
ব্র্যাক বেসরকারি একটি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। তার কারণ হলো ক্ষুদ্র ঋণ ও বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে সারাদেশ জুড়ে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি সংগঠনটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার কর্মসূচির বিস্তার ঘটিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় এগারো কোটি লোককে ব্র্যাক তার উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে এসেছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের তথ্য জানতে আগ্রহী।
তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে ২০২৩। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাছাড়া প্রতি নিয়ত আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা প্রকাশ করে থাকি। আর এ বিষয়গুলো জানার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
ব্র্যাক সাধারণত স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে মানব সমাজের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ছাড়াও দেশের থানা সহ আনাচে-কানাচে প্রতিটি অঞ্চলে এর কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। শুধু দেশে নয় প্রায় বহির্বিশ্বে ১৩ টির দেশে এর কার্যক্রম খুব সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ব্রাকে প্রায় এক লক্ষ উপরে কর্মী কাজ করে চলেছে। সারা পৃথিবী জুড়ে ব্র্যাকের সেবায় আওতদিন রয়েছে প্রায় ১২৬ মিলিয়ন মানুষ। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করেছে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ক্ষুদ্র ঋণ, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সচেতনতা, গবাদি পশুর খামার হস্তশিল্প সহ নানান ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ এর মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করে।
ব্র্যাক মূলত নারীদের বেশি প্রাধান্য প্রদান করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৭০ ভাগ নারী কর্মী রয়েছে। নারী উন্নয়ন, শিক্ষার জন্য নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেন না বঞ্চিত হয় সেদিকে লক্ষ্য করা এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ ভাবে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে। তাছাড়া বেশিরভাগ দরিদ্র, ভূমিহীন, গ্রামীণ নারীদেরকে মুক্ত ঋণ সরবরাহ করে তাদের আয় করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহযোগিতা করে। তাই ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছে ফজলে হাসান আবেদ। তার বিশেষ অবদানের জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণ রূপ পায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশর অর্থনৈতিক খাতকে মজবুত করতে এর প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ অবদান রয়েছে। তাছাড়া এই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন হিসেবে দেশে ও বিদেশে এর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।
Leave a Reply