
আপনারা যারা এতিম মেয়েকে বিয়ে করার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। অনেকেই আছেন যারা বিয়ে করার জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে দেখেন যে সেই পাত্রের হয় পিতা নেই অথবা মাথা নেই অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পিতা মাতা উভয়েই নেই। এক্ষেত্রে আপনার মনের ভেতরে সাধারণ কিছু প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে এবং এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি নির্দিষ্টভাবে খুঁজে পান অথবা যুক্তিসঙ্গতভাবে খুঁজে পান তাহলে দেখবেন যে এতিম মেয়েকে বিয়ে করার ফজিলত রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা সবসময় নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবং স্বার্থের কথা চিন্তা করার কারণে এতে মেয়েকে বিয়ে করলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে যে খুব বেশি সম্মান বা আদর পাওয়া যাবেনা এই বিষয়গুলো চিন্তাভাবনা করতে থাকেন।
তাই আপনারা যদি কোন মেয়েকে বিবাহ করতে জান এবং বিবাহ করার জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে যদি বুঝতে পারেন তার পিতা-মাতা কেউ নেই অথবা সে কোনো পরিবারে আশ্রিত মানুষ অথবা সে একেবারেই এতিম তাহলে আপনারা কখনই সেই মেয়ের শুধু পিতা-মাতা না থাকার কারণে বিয়ে ভেঙে দেবেন না। মহান সৃষ্টিকর্তার দুনিয়ায় কেউ কোন দিন বেঁচে থাকে না এবং একটা মানুষকে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করতে হলে একসময় থাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
তাই কার ভাগ্যে কি আছে এবং তার ভাগ্যে কিভাবে দুর্ভোগ চলে আসে তা কেউ বলতে পারে না। তাই আপনি যখন কাউকে বিয়ে করতে যাবেন তখন যদি দেখেন সেই মেয়ের সকল গুনা গুন ভালো এবং সেই মেয়ে বিয়ে করলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে সংসার সুখের হবে তাহলে তার পিতামাতার উপরে নির্ভর করে অথবা তার পিতা-মাতা না থাকার কারণে আপনারা যদি সেই বিয়ে ভেঙে দেন তাহলে দেখা যায় যে তা এক ধরনের যৌতুক এর নামান্তর প্রকাশ করে।
অর্থাৎ বিয়ের পরে আপনি তাদের বাড়ি থেকে সম্মান এবং আদর পাবেন কি পাবেন না এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি আপনি নিজের স্বার্থের কথা ভাবেন তাহলে তা এক ধরনের উপরিপাওনা মত হয়ে যায় এবং এটা এক ধরনের যৌতুক হয়ে যাই। তাই কাউকে বিয়ে করতে গেলে যদি দেখেন তার পিতা-মাতা বেঁচে নেই এবং সে যদি কোন পরিবারের কাছে মানুষ হয়ে উঠেছে তাহলে তাকে নিঃসন্দেহে বিবাহ করবেন এবং আপনার পরিবারের যখন পিতা-মাতার আদর সেই মেয়ে পাবে তখন সে আপনার বাবা-মা কে আপন বাবা মায়ের মত দেখবে।
তাছাড়া মহান সৃষ্টিকর্তার কুদরতে সেই মেয়ে এত বড় হয়ে উঠেছে এবং এত বড় হয়ে আসার পরে আপনার সংসারে এসে সকল ধরনের দায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পাশাপাশি আপনার জীবন সঙ্গিনী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং আপনি আপনার স্বার্থের কথা বিবেচনা করে যদি তাকে ত্যাগ করেন তাহলে সেটি নিচু মনমানসিকতার সাথে তুলনা করা যায়। তাছাড়া মহান রাব্বুল আলামিন সবসময়ই এতিম সন্তানদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন এবং তাদেরকে তিনি সব সময় তার অশেষ ভান্ডার থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। তাই আপনি যখন কোনো এতিম মেয়েকে বিয়ে করবেন তখন আপনার সংসারে মহান আল্লাহপাকের দিক থেকে ফজিলত আসবে এবং আপনার সংসার সুখের হয়ে উঠবে এবং বরকত ময় হয়ে উঠবে।
Leave a Reply