
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা যদি কোন রকম ভাবে বুঝতে পারে তাদের সার্টিফিকেটের যেকোনো তথ্য ভুল রয়েছে তাহলে সেই সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এই তথ্য দেখে নিতে পারেন। সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম বরিশাল বোর্ডের ক্ষেত্রে কি ধরনের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা জানতে এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখবেন। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে আপনারা পড়াশোনা করার মাধ্যমে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল অর্জন করে সেহেতু সার্টিফিকেট আপনাদের পরীক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণপত্র।
তবে এই সার্টিফিকেট যদি কোন রকম ভাবে ভুল লক্ষ্য করেন তাহলে আপনাদেরকে এটি সংশোধন করতে হবে। কারণ কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হলে আপনার সার্টিফিকেটের অরিজিনাল কপি অথবা অনুলিপি প্রদান করা লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পত্র তথ্যের সঙ্গে অথবা জন্মনিবন্ধনের তথ্যের সঙ্গে যদি সার্টিফিকেটের তথ্যের মিল না থাকে তাহলে আপনি হয়তো সেই কাজ না পেতে পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।
তাই আপনার সার্টিফিকেট যদি ভুল থেকে থাকে তাহলে সেই সার্টিফিকেট এর ভুল সংশোধন করার জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীরা যে নিয়ম অনুসরণ করবে তা জানিয়ে দেয়া হলো। সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কিত সারা দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের যে প্রসেস রয়েছে তা একই রকমের হয়ে থাকে। তাই বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীরা কিভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করবে তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে একেবারে বিস্তারিত তথ্য পড়ে নিতে পারবে এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে বেসিক কিছু ধারণা অর্জন করতে পারবে।
আপনারা যারা সার্টিফিকেট সংশোধন করার বেসিক ধারণা অর্জন করতে চান তাদেরকে প্রথমে জানাতে চাই যে সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে 30 থেকে 90 দিনের মত সময় লাগবে। এই সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করে আপনারা এই কাজটি তিনি সুস্থ করবেন এবং সার্টিফিকেট সংশোধন করার ব্যাপারে যে সকল ধাপ রয়েছে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করার চেষ্টা করবেন। সার্টিফিকেট সংশোধন করার বিষয়ে আপনাদেরকে এফিডেভিট করা লাগতে পারে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
এছাড়াও যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আপনি মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইআইআইএন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। আপনি যখন আপনার তথ্য সংশোধন করবেন এবং এই তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদন ফি প্রদান করার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করবেন তখন আপনাকে এই আবেদন ফি প্রদান করার যে স্ক্যান কপি রয়েছে তা দিতে হবে।
পরবর্তীতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজস্ব প্রোফাইল খুলে আপনার সার্টিফিকেটে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে তা যথাযথভাবে ফরম পূরণ করে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে দ্বিতীয়বার ফি প্রদান করা লাগবে। এভাবে সার্টিফিকেটের সংশোধন করার জন্য আপনারা বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করবেন এবং অবশেষে সকল ধাপ অনুসরণ করার পর শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হয়ে আপনার আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিলে সেখান থেকে আপনাকে অল্প কিছু দিনের ভেতরেই প্রদান করবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সার্টিফিকেট বরিশাল বোর্ডে কিভাবে সংশোধন করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply