ইসলামিক নিয়ম অনুসরণ করে এবং হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে আমরা শবে বরাতের রাত বলে মেনে থাকি। শবে বরাত হল এমনই একটা বিশেষ দিন যে দিনে আমরা বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি এবং এই দিনের বিশেষ আমল সমূহ যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে সেই আমলগুলো করা আমাদের জন্য অনেক সুবিধা জনক হয়। ইসলামিক নিয়ম অনুসরণ করে পাঁচটি রাত হলে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ রাত এবং এই রাতে মানুষজন জেগে বিভিন্ন ধরনের এবাদত করে থাকে বলে অনেক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এই পাঁচটি রাতের ভেতরে সবে বরাতের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আপনারা চাইলে এই রাত জেগে খুব সহজেই মহান আল্লাহ পাকের নিকট নাজিল করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করতে পারেন।
শবে বরাতের রাত সম্পর্কে অথবা শবে বরাতের বিশেষ আমল সম্পর্কে যারা জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে আমরা এ বিষয়ে জানিয়ে দেব। এই তথ্যগুলো আপনার জানা থাকলে বিভিন্ন ধরনের আমল করতে আপনার সুবিধা হবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল তথ্য সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বলে আপনারা যে কোন সময় তথ্যগুলো খুঁজে নিতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। তাছাড়া শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ দিন ও রাত হওয়ার কারণে এই বিশেষ দিনে আপনারা যদি এবাদত করতে পারেন এবং মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনাদের মনের দোয়াগুলো খুলে বলতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক সেই ইবাদতের বদৌলতে আপনাদের মনের আশা পূর্ণ করে দেবেন।
তাই শবে বরাতের বিশেষ আমল সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে এই বিশেষ দিনে আপনারা নামাজ আদায় করতে পারেন। সেই সাথে আপনারা যদি চান তাহলে প্রত্যেক মাসের যেমন ১৩-১৪ এবং ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের নফল রোজা রাখা যাবে তেমনি ভাবে শবে বরাতের ক্ষেত্রেও আপনারা ১৩,১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারবেন। একজন মুসলমান হিসেবে আপনারা সবাই ভারতের ভেতরে নফল রোজা গুলো রাখবেন এবং এ রোজগুলো রাখতে পারলে আপনি যেমন শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে পরিতৃপ্তি গ্রহণ করতে পারবেন তেমনি ভাবে সকল নিয়ম গুলো মেনে চলে ইবাদত করতে পারলে আল্লাহ পাক আপনার প্রতি রাজি খুশি হবেন। তাছাড়া শবে বরাতের দিনে আপনারা যারা এবাদত সম্পর্কে জানতে এসেছেন তারা এখান থেকে তা জেনে নিলে আপনাদের জন্য অনেক উপকার হবে।
শবে বরাতের বিশেষ আমলের মধ্যে রয়েছে নফল নামাজ এবং আপনি যখন নফল নামাজ পড়বেন তখন তাহিয়াতুল অজু এবং দুখুলিল মাসজিদের নামাজগুলো আদায় করবেন। এছাড়া আপনারা তওবার নামাজ আদায় করতে পারেন এবং সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ ইবাদত হিসেবে করতে পারেন। বিশেষ আমলের ভেতরে আপনারা নামাজে কি রাত এবং রুকু সেজদা দীর্ঘ করতে পারেন এবং পরের দিন যদি নফল রোজা রাখেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। যেকোনো নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করাটা জরুরী এবং আপনারা অন্যান্য সূরা সমূহ তিলাওয়াত করবেন যেগুলো বেশি ফজিলত পূর্ণ। বেশি বেশি করে তওবা এবং ইস্তেগফার পাঠ করলে আল্লাহ পাক আপনাদের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবেন। সকলের জন্য দোয়া করতে হবে এবং নিজের জন্য দোয়া করতে হবে।
Leave a Reply