অনেক সময় দেখা যায় যে চোখের পাতা কিছুক্ষণ পর পর লাগাচ্ছে এবং এ থেকে আমরা বিরক্ত হওয়ার পাশাপাশি অস্বস্তি বোধ করতে থাকে। তাই চোখের পাতা যদি কোন ধরনের কারন ছাড়াই আপনাদের লাফাতে থাকে অথবা কোন কারণের মাধ্যমে যদি এটা লাফাতে থাকে তাহলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
চোখের পাতা লাফালে ভয় না পেয়ে আপনারা যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন অথবা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে আসছে। তাই সাধারণত কি কি কারনে চোখের পাতায় লাফাতে পারে এবং এ ধরনের সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায় কি সেগুলো যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে দৈনন্দিন জীবনের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়াও আপনারা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে যারা অতিরিক্ত পরিমাণ চাপ নিয়ে থাকেন অথবা বিভিন্ন কাজের কারণে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে থাকেন তাদের অনেক সময় এই ধরনের প্রভাব পড়ার কারণে চোখের পাতা লাফিয়ে থাকতে পারে। বাস্তবিক জীবনে আমরা অনেকেই আছি যারা প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাই অথবা চা-কফি থেকে শুরু করে অ্যালকোহল খাবারের সঙ্গে যুক্ত আছি।
তাই এ ধরনের খাবার যদি আপনারা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে চোখের পাতা লাফানোর সম্ভাবনা থাকে। যদি কোন কারণে অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলোতে থেকে থাকেন অথবা অতিরিক্ত রোধের আলো আপনার চোখের উপরে পড়ে তাহলে অনেক সময় চোখের পাতা লাফাতে পারে এবং এই লাফানোর কারণে আমাদেরকে অবশ্যই রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
আবার অনেক সময় বাতাসে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ উড়ে বেড়ানোর কারণে তা যদি আমাদের চোখের সংস্পর্শে আসে এবং চোখের সাথে মিশে যায় তাহলে চোখের পাতা লাফাতে পারে। সকল ধরনের ধূমপান থেকে আপনারা বিরত থাকবেন কারণ ধূমপান থেকে অনেক সময় চোখের পাতা লাফিয়ে থাকে।
তাছাড়া যারা বিভিন্ন অসুখে অসুখে জর্জরিত তাদের হয়তো বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এগুলো হতে পারে। তাই আপনি যদি চোখের পাতা লাফানোর সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করলাম সেগুলো সবসময় এড়িয়ে চলবেন এবং সেগুলো থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন।
এতে বেশি ভয় না পেয়ে আপনারা যদি রিলেক্সে থেকে সমাধান গুলো করার চেষ্টা করেন এবং সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তাহলে খুব সহজে বুঝে নিতে পারবেন কোন কাজগুলো আপনার চোখ লাফানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। তাই আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চোখ লাফিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা চিন্তা না রেখে উপরের উল্লেখিত সমস্যার সমাধান করতে হবে অথবা বিপরীত কাজগুলো করতে হবে।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান করার ক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের শরণাপন্ন না হওয়ায় ভালো এবং এই ক্ষেত্রে কয়েক দিন দেখার পরে যদি মনে হয় চোখের পাতার সমস্যা প্রকটতর হচ্ছে অথবা এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না তাহলে আপনারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।অনেক সময় দেখা যায় যে চোখের পাতা লাফাতে লাফাতে একটা সময় পুরো চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এই সমস্যাগুলো আরো বেশি হচ্ছে। চোখের পাতা লাফানোর সঙ্গে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখ যদি লাল হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে আস্তে আস্তে চোখ বুজে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দিবে।
চোখ যদি ফুলে যায় এবং পানি জাতীয় কোন কিছু যদি চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে তাহলে এই সমস্যাটা বেশিদিন পুষে না রেখে আপনারা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে যেকোনো ডাক্তারকে না দেখেই আপনারা যদি একজন চোখের ডাক্তারকে দেখাতে পারেন তাহলে সঠিক সমাধান পাবেন। তাই চোখের সমস্যা কেমন এবং এই সমস্যার উপসর্গ গুলো কেমন তার উপরে নির্ভর করে আপনার চিকিৎসা প্রদান করা হবে বলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
Leave a Reply