
আপনারা যারা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ভাব-সম্প্রসারণ বিষয়ের উপর তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন তারা দেরি না করে এখনি আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনাদের যে ভাব সম্প্রসারণ টি প্রয়োজন সেটি আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে সার্চ দেওয়া মাত্রই অতি দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে আপনাদের সামনে। আপনারা সেটি ইচ্ছা করলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা পড়াশুনার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। আজকে আমরা যে ভাব সম্প্রসারণ কি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল, তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।
মূলভাব: মনুষ্যত্বের পরিচর্যার মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত অর্থে মানুষ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। এখানে অন্যান্য প্রাণীর জীবজগতের সাথে মানুষের পার্থক্য। পশুকে পশু হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয় না, কিন্তু মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয়। শুধুই কি চেষ্টা, চেষ্টা করলেই কি মানুষ হওয়া যায়? মানুষ তো কেবল আকৃতি আর গড়ন নয়, প্রকৃতিতেও (স্বভাব ও গুণ-বৈশিষ্ট্য) মানুষ হওয়া চাই। মানুষের পরিচয় তার মনুষ্যত্বে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানবিক গুণাবলির কারণেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে গর্ব করতে পারে। তা না হলে পশু আর মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। তাই মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনাই সবার ব্রত হওয়া উচিত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়-‘তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।’
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব জন্ম মাত্রই অর্জিত হয় না। জন্মের সময় মানব শিশুর সাথে ইতর প্রাণীর কোন পার্থক্য থাকে না। জীবনের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় সামাজিকীকরণ ও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত অর্থে মানুষ হয়ে ওঠে। মানুষ যদি সত্য সুন্দর ও কল্যাণের সাধনায় নিজেকে গড়ে না তুলে তাহলে সে পশুর চেয়েও হীন হয়ে পড়ে। তাই মানুষ সাধনার দ্বারা মানুষ হয়।
মানুষের মধ্যে রয়েছে রিপুর তাড়না ও পশু প্রবৃত্তি। একে দমন করা না গেলে মুহূর্তের স্খলনে মানুষ হয়ে পড়ে পথভ্রষ্ট। এ দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, তরুলতা বা অন্যান্য ইতর প্রাণীর অবস্থান সুবিধাজনক। তারা প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নেয় এবং প্রকৃতির কাছ থেকে খাদ্য পেয়ে আপনা আপনি বেড়ে ওঠে। তরুলতার জন্ম, চাষ ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও একই কথা-আম গাছে আমেরই ফলন হবে, জাম গাছে জাম। আম, জাম, আপেল এ সবকিছুর গুণাগুণেরও কোনো তারতম্য নেই। গভীর দৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছেন বলেই কবিগুরু বলতে পেরেছেন-‘তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি।’
কিন্তু মানুষকে প্রকৃতির হাতের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলে না। বরং তাকে প্রকৃতিকে জয় করতে হয়, টিকে থাকার সংগ্রামে প্রকৃতি থেকে খাদ্য বস্ত্র সহ অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করতে হয়। বেঁচে থাকার সংগ্রাম এর পাশাপাশি মানুষকে মানুষ হয়ে ওঠার জন্য নিরন্তর সুন্দরের সাধনায় ব্রতী থাকতে হয়। যারা এ সাধনা থেকে বিমুখ থাকে তারা ব্যর্থ জীবনের গ্লানি বহনে বাধ্য হয়।
মন্তব্য: পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মানুষ হিসাবে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না, বহু চেষ্টা আর সাধনার বলে মানুষকে মানুষ হতে হয়। তবেই সার্থক ‘সৃষ্টির সেরা জীব’ অভিধাটি। তা না হলে অন্যান্য জীবজন্তুর থেকে তাকে আর আলাদা করে ভাবা যায় না। কবির উক্তি যথার্থ : ‘মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।’
উপরের যে ভাব সম্প্রসারণ টি আলোচনা করা হলো সেটি বিশেষ করে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে বাংলা ২য় পত্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, শুধুমাত্র এই বিষয়ের উপরে নয় এখানে শিক্ষা বিষয়ে অনেক তথ্যই আলোচনা করা হয়ে থাকে। আপনারা যারা শিক্ষা বিষয়ের ওপর বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পেতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং এখানে শুধুমাত্র শিক্ষাবিষয়ক তথ্য পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে।
Leave a Reply