আমরা জ্যামিতিতে বিভিন্ন ধরনের আকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকি। সেখান থেকে আমরা দেখতে পাই যে জ্যামিতি কাকে বলে এবং জ্যামিতির এই আকৃতি গুলি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের যে বক্তব্য রয়েছে তা আমরা সেখান থেকে দেখতে পাই। আজকে আমাদের দেখাতে হবে যে সামান্তরিক কাকে বলে। আমরা জানি যে সামান্তরিক একপ্রকার চতুর্ভুজ। চতুর্ভুজ হলো সাতটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে চতুর্ভুজ বলা হয়। আট চতুর্ভ ুজ এর আবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ ক্ষেত্র বলা হয়। জ্যামিতির আকৃতি গুলো শুরু হয়েছে বিন্দু থেকে। অর্থাৎ জ্যামিতির যেকোনো ত্রিভুজের আকৃতি শুরু হয় বিন্দু দিয়ে। বিন্দু থেকে সকল আকৃতির উৎপত্তি হয়।
আমরা জানি যে বিদ্যুৎ অবস্থান আছে এর দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা ইত্যাদি নেই। তবে বিন্দু যখন চলতে শুরু করে তখন রেখাংশের সৃষ্টি হয়। রেখা শুধু প্রান্তবিন্দু আছে। রেখার অংশকে রেখাংশ বলা হয়ে থাকে। সমতলের দুটি সরলরেখা পরস্পরকে যদি সেট করে তাহলে তারা সমান্তরাল হয়। আবার সরলরেখা তাই যদি পরস্পর স্মৃতি হয় এবং যদি উভয় রেখায় অবস্থিত একটি সাধারণ বিন্দু থাকে তাহলে সেখানে একটি কোণ উৎপন্ন হবে। অন্যথায় সরলরেখা দুইটি সমান্তরাল থাকবে। তাহলে যেহেতু আজকে আমাদের বিষয়টি চতুর্ভুজ সংক্রান্ত তাই আমরা দেখে নেই যে চতুর্ভুজ কি কাকে বলে কত প্রকার কি কি ইত্যাদি বিষয়গুলি।
আমরা এর আগেই বলেছি যে চারটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্র একটি চতুর্ভুজ হয়। আবার চিত্র দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রটিকে চতুর্ভুজ ক্ষেত্র বলা হয়ে থাকে। চতুর্ভুজের মোট চারটি বাহু থাকে। যে চারটি রেখাংশ দ্বারা ক্ষেত্রটি আবদ্ধ হয় এই চারটি রেখাংশই চতুর্ভুজের বাহু। আমরা এর আগেও বলেছি যে বিভিন্ন ধরনের চতুর্ভুজ হয়ে থাকে সেগুলি হল সামান্তরিক আয়ত রম্বস ট্রাপিজিয়াম ঘুড়ি ইত্যাদি। যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান্তরাল তাকে সামন্তরিক বলা হয়। সামান্তরিকের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে সামন্তরিক ক্ষেত্র বলে। সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল হল ভূমি × উচ্চতা। আবার যে সামান্তরিকের একটি কোণ সমকোণ হয় তাকে আয়ত বলে।
আয়তের চারটি কোণ সমকোণ হয়ে থাকে। আয়তের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে আয়তক্ষেত্র বলা হয়। আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ২ গুণ দৈর্ঘ্য গুণ প্রস্থ। রম্বস এমন একটি সামান্তরিক যার সন্নিহিত বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য সমান। অর্থাৎ রম্বসের বিপরীত বাহুগুলোর সমান্তরাল এবং চারটি বাহু সমান হয়। রম্বসের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে রম্বস ক্ষেত্র বলে। রম্বসের ক্ষেত্রফল হয় হাফ গুণ কর্ণদ্বয়ের গুণফল। বর্গ হল চার বাবুর সমান ।অর্থাৎ বর্গ এমন একটি আয়ত যার সন্নিহিত বাহুগুলো সমান হয়ে থাকে। বর্গ এমন একটি সামান্তরিক যার প্রত্যেকটি কোন সমকোণ এবং বাহুগুলো সমান। বর্গের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে বর্গক্ষেত্র বলা হয়।
এরপর আসা যাক ট্রাফিজিয়াম এর কাছে। যে চতুর্ভুতের এক জোড়া বিপরীত বাহু সমান তরাল একে ট্রাপিজিয়াম ক্ষেত্র বলা হয়ে থাকে। ট্রাপিজিয়ামের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ট্রাপিজিয়াম ক্ষেত্র বলা হয়। ইত্যাদি চতুর্ভুজের বিভিন্ন অংশ বা বিভিন্ন উপাত্ত। আমরা চতুর্ভুজের বিভিন্ন উপাত্ত তথ্য ইতিমধ্যে দেখা হলো। তাহলে এখন দেখতে পারি যে সামান্তরিক কাকে বলে?
সামান্তরিক: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান এবং সমান্তরাল থাকে এবং বিপরীত বাহু এবং বিপরীত কোণগুলো সমান এবং সমান্তরাল হয় তাকে সামন্তরিক বলে।
এ ধরনের যেকোনো তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ের সকল প্রশ্ন আমরা প্রকাশ করে থাকি।
তাই আপনাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি দিয়ে এসে ভিজিট করে আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পোস্টার উত্তর গুলো ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হবে না। তাই আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে এসে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর চাইলে অবশ্যই পাবেন। এছাড়াও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা থাকে।
Leave a Reply