বাংলাদেশ একটা কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার কারণে এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদন করা হয় এবং কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সারের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জমিতে যখন কোন ফসল উৎপাদন করার জন্য জিংক অথবা দস্তা সারের ব্যবহার করা হয়ে থাকে তখন হয়তো আমরা এগুলোর ব্যবহার বিধি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানি।
তবে কৃষি বিষয়ক যদি ধারণা আমাদের না থেকে থাকে তাহলে আমরা বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে খুব সহজেই ইন্টারনেটে যেকোনো তথ্য সার্চ করে খুঁজে বের করতে পারি। তাই যে সকল ভিজিটর আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে জিঙ্ক সারের কাজ সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাদেরকে অবশ্যই আমরা এটা জানিয়ে দেবো এবং এই পোস্ট আপনাদের জন্য অনেক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন।
আমাদের দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত এবং এদেশের বিপুল ও বিস্তর আবাদী জমি থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন এই জমিতে বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে প্রত্যেকটি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
তাছাড়া প্রত্যেকটি উদ্ভিদ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই এগুলো সঠিক পর্যালোচনা করতে হবে এবং পরিচর্যা করার মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে। তাই আপনি যখন জমিতে কোন ফসল ফলাবেন তখন আপনাকে বিভিন্ন সারের ব্যবহার করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের জৈবসার ব্যবহার করার পাশাপাশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে আপনার উৎপাদন অনেক ভালো হবে।
তবে যাই হোক এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে যারা জিংক সারের কাজ সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদেরকে অবশ্যই আমরা এটা জানিয়ে দেবো। আপনি যদি জিংক সারের কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এগুলো জানিয়ে দিলে সে বিষয়ে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন।
আপনি যখন জিংক সারের ব্যবহার সম্পর্কে জানবেন অথবা এটার কাজ কি তা জানতে চাইবেন তখন বলব যে বিভিন্ন ধরনের হরমোন তৈরিতে এটা অংশগ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ মানবদেহে যেমন হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তেমনি উদ্ভিদ দেহে ও হরমোনের ভূমিকা রয়েছে এবং হরমোন তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে বলে খুব সহজেই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তাছাড়া ফসলে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ এর আক্রমণ হয়ে থাকে বলে আপনি যদি জমিতে অথবা ফসলের জিংসার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটা রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া ফসলের বিভিন্ন ধরনের ফসফরাসের প্রয়োজন হয় এবং এই ফসফরাসের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জিংসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শিম জাতীয় সবজি চাষের ক্ষেত্রে এটা উল্লেখযোগ্যভাবে ফলন বৃদ্ধি করে বলে আপনারা জিংক সার সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনাদের উৎপাদন খুব ভালো হবে।
তাছাড়া মাটিতে যদি কোনো কারণে দস্তা ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনারা একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করে পরিমিত পরিমাণে আপনারা যদি এই জিংসার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে গাছের পাতায় যে ধরনের তামাটে বর্ণ আসে সেটা পরিবর্তন হবে।তবে এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহার বিধি আমাদেরকে জানতে হবে এবং যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারি তাহলে গাছে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
তাছাড়া এটা যদি সঠিক মত ব্যবহার করা না হয় তাহলে গাছের আমিষ উৎপাদনে অসুবিধার সৃষ্টি হলে সেটা পুষ্টির দিক থেকে ব্যবহার ঘটবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই দৈনন্দিন জীবনে কৃষিকাজে সঠিক ভূমিকা পালন করার জন্য অবশ্যই আপনারা জিংক সারের বিস্তারিত ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জানবেন এবং এই তথ্য জেনে নিতে পারলে আপনাদের ফসল উৎপাদন করতে অনেক সুবিধা হবে।
Leave a Reply