আমরা ছোটবেলা থেকে শিখে আসছি যে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি কতটা প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ঘাড়ের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হার সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো সম্পর্কে।
তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে আমাদের নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আপনারা যে জানবেন যে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো কোনগুলো সে খাবারগুলো সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সম্পর্কে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে সাধারণত আর্থারাইটিস রিকেটস, আজকে এর মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আমরা সকলেই জানি যে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ঠিক সেই জন্যই আমাদের উচিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলো খোঁজার আগে সকাল সকাল সূর্যের আলোতে সেই রোদ গায়ে লাগানো।
এতে করে আমাদের শরীরের যতটুকু ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ঠিক ততটুকুই আমরা শুধুমাত্র সকালের রোদ থেকে গ্রহণ করতে পারি খুব সহজেই। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারে না এবং সকালের রোদটি উপভোগ করতে পারে না তাদের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলো প্রয়োজন।
কারণ শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাহলে আমরা অনেক সমস্যায় পড়তে পারি এবং অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো ভিটামিন টি এর অভাবে হয়ে থাকে অর্থাৎ আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাহলে আমরা সেই রোগগুলোর সম্মুখীন হতে পারি ঠিক সেই জন্যই আমাদের প্রয়োজন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলো চিনে রাখা এবং সেগুলো নিয়মিত খাওয়া।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে।
ডিম: স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডিমের উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকায় প্রতিদিন খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। পাশাপাশি ভিটামিন ডি এর ঘাটতিও পূরণ করে ডিম। ডিম খেতে সুস্বাদু আর রান্না করাও সহজ। তাই আপনাদের যাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়মিত ডিম খেতে পারেন।
দই: ভিটামিন ডি এর আরেক উৎস হচ্ছে দুই। দুধ দিয়ে তৈরি হলেও দই হজম হয় তাড়াতাড়ি। ত্বক চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। তাই আপনাদের যাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তারা দই এর মাধ্যমে এটি পূরণ করতে পারবেন।
দুধ: দুধ আমাদের অনেক ভালো একটি খাবার। আমরা প্রায় কমবেশি সবাই দুধ খেতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই মায়েরা দুধ খাওয়ায় শিশুদের বিশেষ জোর দেন। তার কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি। যা ছোট বয়সে হাড়ের গঠন সঠিক ভাবে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকরও বটে। তাই আমাদের যাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে আমরা দুধের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারি খুব সহজেই।
মাশরুম: মাশরুম একটি সুস্বাদু খাবার। মাশরুম শুধু সুস্বাদুই নয় মাশরুমের উপকারিতা ও রয়েছে অনেক বেশি। এছাড়াও আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দের খাবার ছিল মাশরুম। ভিটামিন ডি এর ভরপুর মাশরুম থাকুক রোজকার খাবারের তালিকায়। তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমরা নিয়মিত মাশরুম খেতে পারি।
পালং শাক: শীতকালীন সবজির মধ্যে একটি অন্যতম সবজি হলো পালং শাক। পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিনের ভরপুর পালং শাক রোজকার খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
সয়াবিন: সয়াবিনকে অনেকেই মাংসের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। অনেকেই বলে থাকেন সয়াবিন হল এক রকমের মাংস। সয়াবিন শুধু মাংসের মতো খেতেই সুস্বাদু নয় উপকারিতাতেও কম যায় না সয়াবিন। ভিটামিন ডি এর খাস সয়াবিন শরীরের জন্য দারুন উপকারি।
Leave a Reply