বিবিএ মানে কি জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই কোর্স সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ভেতরে বিবিএ কোর্স করার প্রতি আগ্রহ জন্মচ্ছে বেশি। কারণ চাকরির বাজারে বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোন ব্যাংক ফ্যাক্টরি ঢুকতে চান তাহলে বিবিএ থাকলে আপনার অনেক সুবিধা রয়েছে এবং আপনি এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন।
তাই বিবিএ মানে কি এটা যদি জেনে নিতে পারেন অথবা এটা শোনার পর যদি এ বিষয়ে জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা আপনাদেরকে সর্বোত্তম উপায়ে এটা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ যুগের সঙ্গে যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারেন তাহলে অনেক পিছিয়ে যাবেন এবং এই কারণে আপনার ভেতরে একটা সময় হতাশা এসে যাবে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই বিষয়গুলো আলোচনা করছি বলে আপনারা খুব সহজেই বিবিএ মানে বিস্তারিত জেনে নিন।
শিক্ষার্থীরা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়ার পরে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকে যে মেডিকেলে ভর্তি হবে নাকি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য অ্যাডমিশন কোচিংয়ে ভর্তি হবে। শিক্ষার্থীর ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থী বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোচিংয়ে ভর্তি হয় এবং সেখান থেকে এডমিশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিবিএ কোর্স চালু করা আছে বলে শুধু কমার্সের বা বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাই যেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে বিষয়টা এমন নয়। অর্থাৎ আপনি যদি মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন অথবা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তা হলেও এডমিশনের মাধ্যমে বিবিএ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টর গুলোতে এ বিষয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে আপনারা চাইলে বিবিএ করছে ভর্তি হয়ে চার বছর মেয়াদী এই কোর্স শেষ করে ফেলতে পারবেন। তাই যারা বিবিএ মানে কি জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে বিবিএ হল ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অর্থাৎ এটাকে বলা হয়ে থাকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক। আপনি যদি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বুঝতে চান অথবা আর্থিক লেনদেনের হিসাব গুলো জানতে চান তাহলে বিবিএ কোর্স করার মাধ্যমে আপনাকে এখানে বিভিন্ন গণিতের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে গুলো বাস্তব জীবনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগে।
তাই সম্পূর্ণ চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে আপনি যদি অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিতভাবে গণিতের সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি অনেক কাজ বা পড়াশোনা করতে হবে।কোন একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখানে বিস্তারিত ভাবে পড়ানো হয়ে থাকে অথবা অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে এখানে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে বলে ব্যাংক সেক্টর গুলোতে অথবা বিভিন্ন এনজিও সেক্টরগুলোতে এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। অর্থাৎ আপনি আপনার এই ব্যাকগ্রাউন্ড দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অর্থ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন।
আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম বলে বিবিএ করতে আপনাদের যাদের আগ্রহ হবে অথবা আপনারা যারা গণিত ভালো পারেন তারা এখানে ভর্তি হতে পারেন। চার বছর মেয়াদী কোর্স করার পর এক বছর মেয়াদী এমবিএ কোর্স করতে পারলেই আপনার পড়াশোনা শেষ হবে এবং চাকরির বাজারে এগুলোর অগ্রাধিকার রয়েছে বলে চাকরি পেতে অনেক সুবিধা হবে।
Leave a Reply