ছেলে সন্তান হওয়ার আমল – ছেলে সন্তান লাভের আমল

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল

অনেক পিতা-মাতা আছেন যারা ছেলে সন্তান পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা না বুঝে বিভিন্ন ধরনের তাবিজ কবজ গলায় ঝুলিয়ে রাখে অথবা এগুলো ব্যবহার করে ছেলে সন্তান পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়ে থাকেন। আমাকে নির্দিষ্ট আয়াতের বাণী যদি আপনারা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চান তাহলে করতে পারেন। আপনাদেরকে অন্য ধরনের কোন দোয়া লিখে তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করার পরিবর্তে নির্দিষ্ট দোয়া লিখে যদি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে অনেক উপকারে আসবে।

আল্লাহ পাকের কাছে আপনারা যদি ছেলে সন্তান কামনা করে থাকেন তাহলে আল্লাহ পাক হয়তো আপনাদের দোয়া কবুল করে নিবেন এবং একজন ছেলে সন্তান দিয়ে দিতে পারেন। আল্লাহপাকের কাছে আপনারা যদি নির্দিষ্ট নিয়তে আমল করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের মনের আশা পূরণ হওয়া সম্ভব না থাকবে।

ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান হওয়ার পেছনে আমরা যে সকল বৈজ্ঞানিক যুক্তি জানি সে সকল যুক্তির পেছনে একজন নারীর অথবা একজন পুরুষের যে সকল বিষয়গুলো নির্ভর করে সেগুলো মহান আল্লাহ পাক নির্ধারণ করে থাকেন। মানুষকে এটা ভেবেও সন্তুষ্ট থাকতে হবে যে আল্লাহ পাক মেয়ে সন্তান দিয়ে থাকো অথবা ছেলে সন্তান দিয়ে থাকুক না কেন তা যদি নেককার হয় এবং আদর্শ মুমিন বান্দা হয় তাহলে অবশ্যই তা প্রত্যেকটি পিতামাতার জন্য কল্যাণকর।

আল্লাহর সন্তুষ্টিতে আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং আপনাদের যদি মনের ভেতরে একান্তই আকাঙ্ক্ষা থাকে একটা ছেলে সন্তান বাড়িতে থাকলে খুব ভালো হতো অথবা একটা ছেলে সন্তান মায়ের বুকে এসে মায়ের বুক যদি ঠান্ডা করতে পারে তাহলে আপনারা সেই আমলগুলো অবশ্যই করবেন।

আমাদের দেশে ছেলে সন্তান হওয়ার জন্য অনেক পিতামাতা আকাঙ্ক্ষা করে থাকেন এবং ভবিষ্যতের দেখভাল করার জন্য একজন ছেলে সন্তান হতে পারলে সবচাইতে ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেখা গিয়েছে যে আমাদের দেশে ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে এবং অনেকেই পরপর সন্তান নিতে নিতে ছেলে সন্তান না হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাকের প্রতি দোষারোপ করেছেন। এ কারণেই আমরা বললাম যে আপনারা যদি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই সেই সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আপনাদেরকে আল্লাহপাক যেটা দান করেছেন তার জন্য সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

আপনাদের জন্য সন্তান হওয়ার আমল যেগুলো রয়েছে সেগুলো এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো এবং এই আমলগুলো যদি আপনারা করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের অনেক উন্নতি হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাকের একটি গুণবাচক নাম হল আল মুতাকাব্বিরু। আপনারা যখন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করবেন তখন যদি এই নামটি দশ বার পাঠ করতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক এবং নেককার ছেলে সন্তান দান করবেন। তাই ছেলে সন্তান পাওয়ার জন্য আপনারা এই আমলটি করতে পারেন।

নিজের দেখানো সূরা আম্বিয়ার 89 এবং আয়াত পড়তে পারেন এবং নামাজের উপর তিনবার করে তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের এই আমলের ভিত্তিতে পুত্র সন্তান লাভ সম্ভব হবে। নিচের দিকে আপনাদের জন্য বাংলা উচ্চারণে এটি প্রদান করা হলো।

বাংলা উচ্চারণঃ রব্বি লা তাজারনী ফারদান ওয়া আংতা খইরুল ওয়ারিছীন। অর্থ- ‘হে আমার পালনকর্তা আমাকে সন্তানহীন ছেড়ে দেবেন না। আর আপনিই তো সর্বোত্তম ওয়ারিস।’

স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে যদি আপনারা এই দোয়া পড়তে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের এই দোয়ার বদৌলতে পুত্র সন্তান চলে এসেছে এবং একজন মা পুত্র সন্তান লাভ করতে পারছেন। নিচের দেখানো এই দোয়াটি পাঠ করার মাধ্যমে আপনারা যে সন্তান লাভ করবেন তাকে শয়তান কখনো কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না।

بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

‘হে আল্লাহ! আপনার নামে শুরু করছি, আপনি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখুন। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবেন, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখুন।’

লাভ করার জন্য আপনারা যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে বিশেষ কিছু আমল করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে পুত্রসন্তান লাভ করার জন্য আপনারা যদি সুবহানাল্লাহ 70 বার এবং আস্তাগফিরুল্লাহ ৭০ পাঠ করতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক আপনাদের এই আমলের বদৌলতে পুত্র সন্তান প্রদান করতে পারেন।

সূরা সাফফাতে এসেছে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার কাছে সন্তান চেয়েছিলেন এবং এর জন্য দোয়া কবুল করে আল্লাহপাক তাকে পুত্র সন্তান দান করেছিলেন। আপনারা যদি পুত্র সন্তান পেতে চান তাহলে “রাব্বি হাম লী মিনাস সলিহীন” পাঠ করতে পারেন। আপনাদের মনের আশা পূরণ হয়ে যাবে এবং আপনারা যদি আরো আমল করতে চান তাহলে 40 দিন পর্যন্ত একাধারে আপনাদেরকে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র গুণবাচক নাম অর্থাৎ আল-আউয়ালু পাঠ করতে হবে। আশা করছি যে উপরের উল্লেখিত আমল যদি একজন অভিভাবক করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*