
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধরনের শাখা থাকার কারণে নিউরোলজি হলো অন্যতম একটি বিশেষ শাখা। তাই নিউরোলজি মানে কি এ বিষয়ে যারা জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা যদি এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করে থাকি তাহলে দেখব যে দৈনন্দিন জীবনে অনেকেরই নিউরোলজি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। আপনারা যখন বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়ে থাকেন তখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়।
স্বাভাবিক সমস্যা হলে যেমন আমরা স্থানীয় ডাক্তারের থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকি তেমনি ভাবে সেই সমস্যা অনেক বেশি প্রকট হয়ে থাকলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দেখিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। তাই আপনি যদি নিউরোলজি সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তির যদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে কি ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে নিউরোলজি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তা বুঝে নিতে পারবেন।
যখন কোন শিক্ষার্থী এম বি বি এস প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় তখন তাকে শারীরিক প্রত্যেকটি বিষয় সুখ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যখন এমবিবিএস কোর্স শেষ হয় তখন তাকে নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয় অথবা তার জন্য পড়াশোনা করতে হয়। তাই বর্তমান সময়ে মানুষের রোগের উপর নির্ভর করে অথবা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যখন কেউ নিউরোলজি বিষয়ে পড়াশোনা করবে তখন তাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে অথবা সুক্ষ ভাবে প্রত্যেকটি বিষয় বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তাই নিউরোলজি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করার জন্য আপনারা এখানকার এই তথ্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন এবং বুঝতে পারবেন বলে মনে করি।
সাধারণত নিউরোলজি শব্দের অর্থ হল স্নায়ুতন্ত্র বিষয়ে পড়াশোনা করা অথবা স্নায়ুতন্ত্র বিষয়ে চিকিৎসা প্রদান করা। মানুষের শরীরের ভেতরের যে নার্ভ সিস্টেম রয়েছে তাতে করে যদি হঠাৎ করে অসঙ্গতি দেখা দেয় তাহলে সেই নার্ভ সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে। হঠাৎ করে কোনো উত্তেজনাকর ঘটনা অথবা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে যদি একটা মানুষের নার্ভ সিস্টেম এর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে সেই মানুষ আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে একটা মানুষের ভেতরে যদি নার্ভ সিস্টেম দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যায় অথবা নার্ভ সিস্টেমের কারণে যদি একটা মানুষ সঠিকভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে না পারে তাহলে অবশ্যই তাকে নিউরোলজি ডক্টরের কাছে গিয়ে দেখাতে হবে।
বুক ধরফর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঘটনার কারণে আমরা নিউরোলজি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। অর্থাৎ আপনার খাবার-দাবারের সকল ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা হয়ে থাকলো অনেক সময় সেগুলো ব্যাঘাত ঘটে এবং আপনার রক্তের সঞ্চালন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের ভেতরে অস্বস্তি অনুভব করা অথবা কোন কারনে আপনার সব সময় খারাপ লাগা অথবা বুক ধরফর করতে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা নিউরোলজি ডাক্তারের কাছে যাব অথবা সেখান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করব।
আপনার রোগের উপসর্গ দেখে ডাক্তার যে সকল চিকিৎসা বা টেস্ট করতে বলবে সেগুলো দেখে যদি আপনারা কাজ করতে পারেন তাহলে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে আপনার চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে। অনেক সময় ডাক্তারেরা সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করে থাকে এবং ডাক্তারেরা সঠিকভাবে প্রত্যেকটি বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। শারীরিকভাবে ব্যায়াম করার পাশাপাশি খাদ্য অভ্যাসে আমরা যদি পরিবর্তন ঘটাতে পারি তাহলে এই ধরনের সমস্যা হবে না।
রক্তের ভেতরে চিনির পরিমাণ ঠিকঠাক থাকার পাশাপাশি আপনার হার্টবিট রেট যদি ঠিক থাকে তাহলে নিউরোলজি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আশা করি এই পোষ্টের উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা নিউরোলজি মানে কি অথবা একজন নিউরোলজিস্ট কিভাবে চিকিৎসা প্রদান করে থাকে সে বিষয়ে জানার সক্ষম হয়েছে। তাই সমস্যা অনুযায়ী কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখালে ভালো হবে সেটা আপনারা অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ অনুযায়ী দেখাবেন।
Leave a Reply