প্রত্যেকটা ঔষুধেরই রয়েছে উপকারিতা এবং অপকারিতা। ঠিক তেমনই হল কৃমির ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটের উপকারিতা অনেক তবে অপকারিতা রয়েছে। সব ট্যাবলেট এর ওই রয়েছে স্বাভাবিক কিছু নিয়মকানুন। আপনি যদি সেই নিয়ম কানুন বাদেও অতিরিক্ত ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কৃমিনাশক নিরাপদ ঔষধ। এর তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারো কারো পেট ফাঁপা বা বমি ভাব হতে পারে কৃমির ওষুধ খাওয়ার জন্য। অনেক সময় কৃমিনাশক খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার যে খবর পাওয়া যায় তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার জনিত। আপনারা আজকে অনেকেই জানতে চেয়েছেন কৃমির ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে কৃমির ট্যাবলেট সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কৃমির ওষুধ বেশি খাওয়ার পরিনাম
যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথা ব্যাথার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোন সমস্যা নয় আর এ সমস্যাগুলো বেশিদিন থাকে না। একই সাথে খালি পেটে কৃমি নাশক ওষুধ না খাওয়া ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা প্রীতি ও প্যারেড না করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে থাকে এবং খাবারের পুষ্টিগুলো সেই কৃমি খেয়ে ফেলে যার কারণে শিশুরাই বেশিরভাগ পুষ্টিহীনতায় ভোগে কৃমির জন্য। কৃমি মানুষের অন্তর থেকে রক্ত শোষণ করে থাকে ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। তাই এই ক্রিমিকের নাশ করার জন্য অবশ্যই আমাদের কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কৃমিনাশক ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে সেবন করতে হবে। এই ওষুধ যদি আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি তাহলে আমরা অনেক রকমের সমস্যায় ভুগতে পারি।
কৃমি একটি প্রাণী আবার শিশুরাও একটি প্রাণী। বিশেষ করে শিশুদের পেটে কৃমি বেশি হয়। কাজেই যে ওষুধের কৃমি হত্যা করার ক্ষমতা আছে সে ওষুধ শিশুদের কেউ হত্যা করার ক্ষমতা রাখে। সুস্থ সবল শিশুকে না পারলেও অসুস্থ দুর্বল শিশুকে খুন করার ক্ষমতা, এই ওষুধের রয়েছে তাই এই ওষুধ আমাদেরকে জেনে বুঝে সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে।
একই মাত্রার ঔষুধে একজন মানুষের রোগ সারাতে পারে আরেকজনের উল্টো ক্ষতি করতে পারে। এটা হয়ে থাকে ঔষুধের প্রতি মানুষের সেনসিটিভির তারতম অনুযায়ী। একটি ঔষুধের প্রতি কোণ একজন মানুষ কমসেনসিভ হতে পারে আবার অন্য একজন বেশি সেনসিটিভ হতে পারে। এক্ষেত্রে যে ঔষুধের প্রতি একজন মানুষ বেশি সেনসিটিভ সেই ঔষধ সঠিক মাত্রায় খেলেও সে ব্যক্তির বড় ধরনের সর্বনাশ হতে পারে এমনকি মৃত্যু হতে পারে।
তাই আমাদের কৃমির ঔষধ বেশি সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং বয়স অনুযায়ী এ ওষুধ সেবন করা আমাদের উচিত।
শেষ কথা
সবশেষে আপনাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকবে কৃমির হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হোমিও ঔষধ খান। হোমিও ঔষধ গুলো ক্রিমি দূর করতে খুবই কার্যকরী এবং নিরাপদ ঔষধ। এমনকি এগুলো গর্ভবতীদেরকেও খাওয়ানো যায় কোন বিপদের সম্ভাবনা থাকে না। হোমিও ঔষুধের সম্ভবত কৃমিদের শরীরে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে ফলে ক্রিমিরা মারা পড়ে না বরং জীবিত পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়।
প্রয়োজনে রোজ দুইবেলা করে দুই তিন দিন খেতে পারেন এই হোমিও ঔষধ। এই ঔষধ গুলোর তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকার জন্য বেশিরভাগ মানুষই এই হোমিও ঔষধ গুলো কৃমির জন্য খেয়ে থাকেন। তাই ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। কারণ এই ওষুধ যেমন সুস্থ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধে পারে মানুষদেরকে অসুস্থ করে দিতে।
Leave a Reply