সাধারণত শরীর সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার দান। তবে এই শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখতে হবে আপনাকে নিজেই। এজন্য আপনার প্রবল চেষ্টা কেই সৃষ্টিকর্তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। আপনি যতটা চেষ্টা করবেন আপনার চেষ্টা বা সৎ উদ্দেশ্যকে ততটাই গ্রহণযোগ্য করে তুলবে সৃষ্টিকর্তা। অনেকেই বলে থাকেন সাধারণত বাচ্চারা যখন বাড়তি বয়সে বেড়ে ওঠে তখন লম্বা হওয়া সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর নির্ভর করে। এ কথাটা অবশ্যই ঠিক তবে যদি আপনি একেবারে ঘরে বসে থাকেন তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজনের বা উপযুক্ত লম্বা হতে পারবেন না এটাও ঠিক।
প্রত্যেকেরই বাড়তি বয়সে প্রয়োজন অতিরিক্ত ভিটামিন এবং অতিরিক্ত খাদ্য যেটা আমাদের শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে। তবে আরেকটি ধারণা হচ্ছে শুধুমাত্র যে খাবারগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন না এর সঙ্গে কিছু শারীরিক ব্যায়াম আছে যেগুলোর মাধ্যমে বাড়তি বয়সে সকলে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারে। আজকে আমরা এমন কিছু খাবার খোঁজার চেষ্টা করবো যে খাবারগুলো বাড়তি বয়সে আপনি যদি আপনার সন্তানকে বা আপনার মেয়েকে দেন তাহলে অবশ্যই তারা উপযুক্ত লম্বা হতে পারবে।
যেসব খাবার খেলে লম্বা হতে সাহায্য করে
সাধারণত খাবারগুলো আমাদের শরীরে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে এবং সেই খাবারগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে খায় এবং সঠিক সময় সঠিক খাবার খায় তাহলে অবশ্যই পুষ্টি উপাদান বেশি বেশি আমাদের শরীরে কাজে আসবে। আজকে আমরা আলোচনা করব যেসব খাবার বাড়তি বয়সে ছেলে মেয়েকে দেওয়া উচিত অভিভাবক হিসাবে। বাড়তি বয়সে শুধুমাত্র যে আপনার সন্তানের শরীর বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন নয় শরীরের ভেতরের গঠন এবং মানসিক গঠনও তৈরি হচ্ছে। এই সময়টুকুতে অবশ্যই আপনাকে বাড়তি কিছু খাওয়ার এড করতেই হবে তার খাবার তালিকায় যেটা তাকে উপযুক্ত ভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
আপেলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। অনেক গুণাগুনে সম্পন্ন উপকারী এই আপেল আপনি আপনার সন্তানকে বাড়তি বয়সে দিতে পারেন। আপেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে উপাদান গুলো আপনার সন্তানকে সঠিক শরীর গঠনে সাহায্য করবে।
সিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন যা বাড়তি বয়সে ছেলেমেয়েদের উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে সিম জাতীয় খাবার যেন সন্তানের বাড়তি বয়সে তার খাবার তালিকায় থাকে।
এছাড়াও ডাল ও মটরশুঁটির জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এই ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গুলো বাড়তি বয়সের সন্তানের বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও উচ্চতা বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি হরমোন এই খাবারগুলো থেকে পাওয়া যায় তাহলে আপনি কেন এই খাবারগুলো তাদের থেকে দূরে রাখবেন।
যদিও বাংলাদেশে ব্রকলির প্রচলন খুব বেশি দিনের না তারপরও ব্রকলির পুষ্টি উপাদানগুলো বলে শেষ করা যাবে না । ব্রকলিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যেটা দেহের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং দৈহিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোনের উদ্দীপনা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এই ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বিভিন্ন ধরনের আয়রন এবং প্রাকৃতিক আঁশ।
শালগম সকলের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। এই শালগমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ এবং প্রাকৃতিক আঁশ যেটা যেকোনো বয়সের মানুষের দেহের বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে গরুর দুধ। আমরা সকলে অবগত আছি যে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীর বৃদ্ধি এবং শরীরের হাড়ের গঠনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ক্যালসিয়ামের সব থেকে বড় উৎস হচ্ছে গরুর দুধ। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে বাড়তি বয়সের সন্তান যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে গরুর দুধ খেতে পারে।
এছাড়া আপনার আশেপাশে থাকা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ফলমূল এবং বিদেশি ফলমূলের যেকোনো একটি যেন বাড়তি বয়সে আপনার সন্তানের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন থাকে সেটা নিশ্চিত করা বাবা-মা হিসেবে আপনার একটি বড় দায়িত্ব।
Leave a Reply