বীজগণিত শব্দটি ইংরেজি Algebra এর প্রতিশব্দ। ইংরেজি Algebra শব্দটি আরবি শব্দ আল- জাবের থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আল- জাবের শব্দের অর্থ ভাঙ্গা হাড় জোড়া দেয়া। কিন্তু বীজগণিত এর অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে গণিতবিদ মুহাম্মদ বিন মুসা বলেন, বীজগণিত মানে কোন সমীকরণের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করা। মোটকথা বীজগণিত হলো এমন একটি গাণিতিক পদ্ধতি যা সংখ্যার পরিবর্তে বর্ণ বা প্রতীক ব্যবহার করে অজানা রাশির মান বের করে অথবা রাশি সম্মুহের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করে। সংখ্যার পরিবর্তে আক্ষরিক প্রতীকের ব্যবহার বীজগণিতের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। অক্ষর বা অক্ষর সমূহের অর্থবোধক বিন্যাসকে আবার বীজগণিতীয় রাশিমালা বলে। এই বীজগণিতের রাশিমালা প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে।
একটি সরল রাশিমালা অপরটি মিশ্র রাশি মালা। এই বীজগণিত অংক চারটি চিহ্নের মাধ্যমেই হয়ে থাকে পাটিগণিতের মতো যোগ প্রক্রিয়া বিয়োগ প্রক্রিয়া গুণ প্রক্রিয়া এবং ভাগ প্রক্রিয়া তবে বীজগণিতীয় সূত্রের সাহায্যে আমরা পাটিগণিত অংক গুলোও করে থাকি অনেক সময়। তাই বীজগণিত অংক জানাতে আমাদের জীবনের জন্য বা ছাত্রজীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বীজগণিতীয় সূত্র গুলি আমরা ত্রিকোণমিতির জ্যামিতি ইত্যাদিতে ব্যবহার করে থাকি। এই বীজগণিত অংকের মধ্যেই রয়েছে সেট। সেট প্রধানত দুই পদ্ধতিতে হয়ে থাকে একটা তালিকা পদ্ধতিতে আরেকটি সেট গঠন পদ্ধতিতে। তালিকা পদে সেট হচ্ছে সকল উপাদান সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে দ্বিতীয় বন্ধনী এর মধ্যে আবদ্ধ করা হয় এবং একাধিক উপাদান থাকলে কমা ব্যবহার করে উপাদানগুলোকে আলাদা আলাদা করতে হয়।
সেটের মধ্যে অনেক ভাগ আছে সেগুলি হল শাসন সেট অসীম সেট ফাঁকা সেট উপসেট প্রকৃত সেটের সমতা ইত্যাদি। তবে সেট সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সার্বিক সেট কি সেটা অবশ্যই জানা প্রয়োজন কোন আলোচনায় বিবেচিত সকল সেট একটি নির্দিষ্ট সেটের উপর সেট হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সেটকে আলোচনাধীন সকল সেটের সার্বিক সেট বলা হয়।
বীজগণিতের কথা বললেই আসে উৎপাদক আর এই উৎপাদক বীজগণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবেচনা করা হয়। কোন একটি রাশি যদি অন্য দুই বা ততোফিক রাশির গুণফল এর সমান হয় তাহলে সে সত্য রাশি সম্মুহের প্রত্যেকটিকে পূর্বোক্ত রাশিটির উৎপাদক বা গুণনীয়ক বলে। কোন বীজগণিতীয় রাশি মালা যতগুলো সম্ভব উৎপাদক বের করে তাকে লব্ধ উৎপাদক গুলোর গুণফল রূপে প্রকাশ করাকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ বলে।
কোন রাশিমালাকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করার পূর্বে রাশিমালার প্রকৃতি বিবেচনা করলে উৎপাদকে বিশ্লেষণ অনেক সহজ হয়ে যায়। এজন্য রাশি মালা প্রকৃতি বিবেচনা করে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করার কয়েকটি পদ্ধতির হতে পারে। এই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে হলো পর্যবেক্ষণ থেকে উৎপাদক সূত্র নির্ভর উৎপাদক মধ্যপ্রদেশ উৎপাদক ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত হতে পারে।আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনও ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা স্বাস্থ্য সংস্কৃতি তথ্যবিজ্ঞান পুষ্টি চিকিৎসা ইত্যাদি সকল বিষয়ে প্রকাশ করা থাকে। তাই আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন অবশ্যই। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। আপনাদের যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয় তাহলে ওটা অবশ্যই পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন চার্জের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনার প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অতি সহজেই।
তাহলে এখন আমরা দেখে নিই বীজগণিতের জনক কোন গণিতবিদ মোহাম্মদ মুসা আল-খাওয়ারিজমীকে বীজগণিতের জনক বলা হয়। আল-খাওয়ারিজমির বীজগণিতকে বিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার অনেকে এথেনিয়ান ডায়োফ্যান্টাস কে বীজগণিতের জনক হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। তাদের মতে মুসলমানদের বহুৎ আগেই বীজগণিতের আবিষ্কার করেছে ইউরোপে গ্রীকরা। অ্যাথেনিয়ান ডায়োফ্যান্টাস কে সেই কারণে বীজগণিতের জনক হিসাবে কৃতিত্ব দেয়া হয়।তার “অ্যারিথমেটিকা”বইয়ের কারণে তাকে এই কৃতিত্ব দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হয়।
Leave a Reply