সাধারণত আমরা যখন কম্পাউন্ডার শব্দটি শুনে থাকি তখন মনে হয় যে কোন একজন ব্যক্তিকে অন্য একজন ব্যক্তি যখন সহায়তা প্রদান করছে তখন তাকে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে প্রকৃতপক্ষে একজন কম্পাউন্ডার এর কাজ কি সে বিষয়ে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাই অথবা
বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মনের ভেতরে প্রশ্ন জেগে ওঠে বলে এগুলো আমরা বর্তমান সময়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারি। তাই একজন কম্পাউন্ডার হিসেবে আপনাকে যদি কোন দায়িত্ব পালন করতে বলা হয় অথবা কোন একজন ব্যক্তি যদি কম্পাউন্ডার এর কাজ করে থাকে তাহলে আসলে তিনি কি দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রদান করতে চলেছি।
সাধারণত ডাক্তারের সঙ্গে যিনি সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তাকে কম্পাউন্ডার বলা হয়ে থাকে এবং বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ডাক্তারের সাথে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে চিকিৎসা সেবায় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসার কারণে এই কম্পাউন্ডার বিষয়টি উঠে যাওয়ার পর্যায় চলেছে এবং আপনারা যদি কম্পাউন্ডার পদের কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ডাক্তারের সহায়তাকারী হিসেবে আপনারা যদি কাউকে মনে করে থাকেন তাহলে অনেক সময় ডাক্তারের সঙ্গে নার্স এরা কাজ করে থাকেন এবং তাদেরকে অনেকে কম্পাউন্ডার বলে বিবেচিত করে থাকেন।
কিন্তু নার্স সম্পূর্ণ আলাদা একটি টার্ম অথবা নার্স সম্পূর্ণ আলাদা একটা পেশার নাম। সময় সাপেক্ষে অথবা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক সময় ডাক্তারদের নার্সেরা সহায়তা প্রদান করে থাকে এবং এক্ষেত্রে তাদেরকে কম্পিউটার বলা যাবে না। তাই কম্পাউন্ডার হলো সেই ব্যক্তি যিনি ডাক্তারের সঙ্গে সব সময় থাকেন এবং ডাক্তার যে ধরনের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাপত্র তৈরি করেন অথবা প্রেসক্রিপশন তৈরি করেন সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ তৈরি করা হলো তার প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে এ ধরনের সিস্টেম বন্ধ হওয়ার উপক্রম বলে এই টার্ম উঠে যেতে চলেছে এবং কমপাউন্ডার পদের কাজগুলো বর্তমান সময়ে আমরা আর দেখে না বললেই চলে।
আগের দিনে যখন গ্রামে গ্রামে ডাক্তারেরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করত তখন সেই ডাক্তারের সঙ্গে একজন ব্যক্তিকে রাখা হতো যিনি ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দেখে নিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ প্রস্তুত করতো এবং এক্ষেত্রে অনেক সময় হোমিওপ্যাথি অথবা অ্যালোপ্যাথিক সিস্টেমে কাজগুলো চলত।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোন ডাক্তারের কাছে যান তাহলে ডাক্তার সরাসরি আপনাকে ওষুধ প্রদান করবে এবং এক্ষেত্রে কোন ফার্মাসিউটিক্যাল দোকানে গেলে আপনাদেরকে ওষুধ প্রদান করার মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে প্রদান করা হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি যদি বড় কোন ডাক্তারের কাছে যান তাহলে সর্বপ্রথমে তারা আপনাদের রোগের লক্ষণ শুনবে এবং বর্তমান সময়ে ডায়াগনস্টিকের যুগে আপনাকে সর্ব প্রথমে চিকিৎসা শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে বলবে।
ডাক্তার তার নিজস্ব প্যাডে অথবা নির্দিষ্ট কোন কাগজে সেই টেস্টের নাম লিখে দিলে আপনারা আপনাদের সুবিধামত যে কোন জায়গা থেকে সেই টেস্টগুলো করিয়ে নেবেন এবং টেস্টের ফলাফল থেকে ডাক্তার আপনার লক্ষণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সাজেস্ট করবে। এক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন দেখে আপনারা বিভিন্ন দোকান থেকে তাকে নিয়ে নিতে পারেন এবং এক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই বললেই চলে।
আগেকার দিনে ডাক্তারের দোকানে গুটিকতেক ঔষধ থাকতো এবং সেই ওষুধ থেকে কম্পাউন্ডের ডাক্তারের নির্দেশনা অনুসরণ করে ওষুধ প্রদান করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার কারণে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তণ এসেছে এবং বর্তমান সময়ে কম্পাউন্ডার টার্মটি অনেকটাই উঠে যাওয়ার পথে।
Leave a Reply