টেলিফোনে বিবাহ করার বিধান কি

টেলিফোনে বিবাহ করার বিধান কি

আপনারা যারা টেলিফোনে বিবাহ করার বিধান সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে টেলিফোনে বিবাহ করতে হলে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং কোন নিয়মের মাধ্যমে আপনারা টেলিফোনে বিবাহ করলে সেটা জায়েজ হবে। তবে আগেকার দিনে যখন ভিডিও কলে সিস্টেম চালু ছিল না তখন টেলিফোনে বিবাহ করার রীতি নীতি চালু ছিল এবং পাত্র অথবা পাত্রী যখন বিদেশে থাকে তখন টেলিফোনের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করে দেশে এসে তারা সুখে শান্তিতে ঘর করত।

কিন্তু অনেকের কাছে এই প্রশ্নটিই অন্যরকম মনে হয় যে টেলিফোনে বিবাহ করলে আসলেই সেটা ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে হবে কিনা। তবে সামাজিক স্বীকৃতি অনুসারে এবং আপনার যদি পরিবারের সম্মতি থাকে তাহলে টেলিফোনে বিবাহ করে সেই বিবাহটি সম্পন্ন হবে এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে যে সকল ধাপ রয়েছে সেগুলো অতি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করতে হবে। তাই কেউ যদি টেলিফোনের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করে তাহলে সেই বিবাহতে যেন উভয়পক্ষ উপস্থিত থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে ছেলেমেয়ে শুধু জোড়ায় টেলিফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কবুল বলে বিবাহ সম্পন্ন করে তাহলে সেটা কখনোই বিবাহ বলে গণ্য হবে না।

পারিবারিক সম্মতিক্রমে ছেলেপক্ষ এবং মেয়ে পক্ষ যখন টেলিফোনের অথবা ভিডিও কলের মাধ্যমে উপস্থিত থাকবে এবং উভয় পক্ষের কবুল বলা স্পষ্টভাবে সকলে শুনতে পাবে তখন এটা সকলের জন্য ভালো এবং মঙ্গলজনক হবে। অন্ততপক্ষে ছেলে এবং মেয়ে পক্ষের সাক্ষী যদি ছেলে এবং মেয়ের কবুল বলা স্পষ্টভাবে শুনতে পায় তাহলে মাওলানার উপস্থিতিতে এই বিবাহ সম্পন্ন হবে বলে মনে করি। কিন্তু বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে কাবিন করা বা সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করা। আপনি যদি বিবাহের নিবন্ধন না করেন তাহলে সরকারি মতে এই বিবাহ পুরোপুরি ভাবে সম্পন্ন হবে না।

এতে আপনার বিবাহের মাধ্যমে যখন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তখন এই সন্তান জন্মগ্রহণ করলে কোন ধরনের তথ্য নেই বলে অথবা সরকারি খাতায় নিবন্ধন করা নেই বলে আপনারা সেই সন্তানদের ওয়ারিশ অথবা অন্যান্য সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়ে যাবেন। তাই বাংলাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে আপনি যদি বিবাহ করেন তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কাবিননামা করতে হবে এবং সরকারিভাবে তা নিবন্ধন করতে হবে। সেখানে পাত্র এবং পাত্রীর তথ্য থাকতে হবে এবং পাত্র এবং পাত্রের স্বাক্ষর প্রদান সহ সাক্ষীদের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

কিন্তু টেলিফোনের মাধ্যমে যখন বিয়ে করছেন তখন অপর প্রান্তে যারা থাকছে তারা দেশে ফিরে আসলে অথবা পাত্রের বাড়িতে ফিরে আসলে তখন অতিসত্বর এই কাবিননামা সম্পন্ন করতে হবে এবং বিয়ের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। বর্তমানের নিয়ম অনুসরণ করে আপনাদেরকে এটিই সর্বোচ্চ এক মাস সময়ের ভেতর সম্পন্ন করতে হবে। তবে বিয়ে হল একটি আনন্দের অনুষ্ঠান এবং পারিবারিক স্বীকৃতির মাধ্যমে খুব সামাজিক একটি ব্যবস্থা বলে সকলেই এখানে আনন্দ করতে চাই।

তবে অপরিচিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে যখন বিবাহ সম্পন্ন করেন তখন তাদের যাতে মতের অমিল না হয় অথবা পরবর্তীতে মত যাতে পরিবর্তন হয়ে এই বিবাহ অনুষ্ঠান ভেঙে না যায় তার জন্য হয়তো অনেকেই টেলিফোনের মাধ্যমে অথবা ভিডিও কলের মাধ্যমে মাওলানা উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন করে রাখেন। তবে জরুরি ভিত্তিতে এগুলো করা গেল আপনাদেরকে অবশ্যই কাবিননামা অথবা সরকারি খাতায় কাজির মাধ্যমে তা লিপিবদ্ধ করে নিতে হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*