বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হলো উপসর্গ। মাধ্যমিক পর্যায়ে অথবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা পড়াশোনা করে থাকেন তাদেরকে এই উপসর্গ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে শেখানো হয়ে থাকে। বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডার কে বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন শব্দের সঙ্গে এই উপসর্গ লাগানোর মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি করা যায় এবং তা শ্রুতিমধুর হয়ে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে উপসর্গের কাজ কি অথবা উপসর্গ কি এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব।
তাছাড়া বাংলা ভাষায় উপসর্গের প্রকারভেদ এ সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়বেন। বাংলা ব্যাকরণ জানতে হলে আপনাদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেমন জানতে হয় তেমনি ভাবে উপসর্গ তাদের মধ্যে একটি। আপনি যদি উপসর্গ এই অধ্যায়টি ভালোমতো জেনে নিতে পারেন তাহলে এটা আপনার যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় কাজে লাগবে তেমনিভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে লাগবে।
বিভিন্ন সময়ে আমাদের ব্যাকরণের বিষয়গুলো জানা লাগে এবং ব্যাকরণ এর মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষাকে সহজভাবে বুঝতে পারি এবং পড়তে পারি এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি। উপসর্গকে ইংরেজিতে প্রিফিক্স বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া উপসর্গকে আদ্যপ্রত্যয় বলা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ যখন কোন শব্দের আগে নতুন কোন শতাংশ বসার মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি করে তখন সেটাই উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলা ব্যাকরণের একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হিসেবে এটা অবশ্যই পড়তে হয় এবং প্রত্যেকটা শ্রেণীতে উপসর্গ আসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।
তবে আপনারা যেহেতু উপসর্গের কাজ কি সে প্রসঙ্গে জানতে এসেছেন সেহেতু বলব যে উপসর্গ শব্দ অথবা শব্দ মূলের শুরুতে বসে থাকে। যেকোনো শব্দ অথবা শব্দ মূলের আগে বসে নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করা এটার প্রধান কাজ। বাংলা শব্দ ভান্ডার কে বৃদ্ধি করার জন্য
এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট শব্দের আগে অথবা শব্দমূলের আগে যখন উপসর্গ বসানো হয়ে থাকে তখন নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি হয় এবং ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়। তাই উপসর্গের কাজ এবং ব্যবহার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গ ব্যবহারের ফলে যেমন নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি হয় তখন এটা পূর্বের শব্দের বিপরীত শব্দ যেমন সৃষ্টি করতে পারে তেমনি ভাবে অর্থের উৎকর্ষ বা সংকোচনও করতে পারে।
তাই বাংলা ব্যাকরণে উপসর্গের কাজ এবং অন্যান্য ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আপনাদেরকে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। উপসর্গ হলো বাংলা ব্যাকরণের রুপ তত্ত্বের আলোচ্য একটা বিষয় বস্তু। বাংলা ব্যাকরণের প্রধান চারটি আলোচ্য বিষয়বস্তুর ভেতরে রূপতত্ত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এক্ষেত্রে রূপতত্ত্বের আলোচনা হিসেবে উপসর্গকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।
তাই উপসর্গ আলোচনার মধ্য দিয়ে আপনারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন এগুলোর কাজ কি এবং বাংলা ব্যাকরণ এগুলোর প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে আছে কিনা। তাই উপসর্গের তথ্য গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো বলে আপনারা সঠিকভাবে এগুলো জেনে নিতে পারলেন এবং এই তথ্যের ভিত্তিতে উপসর্গের সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষার খাতায় উত্তর প্রদান করতে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে।
আমরা যদি উপসর্গের প্রকারভেদ জানতে চাই অথবা উপসর্গ কতটি রয়েছে তা জানতে চাই তাহলে বলব যে বাংলা ভাষায় আপনি 50টির এর অধিক উপসর্গ পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ উপসর্গ কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং তৎসম উপসর্গ, খাঁটি বাংলা উপসর্গ ও বিদেশী উপসর্গ নামক তিনটি ভাগ রয়েছে।
যদি কোন উপসর্গে কতটি করে পাওয়া যাবে তা জানতে চাই তাহলে বলব যে তৎসম উপসর্গ ২০টি এবং খাঁটি বাংলা উপসর্গ 21 টি। এছাড়াও বিদেশি অনেক উপসর্গ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন নতুন অর্থ অথবা শব্দ ইংরেজি ভাষায় পেয়ে থাকে যা বাংলাতে খুব সহজেই আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি। ধন্যবাদ।
Leave a Reply