জুনিয়র অডিটরের কাজ কি এপ্রসঙ্গে যারা এখানে জানতে ভিজিট করেছেন তাদেরকে আমরা সঠিকভাবে এই তথ্যগুলো জানিয়ে দেবো এবং জুনিয়র অডিটর পদে চাকরি করার ক্ষেত্রে বিস্তারিত ধারণা এখানে প্রদান করা হলে অনেক বেকার যুবকদের জন্য পোস্টটি তথ্যবহুল হবে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেনকারি সকল প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের অডিটর এবং জুনিয়র অডিটর পদে
নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে যাতে করে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনের হিসাব গুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় এবং প্রত্যেকটি হিসাব এ টু জেড সংরক্ষণ করে তা অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিষয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো যায়। বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে এনজিও থেকে শুরু করে সরকারি পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ এই জুনিয়র অডিটর এবং অডিটরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটি তথ্য তাদের কাছে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ থাকে বলে যেকোনো বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে অথবা বিনিয়োগ সংস্থা রয়েছে অথবা কনসালটেন্সি ফার্ম রয়েছে যেগুলোতে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করার জন্য অথবা কিভাবে অর্থ খরচ হচ্ছে এবং কিভাবে সেখানকার অর্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে তা একটা নির্দিষ্ট ডাটাবেজে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কাজগুলো করাই এই অডিটরদের কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই আপনি যখন জুনিয়র অডিটর পদের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটি উৎপাদন খরচের ক্ষেত্রে যেমন টাকা খরচ করা হয়ে থাকে তেমনি অফিসের স্টাফ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে বেতন প্রস্তুত এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচের হিসাব রাখতে হয়।সরকারিভাবে একজন জুনিয়র অডিটর বিভিন্ন ধরনের সরকারি বিল নিরীক্ষা করবেন এবং বেতন সংশোধন করবেন যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের অথবা
একটি মন্ত্রণালয়ের অথবা একটি অধিদপ্তরের যে সকল কর্মকর্তা রয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে বেতন প্রদান করা হচ্ছে কিনা এবং তাদের বেতন ছাড়াও অন্যান্য ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা দেখে নেওয়া। তাই আপনি যখন একজন জুনিয়ার হবেন তখন অবশ্যই আপনাকে অডিটরের অধীনে কাজ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে ফিল্ড পর্যায়ে গিয়ে অথবা নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে তাদের যে লেনদেনের বিষয়গুলো রয়েছে সেই বিষয়গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা অথবা সঠিক তাতে সেই লেনদেন খরচ করা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।
অর্থাৎ সরকারি অফিস বলে যে কোন কর্মকর্তা ইচ্ছামত খরচ করবে তা নয় বরং প্রত্যেকটি খরচের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভাউচার থাকতে হবে অথবা প্রত্যেকটি চেক বইয়ের স্বাক্ষর থাকতে হবে।যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠানের সব সময় কাজ চলে থাকে এবং আর্থিক সংক্রান্ত কাজ বিষয়গুলো চলমান থাকার কারণে প্রচন্ড চাপ হয়ে থাকে সেহেতু একজন জুনিয়র অডিটরকে প্রচুর পরিমাণে কাজ সামলাতে হয় এবং তাদের টেবিলে সবসময় ফাইল এর পর ফাইল জমা হতেই থাকে।
তবে যাই হোক জুনিয়র অডিটর হিসেবে আপনি যদি চাকরিতে ঢুকে থাকেন তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের বিল নিরীক্ষা করতে হবে এবং বিল প্রদান করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিষয়ের শুদ্ধতা যাচাই করতে হবে এবং কেউ যাতে জালিয়াতির সুযোগ না পেয়ে থাকে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।তাছাড়া কোথাও যদি কোন ধরনের অর্থ পরিশোধ করার কাছ থাকে তাহলে সেটা তৈরি করতে হবে এবং কোন ধরনের হিসাব তৈরি করা লাগলে সেটা অবশ্যই আয় ব্যায়ের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট নির্ধারণ করার মাধ্যমে হিসেব তৈরি করতে হবে।
তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানের অধীনে তিনি কাজ করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী বছরে আয় ব্যয় হিসাবগুলো সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে হবে যাতে করে বাজেট নিরূপণে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। তাছাড়া ক্যাশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা লাগবে এবং ক্যাশে কত টাকা আসছে অথবা সেটা কত টাকা ভান্ডার হিসেবে সঞ্চিত থাকছে অথবা কত টাকা খরচ হচ্ছে তার বিষয়গুলো জুনিয়র অডিটর দেখে থাকেন।
Leave a Reply