“ভিটামিন-ই” আমাদের শরীরে কতটা কাজ করে সে সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। আমাদের শরীরের শক্তির মূল উৎস হচ্ছে এই ভিটামিন এবং আমাদের শরীরে যদি কোন ভিটামিনের ঘাটতি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা বিভিন্নভাবে সেটা বুঝতে পারি। অন্যান্য ভিটামিন গুলোর মধ্যে “ভিটামিন-ই” আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। তাই সব সময় শরীরে এই ভিটামিন মজুদ রাখা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো দিক।
তবে সবসময় ওষুধের মাধ্যমে “ভিটামিন-ই” সেবন করা ঠিক নয় তার চেয়ে বরং আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেই খাবারগুলোর মধ্যে কোনটাতে “ভিটামিন-ই” এর পরিমাণ বেশি আছে সেটা জানান। যদি এমন মনে হয় যে “ভিটামিন-ই” ঘাটতির কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে বসে না থাকে এই খাবারগুলো বেশি বেশি খাবার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার প্রতিদিনের খাবারের মধ্য থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনের সমান “ভিটামিন-ই” খেতে পারবেন এবং নিজের শরীরকে সুস্থ করতে পারবেন।
“ভিটামিন-ই” এর প্রয়োজনীয়তা
“ভিটামিন-ই” আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন এর অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান সমস্যা আমাদের মাথার চুল ওঠা এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়া। এ ধরনের সমস্যা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক এবং এই সমস্যার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে চিন্তিত থাকি তাই কোনভাবেই “ভিটামিন-ই” কে অবহেলা করা যাবে না এবং শরীরে পরিণত পর্যায়ে “ভিটামিন-ই” রাখতে হবে।
এছাড়াও আমাদের ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় “ভিটামিন-ই” এর অভাবে তাই সবসময় ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি বেশি খাবার চেষ্টা করতে হবে। আজকে আমরা এমন একটি তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরব যে তালিকা অনুযায়ী আপনারা খুব সহজেই ভিটামিন খাবার গুলো সম্পর্কে পরিচিত হতে পারবেন। এতে করে আপনারা যখন এই খাবারগুলো আপনাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখবেন অবশ্যই আপনার শরীরে “ভিটামিন-ই” পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে।
ভিটামিন ই জাতীয় আমিষ খাবার
মানুষের মধ্যে মাছ-মাংসই আমাদের কাছে সবথেকে বেশি প্রিয় তবে এই মাছ-মাংসের মধ্যে কোন মাছগুলোতে “ভিটামিন-ই” রয়েছে সে সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে। যদি আমাদের শরীরে “ভিটামিন-ই” এর ঘাটি বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই আমিষের মধ্যে এই আমিষ গুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন যার মধ্যে “ভিটামিন-ই” এর উৎস রয়েছে।
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ই” এছাড়াও স্যামন মাছ ও চর্বি বিহীন মাছ “ভিটামিন-ই” এর বড় উৎস। তাই আপনি যদি একই সঙ্গে “ভিটামিন-ই” খেতে চান এবং আমি খেতে চান তাহলে এই তিনটি খাবার আপনার কাছে খুবই পছন্দের একটি খাবার হতে পারে এবং এই খাবারগুলো সত্যিই অনেক সুস্বাদু ও সহজলভ্য।
ভিটামিন-ই যুক্ত শাকসবজি
“ভিটামিন-ই” যুক্ত শাকসবজি খুঁজতে গেলে সবুজ শাকসবজি কে বাদ দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিতে কমবেশি “ভিটামিন-ই” থাকে তার মধ্যে বেশি “ভিটামিন-ই” থাকে পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি কাঁচা সরগম ও বিভিন্ন ধরনের মরিচ এই ধরনের সবজিতে। আশা করছি আপনার চিন্তা একটি হলেও কমেছে এবং এই সবজিগুলো খাওয়ার পরে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে “ভিটামিন-ই” আছে।
এছাড়াও যারা “ভিটামিন-ই” পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে মজুদ রাখতে চান তাদের জন্য মটরশুঁটি খাওয়া এবং লেবু খাওয়া এর পাশাপাশি এভোকাডো ফল খাওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য ব্যাপার। এছাড়া এমন কিছু খাবার রয়েছে যেমন চিনা বাদাম ও আখরোট এছাড়াও বাদাম ও উদ্যভীজ তেল এগুলো “ভিটামিন-ই” এর উৎস এছাড়াও ডিমের কুসুম, গম ও সয়াবিন এছাড়াও সূর্যমুখীতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-ই” রয়েছে। আশা করছি “ভিটামিন-ই” যুক্ত খাবার সম্পর্কে আপনারা সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
Leave a Reply