
রমজান মাস উপলক্ষে সারা বিশ্বের মুসলমানরা নানান ধরনের ইবাদতে নিজেদের ব্যস্ত রাখেন। কারণ রমজান মাস আরবি বারো মাসের মধ্যে ইবাদতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ। আর রমজান মাসের ইবাদতের মধ্যে বিশেষ ইবাদত হল তারাবির নামাজ। একজন মুসলমান ব্যক্তি কে রমজান মাসের রহমত পেতে হলে, নাজাত পেতে হলে, মাগফিরাত পেতে হলে রমজান মাসে রোজা পালনের পাশাপাশি তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। তাই রোজা রাখার পাশাপাশি তারাবির নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবো।
মহান আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি ইবাদতের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম ও বিধি নিষেধ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেহেতু ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো নামাজ। তাই প্রতিটি নামাজের ক্ষেত্রে সময়সূচী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আর মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে আপনি যেই নামাজ আদায় করেন না কেন। সেই নামাজ আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়েছে। তাই আমরা যখন রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবির নামাজ আদায় করব সঠিক সময়সূচী মেনে এই নামাজ আদায় করবো।
রমজান মাসে যেহেতু অনেক ইবাদত পালন করতে হয় একজন মুসলমান ব্যক্তিকে। তাই তারাবির নামাজের সঠিক সময় জানা থাকলে। আপনি সেই সময় অনুযায়ী আপনার কাঙ্খিত তারাবির নামাজ সহ সব ইবাদত গুলো সঠিক সময়ে পালন করতে সহজ হয়ে যাবে। তাই সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তে তারাবির নামাজের সঠিক সময়সূচী সম্পর্কে জানিয়ে দেব। আপনারা আমাদের এখান থেকে তারাবির নামাজের সময়সূচী জেনে রমজান মাসের অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবির নামাজ আদায় করবেন।
মূলত একজন মুসলমান ব্যক্তিকে তারাবির নামাজ আদায় করতে হলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো সময়সূচি। আপনি যে কোনো সময় যে কোন ভাবে তারাবির নামাজ আদায় করলে হবে না। তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে সেই সময়সূচী অনুযায়ী নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী তারাবির নামাজ আদায় করেছেন। তাই তার উম্মত হিসেবে আমাদের সঠিক সময় অনুযায়ী তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী তারাবির নামাজ মূলত রাতের নামাজ। তারাবির নামাজের জন্য সঠিক সময় হল এশার নামাজের ফরজ ও সুন্নত নামাজের পরবর্তী থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। কোন ব্যক্তি চাইলে তারাবির নামাজ রাতের প্রথম ভাগ থেকে শুরু করে রাতের মধ্যভাগ এবং রাতের শেষভাগ পর্যন্ত তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে আমার রাসূল রাতের শেষ অংশে তারাবির নামাজ বেশি আদায় করেছেন। কারণ ইবাদতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম সময় হলো রাত।
পুরুষদের জন্য তারাবির নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করা সুন্নত। তবে কোন ব্যক্তি যদি সময়ের স্বল্পতার কারণে তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় না করতে পারে তবে বাড়িতে একা একা এ নামাজ আদায় করা যাবে। তবে বাড়িতে একা নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের আগেই তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু এই নামাজটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা তাই কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে এই নামাজ না পড়েন তাকে গুনার ভাগীদারি হতে হবে।
ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নির্ধারিত সময়ে তারাবির নামাজের জন্য মসজিদে যেতে পারেন না। আবার অনেকেই দেখা যায়, তারাবির নামাজ কয়েক রাকাত পড়ার পর মসজিদে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজ পড়াটা জরুরি। কোন ব্যক্তি যদি এশা নামাজ না পড়ে তারাবির নামাজ আদায় করতে চাই। সে ক্ষেত্রে তার তারাবির নামাজ পড়ার জায়েজ নয়। মূলত এশার নামাজ আগে পড়তে হবে। পরবর্তী তে তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে এমনটাই নির্দেশ রয়েছে ইসলামে।
যেহেতু রমজান মাস অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতের মাস, এ মাসে ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব অনেক বেশি। তাই আমরা পারোতো পক্ষে রমজান মাসের বেশি বেশি ইবাদত করার চেষ্টা করবো। যেহেতু মহান আল্লাহতালার কাছে তাঁর বান্দার ইবাদতের গুলোর মধ্যে নামাজ অধিক প্রিয় ইবাদত। তাই রমজান মাসের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজ আমরা কোন অবস্থাতেই মিস করবো না। সঠিক সময়সূচি মেনে তারাবির নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবো।
Leave a Reply