আপনারা যদি তাকবীরে তাশরিক আরবি আরবি ভাষায় পেতে চান তাহলে এখান থেকে তা পেতে পারবেন। তাছাড়া এটা কেন পড়তে হয় এবং কিভাবে পড়তে হয় তা আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। কেউ যদি মনে করেন যে এটা কতবার পড়তে হবে তাহলে সে তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া তাকবীরে তাশরিক যদি আপনারা পড়েন তাহলে আপনাদের ওয়াজিব ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
তাই এই ওয়াজিব ইবাদত কখন করতে হয় এবং কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব। আপনারা এখান থেকে আরবিতে যেমন এটা পেয়ে যাবেন তেমনি ভাবে বাংলা ভাষায় প্রদান করা আছে বলে সেটাও সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই যাদের কাছে যে ভাষা সুবিধা হয় সে ভাষায় এটা আমল করুন। নিচে আপনাদের জন্য এটার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
তাকবীরে তাশরিক আপনারা জিলহজ মাসে পাঠ করবেন। বিশেষ করে জিলহজ মাসের যখন ৯ তারিখ আসবে তখন সেই নয় তারিখের ফজর থেকে আপনারা এটা পাঠ করা শুরু করবেন এবং 13 তারিখের আসর পর্যন্ত পড়তে পারবেন। তবে যদি মনে করেন এটা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কোন নিয়ম আছে কিনা অথবা নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী পড়তে পারবে কিনা তাহলে বলব যে নারী এবং পুরুষ উভয়ই এটা পাঠ করতে পারবে। এটা পাঠ করার মাধ্যমে আপনার ওয়াজিবি ইবাদত করতে পারবেন। তাকবীরে তাশরিক আমল করার মাধ্যমে যারা ওয়াজিব ইবাদত করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে পুরুষেরা অবশ্যই উঁচু আওয়াজে এটা বলবেন এবং নারীরা নিচু আওয়াজে এটা বলবেন।
মহান আল্লাহপাকের নির্দিষ্ট দিনে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করতে পারি। মহান আল্লাহ পাককে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগী করতে পারি এবং এই বিষয়গুলো সূরা বাকারাতে উল্লেখ করা আছে। বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে আমরা তাকবীরে তাহরীক আমল করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত আছে বলে অবশ্যই
আপনারা এগুলো হয়তো জেনে থাকবেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। যদিও তাকবীরে তাশরিকের জন্য বিভিন্ন শব্দ হাদিসে এসেছে তারপরও আপনারা যদি এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সংগ্রহ করতে চান তাহলে তো সংগ্রহ করতে পারবেন। সর্বপ্রথমে আপনাদের উদ্দেশ্যে হযরত আলী ও ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা থেকে বর্ণিত হয়েছে যেটা সেটা তুলে ধরা হলো।
لله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد
এক্ষেত্রে আপনারা আল্লাহপাক কে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ আমল করবেন। এভাবে তাকবীরে তাসরিফ আমল করার পাশাপাশি আপনারা যদি কেউ হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত এই আমল করতে চান তাহলে তাও করতে পারেন। তবে সকলের মাঝে সবচাইতে যে আমলটি বেশি করা হয় সেটা হলো হযরত আলী ও ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে যেটা বর্ণিত হয়েছে সেটা। তবে আপনারা যদি হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে এটা আমল করতে চান তাহলে সেটাও আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেটার আরবী রূপ হল-
الله أكبر الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله الحي القيوم يُحيي ويُميت وهو على كل شيء قدير
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। ইউহয়ি ওয়ুমিত, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
তবে কোনটা করা যাবে অথবা কোনটা করা যাবে না সকল বিতর্কিত প্রশ্নে না এসে আপনারা যে কোন একটা করলেই হবে। এটা আমল করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাককে আপনারা রাখতে পারবেন। তবে এটা কতবার আমল করা যায় এ প্রসঙ্গে আপনারা যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে প্রত্যেকটা ফরজ নামাজ আদায়ের পর আপনারা এটা আমল করবেন।
এক্ষেত্রে তাকবীরে তাসরিক আপনারা একবার করে আমল করবেন এবং একাধিকবার যদি আমল করে থাকেন তাহলে সেটা দেখা যাবে যে সুন্নতের বিপরীতে হয়ে যাচ্ছে। নামাজের যদি আপনারা একা পড়ে থাকেন অথবা জামাতের সঙ্গে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকের উপর একবার করে এটা আমল করা উচিত। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে একবার তাকবীরে তাশরিক আমল করার নিয়ম জানতে পেরেছেন।
Leave a Reply