সাধারণত “ভিটামিন-ই” ক্রিম বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি বিউটি উপাদান এবং এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের ত্বকের প্রত্যেকটি অংশের বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান করা যায়। “ভিটামিন-ই” ক্রিমের বেশ কয়েকটি ধরন রয়েছে তার মধ্যে “ভিটামিন-ই” হোয়াইট বডি ক্রিমে আছে “ভিটামিন-ই” ও ক্লোজেন যেটি এই অত্যন্ত কার্যকরী ক্রিম হিসাবে আমাদের শরীরে ত্বকের সুরক্ষা দিতে অনেক কার্যকরী।
সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এই “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি তবে যাদের অ্যালার্জিক রিএকশন হয় তাদের ক্ষেত্রে আলাদা বা ব্যতিক্রম ধরন। আপনি যদি এই শীতে আপনার শরীরের মশ্চারাইজিং ২৪ ঘন্টা বা ৪৮ ঘন্টা ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
“ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহারের উপকারিতা
আপনার বয়স যেটাই হোক না কেন আপনি যদি আপনার ত্বকের লাবণ্যময় এবং ত্বক আরো বেশি নরম ও ত্বকে মশ্চারাইজিং ধরে রাখতে চান তাহলে আপনার কাছে একটি উপায় আছে সেটা হচ্ছে “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করা। আপনারা রেগুলার এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতের সময় এই ক্রিম বেশি ব্যবহার হয় তবে আমার মতে যে কোন ধরনের ত্বকে এবং যেকোনো বয়সে ত্বকে এই ক্রিম বারোমাসি ব্যবহার করা যায়।
এই ক্রিমের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না তার মধ্যে এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে যেই উপকারিতা গুলো না বললেই নয়। সাধারণত অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে “ভিটামিন-ই” ক্রিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্রিম। এর পাশাপাশি শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং শরীরে যে দাগ কতগুলো রয়েছে সেগুলো গভীরভাবে মুছে ফেলতে “ভিটামিন-ই” ক্রিম অত্যন্ত উপকারী একটি ক্রিম।
“ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহারের সময়
সাধারণত বাংলাদেশের শীতের সময় “ভিটামিন-ই” ক্রিম বেশি ব্যবহার হয় তবে যে সকল দেশগুলো শীত প্রধান দেশ সেই সকল দেশে বারোমাসি এই ক্রিম ব্যবহার করতে দেখা যায়। আপনিও চাইলে বাংলাদেশের আবহাওয়াতে ১২ মাসে “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের ত্বকে এই টিম ব্যবহার করা যায়।
অন্যান্য ক্রিমগুলোর ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি যে বিভিন্ন ধরনের তাকে জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রেকমেন্ড করা হয় কিন্তু এটি এমন একটি ক্রিম যেটা সকল ধরনের ত্বকের উপর কার্যকরী। এর পাশাপাশি এই ক্রিমগুলো সকল বয়সের মানুষের ত্বকের কার্যকরী তাই বাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক এবং ছেলে থেকে শুরু করে মেয়ে সকলের ত্বকের জন্য এই ক্রিম খুবই কার্যকরী একটি জিনিস।
তবে এর সুফল ঠিকঠাক ভাবে পেতে হলে আপনাকে অন্তত দিনে তিনবার এই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং সেটা নিয়ম মেনে এবং সময় মত করতে হবে। দিনের শুরুর দিকে আমরা যখন বাইরে বের হই তখন অবশ্যই “ভিটামিন-ই” ক্রিম মেখে বাইরে বের হব তার কারণ হলো সূর্যে থাকা অতিবেগুনি রশি থেকে “ভিটামিন-ই” ক্রিম আমাদের রক্ষা করবে এবং এর পাশাপাশি আমাদের শরীর আরো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
এছাড়া দুপুরের দিকে অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও আমরা যখন গোসল করি তারপরে যদি আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশের “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করি সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ক্রিম হবে। তাই এই নিয়ম মেনে আমরা “ভিটামিন-ই” ক্রিম প্রতিদিন দুপুরে ব্যবহার করতে পারি।
“ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম মেখে ঘুমাতে যাওয়া। আমরা সকলে জানি যে ঘুমানোর সময়টুকু আমাদের শরীর একেবারে রিল্যাক্সে থাকি এবং সেই সময়ে আমরা যদি এই “ভিটামিন-ই” ক্রিম ত্বকের উপর মেখে ঘুমাতে যায় তাহলে সেটা সবথেকে ভালো কাজ করবে ।তাই অবশ্যই এই নিয়ম মেনে “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করলে আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন।
Leave a Reply