সাধারণত একটি দেশে যখন জনগণ নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করে তখন তাকে ভোট প্রদানের সুযোগ প্রদান করা হয়ে থাকে। ভোট প্রদান করার মাধ্যমে আপনি যোগ্য প্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে পারবেন এবং দেশের সরকার প্রধান বানাতে পারবেন। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের ভোট গুলোর মধ্য দিয়ে আপনারা নির্দিষ্ট প্রার্থীকে নির্বাচন করার মাধ্যমে তাদেরকে এলাকার উন্নয়ন অথবা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে উন্নয়ন করার সুযোগ প্রদান করতে পারবেন।
তবে আপনি একটা নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করার পরেও জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় ক্ষেত্রে ভোট প্রদান চাইলে করতে পারেন অথবা ভোট দিতে নাও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় ভোট দেওয়া অনেকের জন্য ঐচ্ছিক বিষয় বলে মনে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি জানতে চান কোন দেশে ভোট দেওয়া একেবারে বাধ্যতামূলক এবং আপনার মত প্রকাশের জন্য ভোট অবশ্যই দিতে হবে তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের এখানে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই নিচের দিকে আপনাদের জন্য কোন দেশে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক তা জানিয়ে দেওয়া হলো।
অধিকাংশ দেশে চার বছর অথবা পাঁচ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মেম্বার অফ পার্লামেন্ট নির্বাচন করার জন্য অথবা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করার জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কারণ একটি রাষ্ট্রের ভেতরে সবাই এক গোত্রে লোক থাকে না এবং সকলের মতাদর্শ অথবা পছন্দের ব্যক্তিত্ব এক রকমের হয়ে থাকে না। তাই ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন জনগণকে তার মতামতের উপর মূল্য দেওয়া হয় এবং সাধারণ জনগণ যেখানে ভোট সেখানে দিতে পারবে।
সাধারণ জনগণ হিসেবে আপনারা যখন ভোট অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন তখন হয়তো আপনাদের বয়স যদি ১৮ বছর অতিক্রম করে অথবা নির্দিষ্ট দেশের যদি নির্দিষ্ট বয়সসীমা থেকে থাকে এবং সেটা যদি অতিক্রম করতে পারেন তাহলে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আমাদের বাংলাদেশের হিসেবে আপনি যদি ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে থাকেন তাহলে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করে সেটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
আর আঠারো বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে আপনি স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন, উপজেলার ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্যদের নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু আপনার যখন মনে হবে এই ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের এলাকায় অথবা নিজের ভোটের এলাকায় উপস্থিত না থাকতে পারার কারণে এটা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাহলে হয়তো বুঝতে চাইবেন যে এটা দেওয়া বাধ্যতামূলক কিনা।
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় এবং এটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ ভোটের দিন আপনি চাইলে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারবেন অথবা না চাইলে না পারবেন। কিন্তু ভোট দেওয়া অনেকটাই আনন্দের একটা বিষয় এবং এর মধ্য দিয়ে আপনার পছন্দের যোগ্য প্রতিনিধি দিতে যখন নির্বাচনে জয়ী করতে পারবেন তখন আপনার কাছে এটা আনন্দের বিষয় বলে মনে হবে। তবে যাই হোক পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বহাল রয়েছে এবং আপনি চাইলে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে পারবেন অথবা সমস্যা থাকলে না উপস্থিত হলেও কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে পৃথিবীর সকল দেশে একই নিয়ম অনুসরণ করা হয় কিনা। সে ক্ষেত্রে বলবো যে বেশিরভাগ দেশে এই ভোট ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে থাকলেও পৃথিবীর কয়েকটা দেশ আছে যেখানে আপনাকে ভোট দিতেই হবে এবং এটা বাধ্যতামূলক। আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে অবশ্যই কেন্দ্রে যাবেন এবং এই নিয়ম পৃথিবীর আর্জেন্টিনার, অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কিছু দেশে চালু করা হয়েছে। তাই আপনারা যখন ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অপারগতা প্রকাশ করবেন তখন অস্ট্রেলিয়া অথবা আর্জেন্টিনার দেশগুলোতে থাকলে ভোট দিতে হবে। আর যদি অন্য কোন দেশে থাকেন তাহলে ভোট দেওয়া আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে অথবা সুবিধা-অসুবিধার উপরে নির্ভর করবে।
Leave a Reply