
দর্শন হলো জ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে মৌলিক প্রশ্ন বা সমস্যা গুলোকে যুক্তি দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। তাই জ্ঞানের এমন কোন শাখা নেই যে দর্শনের আওতায় নেই। বহু প্রাচীনকাল আগ থেকে দর্শন বিজ্ঞানের উন্মোচন হয়েছে দর্শন এমন একটি বিষয় যা জ্ঞানের সকল শাখা। তাই জীব জগতের মৌলিক সমস্যা বলি একটি সুষ্ঠু ও যুক্তিসম্মত আলোচনার প্রচেষ্টা চালায় দর্শন। আমাদের দৈনিক জীবনে চলার ক্ষেত্রে দর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা আমাদের যান্ত্রিক জীবনকে আরো বেশি সহজ করে তোলে। তাই দর্শন এর জনক কে আমরা অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েব সাইটে আমরা প্রকাশিত করি।
মূলত দর্শনের লক্ষ্যই হল সত্য অনুসন্ধান করা। আর দার্শনিক দের কাজ হল সেই সত্যকে অনুসন্ধান করে কোন সমস্যা থাকে তাহলে তাকে চিহ্নিত করা ও যুক্তি উপস্থাপন করা। আমরা অনেকেই মনে করি ব্যবহারের প্রয়োজনে থেকে দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে। তাছাড়া দর্শনের উৎপত্তি নিয়ে অনেক দার্শনিকের মতভেদ লক্ষ্য করি আমরা। অনেকেই আবার আধ্যাত্মিক প্রেরণা ও পিপাসা কেউ দর্শনের উৎপত্তি হিসেবে মনে করে থাকেন। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ যে কোনো বিষয়ে সে মিথ্যার আগে সত্যটি আগে জানতে চাই আর সেই দিক দিয়ে বিবেচনা করলে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ জন্মগত ভাবে দার্শনিক। আর জীবজগতে বেঁচে থাকতে হলে প্রত্যেকটি মানুষকে তার দার্শনিক চিন্তা দিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
জীবনের মৌলিক প্রশ্নের উত্তর গুলো অনুসন্ধান করাই কেবল দর্শন নয়। জীবনের ব্যবহারিক প্রয়োজন সহ আরো অনেক প্রয়োজন থেকে দার্শনিক আলোচনার উৎপত্তি ঘটে। সাধারণত যে শিক্ষা মানুষের কোন কাজে লাগে না সে শিক্ষা মূলত কোন প্রকৃত শিক্ষা নয় তাই মানুষের প্রয়োজনে মানুষ কে জগত সম্পর্কে চিন্তা করতে বাধ্য করে। একইভাবে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে এই ধরনের দার্শনিক বিষয় গুলো সৃষ্টি হয়। সাধারণত গ্রীকের থেলিস নামক একজন ব্যক্তিকে দর্শনের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় তার কারণ হলো তিনি প্রথম এই জগতের সৃষ্টির মূল উপাদান কি? তার বাস্তব উপলব্ধি কিভাবে করব এই বিষয় গুলো সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর তার জন্যই তাকে দর্শনের জনক বলা হয়। তিনি বিখ্যাত একজন দার্শনিক ছিলেন ও জ্যোতিবিদ্যা ছিলেন।
Leave a Reply