এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাদের স্বপ্ন আনন্দমোহন কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার তাদের জন্য এই ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে। অনলাইনের মাধ্যমে এই ভর্তি কার্যক্রমে আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং আনন্দমোহন কলেজ সহ আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনারা চয়েজ লিস্টে রেখে আবেদন সম্পন্ন করে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবেন। তাই আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি যোগ্যতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং ভর্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারলে আপনাদের ভোটটি কার্যক্রমে অনেক সুবিধা হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদেরকে সঠিকভাবে জানিয়ে দেবো কিভাবে আনন্দমোহন কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করবেন এবং আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার ভর্তির যোগ্যতা কেমন থাকা উচিত। আশা করি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কিছু শিক্ষার্থীদের জন্য এই পোস্ট অনেক উপকারী ভূমিকা রাখতে চলেছে।
অনেকেই হয়তো জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এবং জিপিএ ৫ পাওয়ার কারণে শহর পর্যায়ের অথবা ভালো কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করছেন। তাই আপনি যখন নাম্বার ওয়ান কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার জিপিএ 5 খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করে আপনি এসএসসি পরীক্ষায় মোট কত নম্বর পেয়েছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই এসএসসি পরীক্ষায় আপনার প্রাপ্ত জিপিএ এর চাইতে মোট নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে আপনি সর্বপ্রথমে জেনে নিন পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছেন। আবেদন করার সময় যখন কম্পিউটার সার্ভিসের দোকানে গিয়ে আপনার নাম্বার বলবেন এবং আনন্দমোহন কলেজ প্রথম লিস্টে চয়েজ দেওয়া যাবে কিনা তা জানতে চাইবেন তখন তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে আপনাকে পরামর্শ প্রদান করবে।
এছাড়াও আপনারা খুব সহজেই আপনাদের আশেপাশের বড় ভাইবোনদের থেকে এটা জেনে নিতে পারেন অথবা অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির থেকে জেনে নিতে পারলেই আপনাদের জন্য এটা ভালো হবে। তবে বিগত বছরের চাইতে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ 5 প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে অবশ্যই সেফ জোনে থেকে আপনাকে আবেদন করতে হবে যাতে করে আপনার প্রথম মেধা তালিকায় অথবা সর্বোচ্চ দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নির্দিষ্ট কলেজে চান্স হয়ে যায়। এতে করে আপনারা চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন এবং নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলে তখন আপনাদের পড়ালেখার গতি এমনিতেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
তবে বলে নেওয়া ভালো যে আপনার প্রাপ্ত নাম্বারের ওপর ভিত্তি করে যদি আপনার কাঙ্খিত কলেজে চান্স না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আপনারা চিন্তা করবেন না। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাইতে নিজের পড়াশোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং আপনি যদি পড়াশোনা ঠিকঠাক মত করতে পারেন তাহলে কোন ফলাফলই আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না এবং সফলতা আপনার নিশ্চিত। তাই ২০২৪ সালের এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে আপনারা অবশ্যই
http://xiclassadmission.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করবেন। ফলাফল তিনভাবে প্রকাশ করা হবে এবং তিন ভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা যখন চান্স পেয়ে যাবেন অথবা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে আসবে তখন আপনাদেরকে নিয়ম অনুসরণ করে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে।
ভর্তি নিশ্চায়ন করার মধ্য দিয়ে আপনি কলেজকে জানাতে পারলেন যে আপনি ভর্তি হবেন এবং আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অন্যান্যরা মাইগ্রেশন করবে এবং নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য চান্স খুঁজতে থাকবে। তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভুল হতে হবে এবং মোবাইল নাম্বার প্রদান করার ক্ষেত্রে এমন ভাবে প্রদান করবেন যাতে করে প্রত্যেকটি এসএমএস আপনার নজরে পড়ে এবং আপনি প্রত্যেকটি তথ্য সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে পারেন। এভাবে আপনারা ২০২৪ সালের একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে এই পোস্ট এখানেই শেষ করছি এবং কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা কমেন্ট বক্সে করতে পারেন।
Leave a Reply