যারা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত হতে চান এবং শিক্ষকতা পেশার মাধ্যমে সকলকে শিক্ষা প্রদান করতে চান তারা অবশ্যই এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্সের প্রফেশনাল কোর্স করতে পারেন। আপনারা যেটা শিক্ষকতা বিষয়ক এই কোর্সটি করতে চান তার নাম হল বিএড কোর্স। এই কোর্সটি করা প্রসঙ্গে আজকে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পড়তে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে এবং ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যদি আপনারা ভর্তি হতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত এই পোস্ট করতে থাকুন।
যারা ব্যাচেলর হবে এডুকেশন করছে ভর্তি হতে চান তাদের এখানে ভর্তির যোগ্যতা উল্লেখ করার পাশাপাশি ভর্তির নিয়মাবলী এবং কত টাকা খরচ হবে সে বিষয়ে ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করব। বিএড কোর্স করলে যেমন আপনার একটি ডিগ্রী অর্জন করা হবে তেমনি ভাবে আপনার বেতন স্কেল বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। শিক্ষকতার এই মহান পেশায় নিজের মেধা কে কাজে লাগানোর জন্য এবং দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কে সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে আপনারা এই কোর্সটি করে রাখলে উভয় দিক থেকে লাভবান হতে পারবেন।
সারা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে বিএড কোর্স করানো হয়ে থাকে। এই কোর্স উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও করানো হয়ে থাকে। তবে আপনারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যারা বিএড কোর্স করতে চান তাদেরকে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাদের আবেদনের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে সারাদেশের বিভিন্ন যে সকল কলেজগুলোতে আপনারা ভর্তির জন্য চয়েস প্রদান করেছেন সেখান থেকে একটি কলেজ আপনাকে প্রদান করা হবে। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অনেক সময় অনেকেই চান্স পেয়ে থাকেন না।
তবে যাই হোক আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং বিএড কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ অনুযায়ী আবেদন সম্পন্ন করবেন। আবেদন করার সময় আপনাদের বিগত বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট স্ক্যান করার পাশাপাশি আপনাদের ছবি এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্রে উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনারা সাবমিট করতে পারলে খুব সহজেই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
যারা নিয়ম অনুসরণ করে চার বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং সিজিপি এর দিক থেকে অন্ততপক্ষে 2.25 পেয়েছেন তারা এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করার যোগ্যতা রাখেন। তবে আবেদনের বয়সের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন প্রার্থী যদি ৩৫ বছরের অধিক হয়ে থাকে তাহলে তার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
তবে যে সকল শিক্ষকগণ শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের জন্য ৪০ বছর পর্যন্ত এই আবেদন শিথিল যজ্ঞ বা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাই আপনারা যারা বি এড কোর্স করতে চান তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করুন এবং আবেদনের ভিত্তিতে যদি চান্স পেয়ে থাকেন অথবা ভর্তির জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে ভর্তি হয়ে যাবেন। ভর্তির সময় যে সকল কাগজপত্র অথবা যে পরিমাণ আবেদন ফি জমা দিতে বলা হবে সেটা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার কনফার্মেশন স্লিপ সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
এভাবে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনাদের যখন ক্লাসের তারিখ শুরু হয়ে যাবে তখন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। তাছাড়া যারা প্রাইভেট প্রোগ্রাম করছেন তাদের ক্ষেত্রে হয়তো সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে এবং সেই ক্লাসে আপনারা অনেক সময় অনলাইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। তবে এই কোর্সটি করলে যে কোন ক্ষেত্রে শিক্ষকতা করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং কোর্সটি করে রাখাটা সবচাইতে ভালো হবে।
অনার্সের সাবজেক্ট যদি পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে মিল থাকে অথবা এটি যদি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয় তাহলে অবশ্যই আপনারা দেরি না করে বিএড কোর্স সম্পন্ন করে রাখলে সেটা আপনার একটি যোগ্যতা হিসেবে অন্যের কাছে পরিচিত করে তুলবে।
Leave a Reply