এই ফরজ নামাজ পাঠ করার পরে অবশ্যই বেশ কিছু আমল করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের নিকট না হাসিল করতে পারেন এবং এ সকল ফজিলতপূর্ণ আমল পাঠ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*