আপনি কি কোন বিকাশ নাম্বার দিয়ে এটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে অথবা এটির আসল মালিকের নাম কি তা জানতে চান? প্রচলিত নিয়ম অনুসারে এবং কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে নিজস্ব নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম অনুসরণ করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে এবং এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি অন্যান্য আরো ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। অনলাইনেই ব্যাংকিং সিস্টেম এর মাধ্যমে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত শহর পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় ফলে বর্তমান সময়ে এটি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কিন্তু কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট আপনি যখন সংগ্রহ করবেন তখন এটি যদি যাচাই করতে চান অথবা এটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে অথবা এই বিকাশ একাউন্টের মালিকের ভোটার আইডি কার্ডের নাম কি এই তথ্যগুলো জানার জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। বিকাশ নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করার নিয়ম রয়েছে এক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি অনলাইন ব্যাংকিং বা যে সকল ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম চালু আছে সেই অনলাইন ব্যাংকিং এর নিয়ম কাজে লাগবে।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন এবং সেই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার কারণে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা বা ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের সেবা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে সেই মাধ্যম ব্যবহার করে আপনারা বিকাশ নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করে ফেলতে পারবেন।
তাই কথা না বাড়িয়ে আমরা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে যাচ্ছি এবং আজকে এখানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কিভাবে আপনারা বিকাশ নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এবং অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে কমবেশি একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা এই কাজটি করতে পারবেন।
তাই আপনার এই কাজটি করার জন্য সর্ব প্রথমে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে উপরের দিকে যে সারিবদ্ধ ভাবে মেনু অপশন রয়েছে সেখান থেকে অনলাইন ইন্টারনেট ব্যাংকিং খুঁজে বের করতে হবে।তারপরে অনলাইন ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর উপরে ক্লিক করার পরে আপনারা যে লিস্ট পাবেন সেই লিস্ট থেকে একেবারে নিচের দিকে চলে যাবেন এবং নিচের দিকে গেলে ট্রানস্ফার টু বিকাশ নামক একটা অপশন পাবেন। সেই অপশন এর ভেতরে তিনটি অপশন রয়েছে এবং সেই তিনটি অপশন থেকে আপনারা ম্যানেজ বেনিফিশিয়ারি নামক যে অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
সেখানে ক্লিক করার পরে আপনাদেরকে যে বিকাশ একাউন্ট দিয়ে মালিকের নাম্বার বের করবেন সেই নাম্বার সেখানে যোগ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনাকে ক্লিক হার নামক অপশনে যেতে হবে। সেখানে গেলেই আপনারা নাম্বার বসানোর জন্য অপশন পেয়ে যাবেন এবং সেই নাম্বারের মালিকের নাম যাই হয়ে থাকুক না কেন আপনারা একটা নিক নাম সেখানে ব্যবহার করবেন। তারপরে আপনাদের ফোনে একটি এসএমএস আসবে এবং এই এসএমএস আসার ক্ষেত্রে আপনার ই-মেইলের মাধ্যমে এসএমএসটি নিতে পারেন অথবা মোবাইলফোনের মেসেজ এর মাধ্যমে এসএমএস পেতে পারেন।
তাই সঠিক অপশন সিলেক্ট করে যে মেসেজ নিবেন সেখান থেকে আপনারা যে ওটিপি কোড বা পিন নাম্বার পাচ্ছেন সেই পিন নাম্বার সঠিক ঘরে বসিয়ে দিবেন এবং সেখান থেকে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করবেন। তার পরে সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন এবং ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার সেই নাম্বার আপনার অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত লিস্টে যোগ হয়ে গিয়েছে।
এখন আপনাকে নিয়ম অনুসারে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল যে সর্বপ্রথমে ট্রান্সফার টু বিকাশ নামে অপশনে গিয়েছিলেন সেখানে আবার চলে যাবেন এবং সেখানে যাওয়ার পরে আপনারা এবার মেক বেনিফিশিয়ারি নামক ইংরেজিতে যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করবেন।
এখানে ক্লিক করার পরে আপনাদেরকে নাম্বার সিলেট অপশন দেয়া হবে এবং আপনারা নাম্বার সিলেক্ট অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজে গিয়ে যখন সেই নাম্বার আরেকবার ইনপুট করবেন তখন দেখা যাবে যে নাম্বার ইনপুট করার সাথে সাথে সেই ব্যক্তির সকল ডিটেলস সেখানে চলে এসেছে। অর্থাৎ যে বিকাশ একাউন্টের সঙ্গে আপনি আপনার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতে চাইছিলেন সেই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে আপনারা সেখানে সেই ব্যক্তির নাম এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেখান থেকে দেখে নিতে পারছেন।
তাই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার পরে সেটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে অথবা কোন একজন ব্যক্তির বিকাশ নাম্বার দিয়ে তার নাম বের করার সহজ উপায় হিসেবে আপনারা এই নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন এবং অন্যান্য অনলাইন ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রেও কমবেশি একই নিয়ম অনুসরণ করলে আপনারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে কাজটি করতে পারবেন।
Leave a Reply