তালেবান শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই কম বেশি পরিচিত আছে এবং এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে এই শব্দটি বিদেশের অথবা আন্তর্জাতিক বিষয়বলীর সঙ্গে উঠে আসে। তাই আপনারা যারা এখানকার এই তথ্যগুলো জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা অবশ্যই সঠিকভাবে প্রত্যেকটি বিষয় উপস্থাপন করব এবং উপস্থাপন করার ভিত্তিতে অনেকের কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
তালেবান শব্দের প্রকৃত অর্থ জানার পাশাপাশি এটা আসলে কাদেরকে বোঝানো হয়ে থাকে অথবা কোথায় থেকে তাদের ভর্তি হয়েছে তা জানিয়ে দেব। আপনারা যখন তালেবান সম্পর্কে ধারণা অর্জন করার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন তখন অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন। তালেবান সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করলে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করা হবে।
আফগানিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তালেবান পরিচালিত এবং এদেরকে জঙ্গি সংগঠন বলা হয়ে থাকে। তালেবান অথবা তালিবান শব্দটি পশতু ভাষা এবং এই ভাষার প্রকৃত অর্থ হলো ছাত্র। আফগানিস্তানের একটা গোষ্ঠী এবং ইসলামিক মৌলবাদী ও ইসলামপন্থী ও জিহাদী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচালিত। এই গোষ্ঠীর সামরিক সংগঠন রয়েছে এবং সংগঠনটি রাষ্ট্রের দিক থেকে নাম ধারণ করেছে আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত।
এই গোস্টি নিজেদেরকে বিভিন্ন নামে তুলে ধরল বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালিত আছে। অর্থাৎ তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই তালেবান সংক্রান্ত এই তথ্যগুলো আপনাদের অনেকের কাছে জানা ছিল না বলে এখানে উপস্থাপন করা হলো এবং এ বিষয়ে আরো তথ্য এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
তালেবান সংক্রান্ত আরো তথ্য জানতে চান তাহলে বলব যে 2016 সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এখানকার নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মৌলভী হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা। এখানে বর্তমান সময়ে অনেকজন যোদ্ধা রয়েছে এবং ২০২১ সালে যে হিসাব করা হয় সেই হিসাব অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি যে এখানে প্রায় ২ লক্ষ যোদ্ধা কাজ করে যাচ্ছে।
তাছাড়া তালেবান এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আপনারা যদি সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে বলব যে এটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোঃ ওমর এবং আব্দুল গনি বরাদর। তবে প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ওমর হয়ে থাকলেও বর্তমান সময় পর্যন্ত হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নেতৃত্ব পরিষদের মাধ্যমে এখানে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে এবং ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অপারেশনেরা চালিয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে এদের যে সকল গোষ্ঠী রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সদর দপ্তরের দিক থেকে কান্দাহারে প্রত্যেকটি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আফগানিস্তানকে সক্রিয়তার অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে প্রত্যেকটি কাজ তারা সেখানেই পরিচালনা করে থাকে এবং সকল ধরনের দিকনির্দেশনা সেখান থেকে চলে আসছে।
যদি আমরা তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কথা বলি তাহলে তারা হলো উগ্র ডানপন্থী রাজনীতি অনুসরণ করে থাকে। এছাড়াও তারা ইসলামী মৌলবাদী বিশ্বাসী এবং দেওবন্দী ইসলামাবাদে বিশ্বাসী। বর্তমান তাদের মিত্রগোষ্ঠী হিসেবে হাক্কানী নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মিত্র একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আর যদি সত্যপক্ষের কথা বলা হয় তাহলে রাষ্ট্র এবং আন্তঃসরকার বিরোধীরা তাদের শত্রুপক্ষ হিসেবে কাজ করে। এভাবেই তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে এবং আশা করে যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তালেবান সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে পারলেন।
বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট কি বিষয়ে জানতে চান সেটা লিখে সার্চ করলেই গুগল আপনাদেরকে সেই ফলাফল প্রদান করবে। তাহলে এখান থেকে আমরা তারেণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে গেলাম এবং প্রতিষ্ঠাতা শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে আলোচনা করা হলো বলে অনেকের বুঝতে সুবিধা হবে।
Leave a Reply