ইসলাম হল মুসলমানদের কাছে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। অর্থাৎ এটি অবশ্যই মুসলিমরা বিশ্বাস করেন যে তাদের মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন সকল কিছু মানুষের জন্য তৈরি করেছেন। এবং অবশ্যই আল কুরআনে আল্লাহতালা বহু গুণবাচক নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই সকল গুনবাচকের মধ্যে অবশ্যই আল্লাহ তালাকে খালিক বলা হয়েছে। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহতালার যে গুণবাচক বিশেষণ বা 99 টি গুণবাচক নামের কথা বলা হয়েছে সেগুলি অবশ্যই এর মধ্যে একটি হল খালিক।
আমরা জানি আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহ অবশ্যই আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের উত্তম চরিত্রবান হতে অনুপ্রাণিত করে। আল্লাহতালার এসব গুণ অর্জনের জন্য মানুষ তার জীবনে চর্চা করলে সে অবশ্যই সৎ চরিত্রবান হয়ে গড়ে উঠবে। সমাজে নৈতিক এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহতালা এ অবশ্যই এই বিশ্ব জগতের অধিপতি এবং মালিক। তিনি একক এবং অদ্বিতীয় সত্তা তার কোনো শরিক নেই তিনি অনন্য এবং অতুলনীয় এ কথা অবশ্য সকল মুসলিম সামাজিক বিশ্বাস করে থাকেন। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তার তুলনাহীন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় আল্লাহ একটি আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোন ভাষাতেই এই শব্দের কোন প্রতি শব্দ নেই এর কোন একবচন বা বহুবচনও নেই এই শব্দের কোন স্ত্রীলিঙ্গ বা পুরুষলিঙ্গ নেই।
তবে এই আল্লাহ তালার অনেক গুণবাচক নাম রয়েছে আর এই গুণবাচক নামের একটি অবশ্যই খালিক। আল্লাহ তাআলা তার মধ্যে অবশ্যই একটি এই শব্দটি একক ও অতুলনীয় আল্লাহতালা ও তদ্রূপ এবং তিনি সত্তা ও গুণাবলীতে একক এবং অদ্বিতীয়। তার সমতুল্য বা সমকক্ষ কিছুই নেই। এই সম্পর্কে আল্লাহতালা নিজেই বলেন যে, বলুন হে নবী তিনি আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন সকলেই তার মুখাপেক্ষী।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেওয়া হয়নি। আর তার সমতুল্য কেহই নেই। (সূরা আল ইখলাস আয়াত ১ থেকে ৪) তাই আল্লাহতালা স্বয়ংসম্পূর্ণ সত্তা। তিনি অনাদি এবং অনন্ত তিনি চিরস্থায়ী এবং চির বিরাজমান। তার কোন শুরু নেই শেষও নেই তিনি পানাহার নিদ্রা তন্দ্রা ক্লান্তি সবকিছু থেকেই মুক্ত। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের সকল কিছুর দায়-দায়িত্ব তেনার। অর্থাৎ আল্লাহতালাই আমাদের রিজিক দেন আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগান তিনি আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন তিনি আমাদের অক্সিজেন দেন অর্থাৎ জীবনের সকল কিছু সত্তা তার ওপরেই নির্ভর করে।
আমরা সকলেই তার ওপর নির্ভর করি তিনি কারো উপর অবশ্যই নির্ভর করেন না। আল্লাহতালা সকল গুনাহের আঁধার সকল গুণ তার মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। তিনি সৃষ্টিকর্তা বিশ্বজগৎ ও এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবই তার সৃষ্টি তিনি তৈরি করেছেন তিনি আবার ধ্বংস করবেন। তিনি আমাদের রিজিকের জন্য বা অন্য সকল কিছুর জন্যই আমরা তার ওপর ভরসা করে বসে থাকি তার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকি।
সুন্দর এবং পবিত্র নাম সমূহ একমাত্র তার জন্যই নির্ধারিত তার কতিপয় গুণবাচক নামের মধ্যে অবশ্যই রয়েছে রহিম জাব্বার গাফফার বাসীর সামিউলেও হাফেজ ইত্যাদি। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন খালিদ শব্দের অর্থ দেখতে অবশ্যই আপনারা এতক্ষণ এই আলোচনার মধ্যে থেকে খালি শব্দের অর্থ হয়তো পেয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরেও আমরা একেবারে সঠিক অর্থ দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। খালিদ শব্দটি আরবি শব্দ। এই শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো সৃষ্টিকর্তা।
অর্থাৎ যিনি সৃজন করেন। “খালিক” শব্দটি দ্বারা জগতের মহান সৃষ্টিকর্তা ও একমাত্র প্রভু আল্লাহ তালাকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
এটি একটি আরবি শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ যিনি সৃজন করেন। “খালিক” শব্দটি দ্বারা জগতের মহান সৃষ্টিকর্তা ও একমাত্র প্রভু আল্লাহকে বুঝানো হয়। তাই আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে অবশ্যই এ ধরনের সকল বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই অবগত হতে পারবেন। তাই আপনারা যে কোন প্রয়োজনে অর্থাৎ যে কোন ধর্মীয় হোক বা অন্য যেকোন প্রশ্নের উত্তরে আপনারা আমাদের এখানে এসে খোঁজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই পাবেন আপনার কান্ট্রিতে বিষয়গুলি।
Leave a Reply