মানুষ সামাজিক জীব। সেই প্রাচীন গুহা বাসি থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে আসছে। তাই সমাজ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সমাজকে নিয়ে, সমাজের জন্য, যে বিজ্ঞান সেটাই হচ্ছে সামাজিক বিজ্ঞান। সমাজের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাংলাদেশের সমাজে এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতিক্রম নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এদেশের অর্থনৈতিক সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিক্ষা, প্রযুক্তির,ও যোগাযোগের পরিবর্তন ঘটেছে। এদেশের সমাজ ও অর্থনীতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে শিক্ষা, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ। ব্যাপক শিল্পায়ন ও নগরায়নের ভূমিকায় নারীরা রয়েছে।
পরিবর্তন হয়েছে সমাজ ব্যবস্থা। বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের কতগুলি কারণ রয়েছে কারণগুলি গ্রাম শহর হিসেবে পরিবর্তনের আলাদা আলাদা প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এখন আমাদের দেখাতে হবে সমাজবিজ্ঞানের জনক কে। আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংস্কৃতি চিকিৎসা স্বাস্থ্য পুষ্টি দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা থাকে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য গুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। আপনারা যদি তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে চান তাহলেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অন্যান্য কোন চার্জ ছাড়াই।
শিক্ষার্থীরাও আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সঠিক নির্ভুল সহজ সরল প্রাঞ্জল ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা চাইলেই আপনাদের যে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারবেন বিনা বাধায়। প্রাচীনকালের সমাজ আর বর্তমানে সমাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
কারণ সমাজ পরিবর্তনশীল। সামাজিক পরিবর্তন বলতে সমাজ কাঠামো ও এর কার্যাবলীর পরিবর্তনকেই আমরা বুঝে থাকি। যে কাঠামোর উপর ভিত্তি করে সমাজের পরিবর্তন হয় সেই কাঠামো গুলি হল আইন কানুন রাজনীতি সংস্কৃতি ইত্যাদি। সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধারণা প্রদান করেছেন। সমাজবিজ্ঞানী কিংসলে ডেভিড বলেন সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে সামাজিক সংগঠনের মধ্যেকার পরিবর্তন।
আবার মেকাইভার বলেন মানবীয় সম্পর্কের পরিবর্তন হচ্ছে সামাজিক পরিবর্তন। অর্থাৎ সামাজিক পরিবর্তন হলো সমাজে বসবাসকারী ব্যক্তি গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের আচার-আচরণের পরিবর্তন। সমাজবিজ্ঞানের উপর বিভিন্ন বিজ্ঞানী বা সমাজকর্মীর ভূমিকা থাকলেও আসলে সমাজবিজ্ঞানের জনক একজনই। এখন আমাদের জানতে হবে সমাজবিজ্ঞানের জনক কে তিনি কোন দেশের অধিবাসী তার জন্ম কত সালে ইত্যাদি।
সমাজ বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ফরাসি পন্ডিত এমিল ডুর্খেইম এবং জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েভার এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে সমাজবিজ্ঞানকে আধুনিকায়ন করার জন্য যে বিজ্ঞানী সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন তিনি হলেন অগাস্ট কোঁৎ এবং তাঁকেই আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তাহলে আমরা বলতে পারি আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের জনক অগাস্ট কোঁৎ।
বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী আর এই প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর জন্যই সবকিছুই পরিবর্তন হয়। সে ক্ষেত্রে সমাজেরও পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন কারণে সমাজ পরিবর্তন সংঘটিত হয়, কখনো মন্থরগতিতে আবার কখনো দ্রুত গতিতে হয়ে থাকে ।যেহেতু বর্তমানে সবকিছুতেই প্রযুক্তি নির্ভর তাই বর্তমান যুগে সামাজিক পরিবর্তনটা একটু দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক পরিবর্তন দুই ধরনের হয় একটা হচ্ছে প্রাকৃতিক, আরেকটা কৃত্রিম, প্রাকৃতিক পরিবর্তন গুলির মধ্যে নদী ভাঙ্গন ঝড়-বৃষ্টি খরা ইত্যাদি আর কৃত্রিম সেগুলোর মধ্যে আছে রাজনৈতিক শিক্ষা ধর্ম ও সংস্কৃতি প্রভৃতি উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে সমাজ পরিবর্তন হতে পারে। যোগাযোগের উপর নির্ভর করেও সামাজিক পরিবর্তন হয়। তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দৈনন্দিন জীবনে যে যে উপাদান তথ্য ও উপাত্ত প্রয়োজন সবগুলোই পেয়ে যাবেন আশা করি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করে দেখে নিবেন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য কোনটির প্রয়োজন। আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলি সঠিক নির্ভুলভাবে প্রকাশ করে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
Leave a Reply