
সার্টিফিকেট প্রত্যেকটি মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি প্রমাণ পত্র এবং এই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে আপনি যেমন কর্ম জীবনে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রবেশ করতে পারবেন তেমনি ভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস করে এটি আপনাকে সবসময় সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে। সাধারণত এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভুল দেখা যায় এবং এই ভুল যদি আপনারা সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে বেশকিছু প্রসেস অনুসরণ করতে হবে।
আপনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করলেন এবং যখন আপনার প্রয়োজন তখন সেই সার্টিফিকেট খুলে দেখলেন যে সেখানে ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এখন এই তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধাপ রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় হাতে রেখে কাজটি করতে হবে। কারণ অনলাইনের যোগ হয়েছে বলে যে আপনি আজকে সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন আর কালকে সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন বিষয়টি এমন নয়।
সার্টিফিকেট পেতে হলে দীর্ঘমেয়াদি সময় নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে কমপক্ষে 30 দিন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে 90 দিনের মত সময় লাগতে পারে। আর যদি আপনি লোক মাধ্যম গ্রহণ না করে এই কাজটি করেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনি এই কাজটি করতে পারছেন না এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দালালদের মাধ্যমে এই কাজটি করলে কাজটি তাড়াতাড়ি হয়ে। তবে দালালের মাধ্যমে করতে গেলে আপনারা আপনাদের নিজেদের রিস্ক নিবেন এবং এ বিষয়ে আমরা আপনাদেরকে কোন সাজেশন প্রদান করছি না।
আপনি যদি নিজ দায়িত্বে নিজের সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারেন তাহলে সেটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ এবং এক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে। আর যদি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে এটি করাতে চান তাহলে বলব যে অবশ্যই সেটা বিশ্বস্ত লোক হতে হবে এবং সেই লোকের সঙ্গে যার পরিচয় রয়েছে তার মাধ্যমে এই কাজটি করাবেন। যাইহোক সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট তুলতে হয় এবং এ ক্ষেত্রে কয়েক দিন সময় লাগে।
তাছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে সময় বেশি লাগে না এবং আজকে বিজ্ঞাপন দিলে আপনি হয়তো দুই-তিন দিনের মধ্যে সেই বিজ্ঞাপন পেয়ে যাবেন। এরপরে আপনাকে ফার্স্ট ক্লাস অফিসারের স্বাক্ষর নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে একদিন অথবা দুই দিন সময় লাগতে পারে।
তারপরে আপনাকে টাকা পেমেন্ট করতে হবে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এবং এ টাকা পেমেন্ট করার পর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অর্থাৎ আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে প্রবেশ করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং কোন তথ্যগুলো ভুল হয়েছে সেই তথ্যের জন্য যথেষ্ট প্রমাণাদি স্ক্যান করে প্রমাণ দিতে হবে। এরপরে আবেদন ফরম এবং দ্বিতীয়বারের মতো সোনালী ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আপনার আবেদন পত্র সহ এবং অন্যান্য পরিচয় পত্র এবং প্রমাণপত্রসহ প্রদান করতে হবে শিক্ষা বোর্ডের অফিসে।
শিক্ষা বোর্ডের অফিসে গিয়ে এই কাজগুলো জমা দিলে আপনাদের থেকে সময় নেয়া হবে এবং এক্ষেত্রে যদি লক থাকে তাহলে আপনারা আরও এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজটি করতে পারবেন। তবে টাকা পেমেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য যেসকল ধাপ রয়েছে সেই সকল ধাপে আপনাদের কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ সময় লাগবে এবং ওয়েবসাইটে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের পরে আবেদন করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সার্টিফিকেট সংশোধন করা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং এক্ষেত্রে আপনার হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় রেখে এই কাজটি ধীরেসুস্থে করুন।
Leave a Reply