গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার পর আপনারা যখন গ্রামে বাড়ি করার জন্য অর্থের সংকলন করতে পারছেন না তখন ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারেন। তবে ব্যাংক লোন গুলো করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির ক্ষেত্রে যে ধরনের লোন দেওয়া থাকে সেটা অনেকটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হয়ে থাকে বলে আপনারা যদি পারেন তাহলে এটা এড়িয়ে চলতে হবে।

কারণ বাড়ি করার জন্য যে লোন গ্রহণ করবেন সেটার সুদ প্রদান করতে হবে আপনাকে দীর্ঘ কয়েক বছর এবং আপনার আস্তে আস্তে আসল টাকা পরিশোধ হতে থাকবে। তারপরেও যাদের ব্যাংক লোন নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই তারা খুব সহজে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নিতে পারেন এবং বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নিতে হলে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করা লাগবে অথবা কোন যোগ্যতা থাকলে এই লোন পাবেন তা জেনে নিবেন।

অনেকেই দেখা গিয়েছে যে চাকরি জীবনের শেষে তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেয়ে বাড়ি করেছেন এবং সেখানে বসবাস করেছেন। আবার অনেকেই আছেন চাকরি রত অবস্থায় নিজের বাড়িঘর ভালোমতো তৈরি করার জন্য ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে চাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে পরিবারগুলো ভেঙে ভেঙে আলাদা হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে পরিবার আলাদা হওয়ার জন্য আলাদা বাড়ি ঘর তৈরি করার প্রয়োজন পড়ছে।অনেকেই কষ্ট করে অথবা উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার পরে যদি বাড়ি করতে না পারে তাহলে হয়তো অনেক সময় সেই জমি বেদখল হয়ে যায়। তাই আপনি যদি বাড়ি করতে চান তাহলে হয়তো ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে সহজ শর্তে ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক আপনাদেরকে বাড়ি করার জন্য হাউজ লোন প্রদান করবে এবং এই শর্তগুলো আপনারা যদি মানতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে বাড়ি করার জন্য লোন প্রদান করা হবে। গ্রামে অথবা শহরে বাড়ি করার জন্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আপনারা নিতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে এই লোন নেওয়ার জন্য আপনাদের যে সকল যোগ্যতা থাকতে হবে তা আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেব। তাই আপনার বয়স যদি ৪০ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে আপনারা বাড়ি করার জন্য লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

বাড়ি করার জন্য যদি লোন গ্রহণ করতে হয় তাহলে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট একটা পেশায় থাকতে হবে যে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি রয়েছে অথবা যে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্টতা এবং নির্ভরযোগ্যতা রয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ মানের কোম্পানিতে চাকরি করে আপনারা বাড়ির লোন পাবেন না। এক্ষেত্রে আপনারা এনজিওর সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। তাই বাড়ি করার জন্য আপনারা যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন অথবা অন্য কোন পেশাজীবী মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের ইনকামের উৎস নির্দিষ্ট ভাবে দেখাতে হবে এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আয়ের উৎস সার্টিফিকেটের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। আপনার ইনকামের সামঞ্জস্যতা থেকে আপনার চাহিত লোনের যদি সামঞ্জস্যতা না পাওয়া যায় তাহলে আপনি এই লোন গ্রহণ করতে পারবেন না।

অন্য কোন এনজিওর সাথে জড়িত আছেন অথবা অন্য কোন ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন এমন ব্যক্তি হিসেবে আপনারা লোন গ্রহণ করতে পারবেন না। লোন গ্রহণ করতে হলে আপনাকে পূর্বের সকল লোন পরিশোধ করতে হবে এবং পরিশোধ করার মাধ্যমে আপনারা পরবর্তীতে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ লোন নেওয়া নেই অথবা কোন ধরনের ঋণ নেই এমন সকল ব্যক্তির নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রদানের ভিত্তিতে 40 বছর বয়সের নিচে ইসলামী ব্যাংক থেকে বাড়ি করার জন্য লোন গ্রহণ করতে পারবে। তারপরও ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাদের জরিপ করার মাধ্যমে এই লোন প্রদান করবে এবং লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সকল তথ্য অথবা সকল সুদের পরিমাণ দেখে নিয়ে আপনারা লোন গ্রহণ করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*