আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় হচ্ছে সিঙ্গাপুরের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৩। রমজান মাস আসলে দেখা যায় যে অনেক মানুষ রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি গুলো খোঁজ করতে থাকে বা সেহরি ও ইফতার কোন সময় করলে সঠিক হবে সে সময় গুলো জানার জন্য রমজান মাসের ক্যালেন্ডার খোঁজ করতে থাকে। মূলত তাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন হচ্ছে রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৩। অর্থাৎ আমরা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে মূলত সিঙ্গাপুরের রোজার ক্যালেন্ডার বা রমজান মাসের ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করব।
তবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে থাকি। অন্যান্য দেশের রোজার সময় গুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আশা করি আপনি এখান থেকে বিভিন্ন দেশের রমজান মাসের ইফতার ও সেহরীর সঠিক সময়সূচি গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন এবং ক্যালেন্ডার গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি যদি রমজান মাসের ক্যালেন্ডার বা সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারেন। আশা করি এখান থেকে খুব সহজে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালেন্ডারটি পেয়ে যাবেন আর এখান থেকে উপকৃত হবেন।
রমজান মাস হচ্ছে পবিত্র মাস। অন্যান্য মাসের সাথে রমজান মাসের তুলনা হয় না। অন্যান্য সকল মাসের চাইতে রমজান মাস আলাদা অন্যরকম মুসলমান ব্যক্তির কাছে অত্যন্ত পবিত্র এবং বরকতের মাস হচ্ছে রমজান মাস। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। রমজান মাসের সকল মুসলমান ব্যক্তির অন্যান্য মাসগুলোর তুলনায় ধর্মপ্রাণ হয়ে ওঠে। ধর্মীয়ভাবে তারা অনেক বেশি বিশ্বাসী হয়ে উঠে এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে সারা দিনরাত ব্যয় করে থাকে। এই মাসে অন্যতম ইবাদত হচ্ছে সিয়াম সাধনা করা বা রোজা রাখা।
রোজা রাখা হচ্ছে যে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের জন্য বা তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত থেকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করাকেই রোজা বা সিয়াম বলা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা ধর্মপ্রীয় মুসলমানই রমজান মাসের সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করতে চায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চাই। তাই এই রমজান মাসটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে মুসলমানদের নিকট অবতীর্ণ হয়।
আবার এই রমজান মাসেই শবে কদরের পবিত্র রাতেই পবিত্র আল কুরআন নাযিল হয়েছিল। মহানবী (সাঃ) এর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পবিত্র আল-কুরআনের। আল কোরআন হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এ ধর্মগ্রন্থে মুসলমানদের যাবতীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোন মুসলমান ব্যক্তি আল কোরআন অনুসারে তার জীবন পরিচালনা করতে পারে তাহলে তার জন্য অনেক নেকি রয়েছে এবং আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি অনেক বেশি খুশি হন। আর রহমত বর্ষিত করে। তাই মুসলমানদের উচিত ধর্মীয় ভাবে জীবন যাপন করার জন্য কুরআনকে দিকনির্দেশনা হিসেবে মেনে নেওয়া এবং সেই দিকনির্দেশনা অনুসারে জীবন পরিচালনা করাটাও খুবই জরুরী।
তবে রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য অবশ্যই সময়ের দিকে নজর রাখতে হবে বা যত্নশীল হওয়া দরকার। কারণ রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সেই সময়ের মধ্যে সেহরি ও ইফতার করতে হবে। যদি সেই সময়ের মধ্যে এগুলো করা না যায় তাহলে সেই রোজার সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। আর এই রোজার মাধ্যমে বরকত পাওয়া যাবে না। তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে প্রত্যেকটি দেশের রোজা রাখার সময়, ইফতার করার সময়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে রোজা রাখা হয় এবং ইফতার করা হয়। তাই প্রত্যেকটি দেশের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার আলাদা সময় দেওয়া থাকে বা আলাদা আলাদা সময়ে ও ইফতার হয়ে থাকে। এই বিষয়টি খেয়াল রেখে মূলত আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের সাথে মিল রেখে ইফতার ও সেহরীর সময়সূচি দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply